অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের জনসংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু জমি ও সম্পদ কম। এর মধ্যেও এলডিসি উত্তরণ বড় ঘটনা। এলডিসি উত্তরণে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকলেও প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। তবে যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে মধ্য আয়ের দেশে যাওয়া অর্থবহ হবে না।
গতকাল রবিবার হোটেল ইন্টারকন্টিটেন্টালে সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্রাজুয়েশন প্রকল্পের ‘বাংলাদেশ স্মোথ গ্রাজুয়েশন স্ট্রাটেজি’র খসড়া নিয়ে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও ইএনডিপির যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, এ জন্য আমাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে, অটোমেশনে যেতে হবে। প্রযুক্তির সঙ্গে দক্ষতার সমন্বয় ঘটাতে হবে। এলডিসি উত্তরণে জনগণের জন্য শোভন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বৈষম্য দূর ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার সেসব কাজ করছে।
সালেহউদ্দিন বলেন, রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা যে জিএসপি সুবিধা পাচ্ছি, এলডিসি উত্তরণের পর সেটি থাকবে না। আমাদের পোশাক ও ওষুধসহ বিভিন্ন শিল্পে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সেজন্য আমাদের পিছিয়ে থাকলে হবে না। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য জিএসপি প্লাস সুবিধা নেওয়াসহ অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে কাজ চলছে।
ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উদদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূল্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, ইউএনডিপির আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস ও ইউএন কসিমটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির সদস্য ট্যাফিয়ার টেসফিসিউ। বক্তব্য দেন ইআরডির এইড ইফেকটিভনেস ইউনিটের উইং চিফ এএইচএম জাহাঙ্গীর।
কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. এমএ রাজ্জাক। প্যানেল ডিসকাশনে অংশ নেন জাইকার রিপ্রেজেনটেটিভ হিচিগুচি তমোহিদো, বাংলাদেশ ফুটওয়্যার এক্সপোর্টস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসিম মঞ্জুর।