ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসব মুসলিম দেশেও বৈধ সমকামিতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৯:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০
  • ২২১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সমকামিতা নাম শুনেই কপাল ঘুচিয়ে নাক শিটকান অনেকেই। একে অনেক বিশেষজ্ঞ মানসিক বিকারগ্রস্তের কারণও বলেছেন। আবার কেউ কেউ এ ধরনের যৌনাচারণকে প্রকৃতিবিরুদ্ধও বলে থাকেন।

তবে যে যাই বলুক না কেন, ইসলাম ধর্মে পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ এটি। এমনকি পবিত্র কোরআনেও সমকামিতার জন্য একটি জাতি ধ্বংস হওয়ার কাহিনীও বর্ণনা করা আছে। সমকামিতার জন্য লূত (আ:) এর জাতির ধ্বংসের কাহিনী সব মুসলিমেরই জানা উচিত।

তবে জানেন কি? এত কিছুর পরও বিশ্বের কিছু মুসলিম দেশ রয়েছে যেগুলোতে সমকামিতা নিষিদ্ধ নয়। বরং তাদের রক্ষণাবেক্ষণে নেয়া হয় নানা পদক্ষেপ। আইনি সুযোগ সুবিধাও পান তারা। জেনে নিন এইসব মুসলিম দেশগুলো সম্পর্কে-

তুরস্ক

মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ইসলাম ধর্ম কড়াকড়িভাবে পালন করে এমন একটি দেশ তুরস্ক। সেই দেশেই সমকামিতা বৈধ। ১৮৫৮ সালে অটোমান সাম্রাজ্য সমকামিতাকে বৈধতা দেয়। এরপর তুরস্ক স্বাধীন হলেও সেই আইন বলবৎ রাখে দেশটি। তবে সে দেশের সংবিধানে সমকামীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থা নেই।

মালি

পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির সংবিধানে সমকামী কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়নি। মালি যতই রক্ষণশীল দেশ হোক না কেন, তাদের আইনে সমকামীতা অপরাধ নয়। তবে দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ সমকামিতা পছন্দ করে না। তাই বৈধ হলেও মালির সমকামীরা বেশ ভালোই বৈষম্যের শিকার হন। মালির আইনে সমকামিতা নিয়ে কিছুই বলে নেই। তবে অশ্লীলতা এবং অভদ্রোচিত আচরণকে সেখানে একেবারেই সমীহ করা হয় না।

জর্ডান

১৯৫১ সালে দেশটিতে সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া হয়। অন্যান্য মুসলিম প্রধান দেশের তুলনায় সেখানকার সমকামীরা বেশ ভালোই আছে। সরকারও আইন করে সমকামীদের অনার কিলিং (আন্ডার ওয়ার্ল্ড) এর হাত থেকে রক্ষা করেছে।

ইন্দোনেশিয়া

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস এই দেশটিতে। সেখানকার আইনে সমকামিতাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হয়না। ২০০৩ সালে একবার সেরকম উদ্যোগ নেয়া হলেও সেটি পরবর্তিতে ব্যর্থ হয়।

আলবেনিয়া

দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে সমকামিতা বৈধ। এমনকি আইন করে সমকামীদের বৈষম্যের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

বাহরাইন

১৯৭৬ সালে সেখানে সমকামিতাকে আইনগত বৈধতা দেয়। তবে দেশটিতে এখনও প্রকাশ্যে ছেলেরা মেয়েদের, কিংবা মেয়েরা ছেলেদের পোশাক পরতে পারে না।

ফিলিস্তিন 

পশ্চিম তীরের জর্ডান অংশে ১৯৫১ সাল থেকে সমকামিতা বৈধ। তবে গাজাতে এই প্রথা একেবারেই নিষিদ্ধ। মজার ব্যাপার হচ্ছে, গাজায় যে আইনের কারণে সমকামিতা নিষিদ্ধ সেটা বলবৎ হয়েছে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে। অন্যান্য মুসলিম প্রধান দেশের তুলনায় সেখানকার সমকামীরা বেশ সুখেই আছে। কারণ সরকারও আইন করে সমকামীদের আনার কিলিং (আন্ডার ওয়ার্ল্ড) দের থেকে রক্ষা করেছে।

ইরাক

সারাবিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ইরাক। তবে নানা কুসংস্কার আর সমকামিতার মতো ব্যাপারেও তাদের রয়েছে বৈধতা। দেশটি সমকামিতাকে বৈধতা দিলেও বিষয়টি এখনো সেখানে ট্যাবু হয়েই আছে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এসব মুসলিম দেশেও বৈধ সমকামিতা

