হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসন থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক অবিকল যেন বাবা মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ‘ফটোকপি’। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই হাওরের মাটি-আলো-বাতাসে দিনের পর দিন পরিণত হয়েছেন।
হাওরের আপামর মানুষের কাছে ‘ভাটির রত্ন’ হিসেবে পরিচিত এ সংসদ সদস্য করোনা সঙ্কটের শুরু থেকেই বঙ্গভবনের সুরম্য প্রাসাদ ছেড়ে এলাকার অতি দরিদ্র, অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। বাবার মতোই বঙ্গভবনে যেন তাঁর মন টিকে না। শরীর বঙ্গভবনে থাকলেও হৃদয়-মন যেন থাকে হাওরেই!
অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার কোন ইউনিয়নের মানুষ খাবারের কষ্টে আছেন, খোঁজ খবর নিয়ে তাদের কাছেই চাল-ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক। ছুটেছেন এক মাথা থেকে আরেক মাথায়।
সরকারি ত্রাণ সামগ্রীতেও চাহিদা না মেটায় নিজের উদ্যোগে সাধারণ মানুষের দূয়ারে সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন। নিজের নির্বাচনী এলাকার ২৪ টি ইউনিয়নের গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে ইতোমধ্যেই প্রায় ৮’শ বস্তা চাল, ৪ টন খেজুর, দেড়শ’ বস্তা ডাল, দেড়শ’ বস্তা আলু ও ৬০০ লিটার সয়াবিন তেল বিতরণ করেছেন।
পর্যাপ্ত পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, থার্মাল গান তুলে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছে। তিনিই একমাত্র সংসদ সদস্য, যিনি সরকার প্রধানের ঘোষণার আগেই মানবতার টানে হাওরের অসহায় কৃষকের ধান কেটে নেওয়ার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে নজির স্থাপন করেন। এক্ষেত্রে তিনি ছাত্রলীগকে পুরোপুরি কাজে লাগান।
তিন উপজেলার ২৪ টি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে সংসদ সদস্য তৌফিক ধান কাটার জন্য ১ হাজার ৭০০ কাঁচি উপহার দেন। এতে করে কৃষকদের মনোবল ফিরে আসে এবং তারা ফসল বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পান।