ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনের বিষয়ে টেলিফোনে মার্কিন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০
  • ২৪৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলা করতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়াতে চায় ওয়াশিংটন। আজ শনিবার এ বিষয়টি নিয়ে টেলিফোনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আলোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্তী মাইক পম্পেয়ও। ঠিক তার পরেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহ-মুখপাত্র কেল ব্রাউন একটি বিবৃতিও দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘গোটা বিশ্বে এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা বাড়াতে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের শক্তিকে ঝালিয়ে নিয়ে‌ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেয়ও এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।’ খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা’র।  

এমন একটি সময়ে ঐ সমুদ্রপথ নিয়ে বিরোধী অক্ষ জোরদার করার চেষ্টা হচ্ছে যখন সীমান্ত সংলগ্ন গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনা ঘাঁটি গেড়ে বসে। তাদের পিছু হটানো এবং সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য ভারতের পক্ষ থেকে সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে পুরোদমে চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি পানিপথে চীনের একাধিপত্য কিছুটা হলেও খর্ব করার জন্য জাপান, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া (কোয়াডভুক্ত রাষ্ট্র)-র সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে ভারত। কোভিড পরবর্তী বিশ্বে বহুপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন করে সাজানোর কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে বলছেন। বহুপাক্ষিকতার সংস্কারের কথাও বলছেন। কূটনীতিকদের মতে, কোয়াডকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নতুন এক শক্তি হিসেবে তুলে ধরলে পূর্ব এশিয়ার চীন-বিরোধী ব্লকটিকে (ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ইত্যাদি) পরবর্তী সময়ে একজোট করতে পারবে ভারত। দক্ষিণ চীন সাগরে অন্য রাষ্ট্রগুলির বাণিজ্য পথকে রুদ্ধ করছে বেজিং বলে অভিযোগ দেশগুলির। একাধিক বার তারা ভারতকে চীন-বিরোধী অক্ষের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে।

কিন্তু প্রকাশ্যে চীনের মতো একটি দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিতে চায়নি মোদী সরকার বলে দাবি করছে ভারতীয় গণমাধ্যম। নরম গরম নীতি নিয়েই এগোনো হয়েছে। কিন্তু ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় রক্তপাতের পর চীন নিয়ে আর নরমপন্থা না নেওয়ার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মার্কিন মুখপাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, আজ শনিবার জয়শঙ্করের সঙ্গে পম্পেয়ও’র আলোচনায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সংক্রান্ত নীতি ছাড়াও উঠে এসেছে কোভিড মোকাবিলা, আফগানিস্তান পরিস্থিতি, বছরের শেষে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে ২+২ বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে কথাবার্তাও।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চীনের বিষয়ে টেলিফোনে মার্কিন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৯:৩৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলা করতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়াতে চায় ওয়াশিংটন। আজ শনিবার এ বিষয়টি নিয়ে টেলিফোনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আলোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্তী মাইক পম্পেয়ও। ঠিক তার পরেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহ-মুখপাত্র কেল ব্রাউন একটি বিবৃতিও দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘গোটা বিশ্বে এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা বাড়াতে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের শক্তিকে ঝালিয়ে নিয়ে‌ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেয়ও এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।’ খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা’র।  

এমন একটি সময়ে ঐ সমুদ্রপথ নিয়ে বিরোধী অক্ষ জোরদার করার চেষ্টা হচ্ছে যখন সীমান্ত সংলগ্ন গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনা ঘাঁটি গেড়ে বসে। তাদের পিছু হটানো এবং সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য ভারতের পক্ষ থেকে সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে পুরোদমে চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি পানিপথে চীনের একাধিপত্য কিছুটা হলেও খর্ব করার জন্য জাপান, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া (কোয়াডভুক্ত রাষ্ট্র)-র সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে ভারত। কোভিড পরবর্তী বিশ্বে বহুপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন করে সাজানোর কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে বলছেন। বহুপাক্ষিকতার সংস্কারের কথাও বলছেন। কূটনীতিকদের মতে, কোয়াডকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নতুন এক শক্তি হিসেবে তুলে ধরলে পূর্ব এশিয়ার চীন-বিরোধী ব্লকটিকে (ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ইত্যাদি) পরবর্তী সময়ে একজোট করতে পারবে ভারত। দক্ষিণ চীন সাগরে অন্য রাষ্ট্রগুলির বাণিজ্য পথকে রুদ্ধ করছে বেজিং বলে অভিযোগ দেশগুলির। একাধিক বার তারা ভারতকে চীন-বিরোধী অক্ষের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে।

কিন্তু প্রকাশ্যে চীনের মতো একটি দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিতে চায়নি মোদী সরকার বলে দাবি করছে ভারতীয় গণমাধ্যম। নরম গরম নীতি নিয়েই এগোনো হয়েছে। কিন্তু ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় রক্তপাতের পর চীন নিয়ে আর নরমপন্থা না নেওয়ার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মার্কিন মুখপাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, আজ শনিবার জয়শঙ্করের সঙ্গে পম্পেয়ও’র আলোচনায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সংক্রান্ত নীতি ছাড়াও উঠে এসেছে কোভিড মোকাবিলা, আফগানিস্তান পরিস্থিতি, বছরের শেষে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে ২+২ বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে কথাবার্তাও।