আপডেট টাইম : ০৬:০৯:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সমকামিতা নাম শুনেই কপাল ঘুচিয়ে নাক শিটকান অনেকেই। একে অনেক বিশেষজ্ঞ মানসিক বিকারগ্রস্তের কারণও বলেছেন। আবার কেউ কেউ এ ধরনের যৌনাচারণকে প্রকৃতিবিরুদ্ধও বলে থাকেন।

তবে যে যাই বলুক না কেন, ইসলাম ধর্মে পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ এটি। এমনকি পবিত্র কোরআনেও সমকামিতার জন্য একটি জাতি ধ্বংস হওয়ার কাহিনীও বর্ণনা করা আছে। সমকামিতার জন্য লূত (আ:) এর জাতির ধ্বংসের কাহিনী সব মুসলিমেরই জানা উচিত।

তবে জানেন কি? এত কিছুর পরও বিশ্বের কিছু মুসলিম দেশ রয়েছে যেগুলোতে সমকামিতা নিষিদ্ধ নয়। বরং তাদের রক্ষণাবেক্ষণে নেয়া হয় নানা পদক্ষেপ। আইনি সুযোগ সুবিধাও পান তারা। জেনে নিন এইসব মুসলিম দেশগুলো সম্পর্কে-

তুরস্ক

মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ইসলাম ধর্ম কড়াকড়িভাবে পালন করে এমন একটি দেশ তুরস্ক। সেই দেশেই সমকামিতা বৈধ। ১৮৫৮ সালে অটোমান সাম্রাজ্য সমকামিতাকে বৈধতা দেয়। এরপর তুরস্ক স্বাধীন হলেও সেই আইন বলবৎ রাখে দেশটি। তবে সে দেশের সংবিধানে সমকামীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থা নেই।

মালি

পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির সংবিধানে সমকামী কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়নি। মালি যতই রক্ষণশীল দেশ হোক না কেন, তাদের আইনে সমকামীতা অপরাধ নয়। তবে দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ সমকামিতা পছন্দ করে না। তাই বৈধ হলেও মালির সমকামীরা বেশ ভালোই বৈষম্যের শিকার হন। মালির আইনে সমকামিতা নিয়ে কিছুই বলে নেই। তবে অশ্লীলতা এবং অভদ্রোচিত আচরণকে সেখানে একেবারেই সমীহ করা হয় না।

জর্ডান

১৯৫১ সালে দেশটিতে সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া হয়। অন্যান্য মুসলিম প্রধান দেশের তুলনায় সেখানকার সমকামীরা বেশ ভালোই আছে। সরকারও আইন করে সমকামীদের অনার কিলিং (আন্ডার ওয়ার্ল্ড) এর হাত থেকে রক্ষা করেছে।

ইন্দোনেশিয়া

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস এই দেশটিতে। সেখানকার আইনে সমকামিতাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হয়না। ২০০৩ সালে একবার সেরকম উদ্যোগ নেয়া হলেও সেটি পরবর্তিতে ব্যর্থ হয়।

আলবেনিয়া

দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে সমকামিতা বৈধ। এমনকি আইন করে সমকামীদের বৈষম্যের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

বাহরাইন

১৯৭৬ সালে সেখানে সমকামিতাকে আইনগত বৈধতা দেয়। তবে দেশটিতে এখনও প্রকাশ্যে ছেলেরা মেয়েদের, কিংবা মেয়েরা ছেলেদের পোশাক পরতে পারে না।

ফিলিস্তিন 

পশ্চিম তীরের জর্ডান অংশে ১৯৫১ সাল থেকে সমকামিতা বৈধ। তবে গাজাতে এই প্রথা একেবারেই নিষিদ্ধ। মজার ব্যাপার হচ্ছে, গাজায় যে আইনের কারণে সমকামিতা নিষিদ্ধ সেটা বলবৎ হয়েছে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে। অন্যান্য মুসলিম প্রধান দেশের তুলনায় সেখানকার সমকামীরা বেশ সুখেই আছে। কারণ সরকারও আইন করে সমকামীদের আনার কিলিং (আন্ডার ওয়ার্ল্ড) দের থেকে রক্ষা করেছে।

ইরাক

সারাবিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ইরাক। তবে নানা কুসংস্কার আর সমকামিতার মতো ব্যাপারেও তাদের রয়েছে বৈধতা। দেশটি সমকামিতাকে বৈধতা দিলেও বিষয়টি এখনো সেখানে ট্যাবু হয়েই আছে।