হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি কাউন্সিলর মোফাজ্জল হোসেন ওরফে মোফাকে কোটি টাকার হেরোইনসহ আটক করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে এক কেজি ৩০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় থাকা শীর্ষ এই মাদক কারবারির বিরুদ্ধে এর আগেও মামলা ছিল। মাদক ছাড়াও তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। গোদাগাড়ী থানার দালাল নামে পরিচিত মোফা থানার ওসির সহযোগিতায় নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। মোফার দাপটে স্থানীয় বাসিন্দারাও ছিলেন তটস্থ। মাদকের কারবারের পাশাপাশি থানার দালালি করেও কোটিপতি বনে যান এই মোফা।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল ২১ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানাধীন মহিশালবাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন ওরফে মোফাকে (৫৭) আটক করে। তিনি ওই এলাকার আ. সাত্তারের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে ১ কেজি ৩৩০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানায় মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে সম্প্রতি এই মোফার বিরুদ্ধে এক নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। মোফা পিটিয়ে মিনা খাতুন নামের এক নারীকে রক্তাক্ত জখম করেন। ওই মামলায় সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান তিনি। এই মামলাটিও প্রথমে নিতে রাজি ছিলেন না গোদাগাড়ী থানার ওসি খাইরুল ইসলাম। পরে এসপির হস্তক্ষেপে মামলা নিতে বাধ্য হন ওসি। গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ি মহল্লার আরেক মাদক ব্যবসায়ী বানী ইসরাইলের স্ত্রী ভিকটিম মিনাকে পরে বাড়িছাড়া করতেও উঠেপড়ে লাগেন মোফা। এসব ঘটনা ঘটে গত মে মাসে। তবে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এর বাইরে থানার ওসির সঙ্গে ছিল তার সখ্য। সেই সুযোগে থানার দালালি করতেন তিনি।