হাওর বার্তা ডেস্কঃ চারদিকে বিস্তীর্ণ জলরাশির এক অপূর্ব খেয়াল হাওর। ঋতু ভেদে যার রূপ, ক্ষণে ক্ষণে বদলায় আপন খেয়ালে। ভরা বর্ষায় কিশোরগঞ্জের হাওরগুলোর চিরায়ত রূপের বাহারে নতুন সংযুক্তি,ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামের নবনির্মিত সড়ক। হাওরের বুক চিরে গড়ে তোলা, দৃষ্টিনন্দন এই রাস্তার কল্যাণে পর্যটন আকর্ষণের নতুন সম্ভাবনা হাতছানি দিচ্ছে হাওরবাসীর স্বপ্নে। দু’চোখের দৃষ্টি যতদূর যায়, পুরোটাই অথৈ পানি আর উথাল-পাথাল ঢেউয়ের অবিরত ছুটে চলা। দূরের গ্রামগুলো যেনো একেকটা ভেসে থাকা দ্বীপ।
এখানে প্রয়োজন আর তাৎক্ষণিকতার বাহন শুধুইনৌকা। হাওরের প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্র্যে এখন নতুনত্বের ছোঁয়া। জলে ভাসা কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলা ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামে যোগাযোগের জন্য নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন নতুন সড়ক। হাওরের বিস্ময় খ্যাত এই সড়কে এখন ভরা বর্ষাতেও চলে নানা ধরনের যানবাহন। দু’পাশে উত্তাল ঢেউ আর এলোমেলো বাতাসে খানিকটা পথ মাড়ালেই মিলবে নৈসর্গিক তৃপ্তি। বিচ্ছিন্ন এসব এলাকার মানুষ এখন ছুটছেন পাকা সড়ক ধরেই স্বচ্ছলতার গন্তব্যে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাতায়াতের সুবিধা পেয়ে এখন নতুন স্বপ্নে বিভোর হাওরবাসী। একজন বলেন, ‘স্বপ্নের মত হয়ে গেছে। কখনও কল্পনাও করিনি এমন রাস্তা হবে।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের উদ্যোগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রায় ৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দেশের সবচেয়ে নান্দনিক এই গ্রামীণ সড়ক তৈরি করেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন, এই সড়কটির ফলে এখন পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা এই এলাকা জুড়ে। কিশোরগঞ্জ ৪ সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক বলেন, ‘গাড়ি চলবে এমন স্বপ্ন আমার পূর্বপুরুষেরা কখনও দেখেনি। এখানে পর্যটন নিয়ে কিছু করা হলে আমার বিশ্বাস মানুষ কক্সবাজার না গিয়ে এখানে আসবে।’ পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ধরে রাখতে সারা বছর ব্যবহার উপযোগী এই সড়কটিতে রয়েছে অন্তত ৭৬টি সেতু ও বক্সকালভার্ট। আর এসব দৃশ্য উপভোগ করতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।