ঢাকা ০৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একই গাছে দুই রঙের ফুল, অবাক বিশ্ব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০
  • ২৩২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আজব এক গাছ। ছবিটি দেখে নিশ্চয় চিনতে পেরেছেন, এটি চেরি ফুল গাছ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই গাছ রয়েছে। তবে এই গাছটি বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে ভিন্ন একটি কারণে। হ্যাঁ, আপনার ধারণা ঠিক! এই চেরি গাছের দুই পাশের ফুলের রং ভিন্ন।

লেবু

লেবুইংল্যান্ডের উত্তর সোমারসেটের ব্যাকওয়েলে রডনি রোডে রয়েছে এই ছোট্ট চেরি গাছটি। যেটি সবারই কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই গাছের বিশেষত্ব হচ্ছে এই চেরি গাছে দুটি আলাদা রঙের ফুল হয়। একদিকে গোলাপি এবং অন্যদিকটা সাদা ফুলে ছেয়ে থাকে গাছটি। দ্বৈত বর্ণের গাছটি ১৯৫০ এর দশকের শেষের দিকে রোপণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। এই গাছটির নাম অবশ্য শহরের বাচ্চারা দেয় স্ট্রবেরি অ্যান্ড ক্রিম ট্রি।

একই গাছে ভিন্ন রঙের ফুল

একই গাছে ভিন্ন রঙের ফুল

এই চেরি গাছটি অন্য প্রজাতির চেরি গাছ দ্বারা কলম করা হয়। আর এ কারণেই একই গাছে দুই রঙের ফুল ফোটে। সাধারণ ভাবে একটি গাছ থেকে আরেকটি গাছের জন্ম হওয়ার পদ্ধতিকে গাছের বংশ বিস্তার বলে। অন্য কথায়, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাছ যৌন কোষ বা তার অংগজ কোষ থেকে নুতন স্বতন্ত্র গাছ সৃষ্টি করে তাকে বংশ বিস্তার বলে। বংশ বিস্তার দুই প্রকার যথা- যৌন বংশ বিস্তার ও অযৌন বংশ বিস্তার।

ফল

ফল

বিশ্বের প্রথম কলমজাত উদ্ভিদ ছিল বিজারিয়া। এটি একটি লেবুর গাছ। পরীক্ষামূলকভাবে এর এক অংশে কমলার গাছ কলম পদ্ধতিতে লাগানো হয়। এজন্যই পরবর্তীকে লেবুর এক পাশ কমলা হয়। বিজারিয়া ১৬৪৫ সালে আবিষ্কার করেন উদ্যানবিদ পিয়েত্রো নাটি। তবে ১৯০৭  সালে জার্মান উদ্ভিদবিজ্ঞানী হান্স উইঙ্কলার কালো নাইটশেড টমেটোর গাছে কলম করে পুনরায় এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন উইঙ্কলার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

একই গাছে দুই রঙের ফুল, অবাক বিশ্ব

আপডেট টাইম : ০৮:০১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আজব এক গাছ। ছবিটি দেখে নিশ্চয় চিনতে পেরেছেন, এটি চেরি ফুল গাছ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই গাছ রয়েছে। তবে এই গাছটি বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে ভিন্ন একটি কারণে। হ্যাঁ, আপনার ধারণা ঠিক! এই চেরি গাছের দুই পাশের ফুলের রং ভিন্ন।

লেবু

লেবুইংল্যান্ডের উত্তর সোমারসেটের ব্যাকওয়েলে রডনি রোডে রয়েছে এই ছোট্ট চেরি গাছটি। যেটি সবারই কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই গাছের বিশেষত্ব হচ্ছে এই চেরি গাছে দুটি আলাদা রঙের ফুল হয়। একদিকে গোলাপি এবং অন্যদিকটা সাদা ফুলে ছেয়ে থাকে গাছটি। দ্বৈত বর্ণের গাছটি ১৯৫০ এর দশকের শেষের দিকে রোপণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। এই গাছটির নাম অবশ্য শহরের বাচ্চারা দেয় স্ট্রবেরি অ্যান্ড ক্রিম ট্রি।

একই গাছে ভিন্ন রঙের ফুল

একই গাছে ভিন্ন রঙের ফুল

এই চেরি গাছটি অন্য প্রজাতির চেরি গাছ দ্বারা কলম করা হয়। আর এ কারণেই একই গাছে দুই রঙের ফুল ফোটে। সাধারণ ভাবে একটি গাছ থেকে আরেকটি গাছের জন্ম হওয়ার পদ্ধতিকে গাছের বংশ বিস্তার বলে। অন্য কথায়, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাছ যৌন কোষ বা তার অংগজ কোষ থেকে নুতন স্বতন্ত্র গাছ সৃষ্টি করে তাকে বংশ বিস্তার বলে। বংশ বিস্তার দুই প্রকার যথা- যৌন বংশ বিস্তার ও অযৌন বংশ বিস্তার।

ফল

ফল

বিশ্বের প্রথম কলমজাত উদ্ভিদ ছিল বিজারিয়া। এটি একটি লেবুর গাছ। পরীক্ষামূলকভাবে এর এক অংশে কমলার গাছ কলম পদ্ধতিতে লাগানো হয়। এজন্যই পরবর্তীকে লেবুর এক পাশ কমলা হয়। বিজারিয়া ১৬৪৫ সালে আবিষ্কার করেন উদ্যানবিদ পিয়েত্রো নাটি। তবে ১৯০৭  সালে জার্মান উদ্ভিদবিজ্ঞানী হান্স উইঙ্কলার কালো নাইটশেড টমেটোর গাছে কলম করে পুনরায় এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন উইঙ্কলার।