ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বানিয়াচংয়ের রেড কিং

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০
  • ২০০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর হাটে বিক্রয়ের জন্য দেশীয় প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন পরিচর্যার মাধ্যমে প্রস্তুত করা হচ্ছে রেড-কিং নামের ষাঁড়টিকে। সাড়ে চার বছর বয়সের এই ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৯ ফুট, উচ্চতা সাড়ে ছয় ফুট। লাল রংয়ের এই ষাঁড়টির বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। ওজন হবে ৩৭ মণ। রেড কিং জাতের গরু। বানিয়াচং উপজেলার শেখের মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট গোলাম ওয়াহেদ মিয়া এই ষাঁড়টির মালিক। শাহী ওয়ান ও ফ্রিজিয়ান জাত থেকে শঙ্করায়নের মাধ্যমে নিজস্ব খামারে উৎপাদিত এই ষাঁড়টির পরিচর্যার জন্য খরচ বাবত প্রতিদিন ৫শ টাকার প্রয়োজন হয়। রেড কিংয়ের দৈনিক খাবার তালিকায় রয়েছে ভুষি, ডাল, খুদের জাউ, কাঁচাঘাস ও খড়।

গত ঈদুল আজহায় রেড-কিং ষাঁড়টি বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করা হলেও গতবার কোরবানির হাটে উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় বিক্রয় করা হয়নি। স্থানীয় মার্কেটে চাহিদা না থাকায় ষাঁড়টিকে সিলেট পশুর হাটে নেয়া হলেও বিক্রয় করা যায়নি। এ বছর রেড-কিং ষাঁড়টিকে ঢাকার পশুর হাটে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাধারা করছেন এর মালিক। ষাঁড়টির মালিক জানান, গতবার বিক্রয় না হলেও সমস্যা ছিল না। কিন্তু এই বছর ষাঁড়টি উপযুক্ত মূল্য পেলে বিক্রয় করতে হবে। কারণ প্রতিদিনকার খরচ করে আর পোষাচ্ছে না। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ষাঁড়টিকে উৎপাদন করায় এর মাংস হবে সুস্বাদু এবং নিরাপদ। রেড-কিং ষাঁড়ের মালিক গোলাম ওয়াহেদ মিয়া জানান, ষাঁড়টি আমার ঘরের গরু থেকে শঙ্করায়নের মাধ্যমে উৎপাদন করেছি। ভেজালমুক্ত খাবার খাওয়াচ্ছি।
ষাঁড়টির মাংস হবে সব ধরনের ভেজালমুক্ত। উপযুক্ত দাম পেলে ষাঁড়টি বিক্রয় করবো। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সুমন দাশ বলেন, রেড-কিং ষাঁড়টির মাংস ভালো হবে। নিরাপদ হবে। কারণ এটি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করা হয়েছে। ষাঁড়টির মালিকের নাম্বার দেয়া হলো ক্রয়-আগ্রহীরা প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭১০-৬০৮৪৫৭ মোবাইল ফোন নম্বরে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বানিয়াচংয়ের রেড কিং

আপডেট টাইম : ১০:৩৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর হাটে বিক্রয়ের জন্য দেশীয় প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন পরিচর্যার মাধ্যমে প্রস্তুত করা হচ্ছে রেড-কিং নামের ষাঁড়টিকে। সাড়ে চার বছর বয়সের এই ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৯ ফুট, উচ্চতা সাড়ে ছয় ফুট। লাল রংয়ের এই ষাঁড়টির বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। ওজন হবে ৩৭ মণ। রেড কিং জাতের গরু। বানিয়াচং উপজেলার শেখের মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট গোলাম ওয়াহেদ মিয়া এই ষাঁড়টির মালিক। শাহী ওয়ান ও ফ্রিজিয়ান জাত থেকে শঙ্করায়নের মাধ্যমে নিজস্ব খামারে উৎপাদিত এই ষাঁড়টির পরিচর্যার জন্য খরচ বাবত প্রতিদিন ৫শ টাকার প্রয়োজন হয়। রেড কিংয়ের দৈনিক খাবার তালিকায় রয়েছে ভুষি, ডাল, খুদের জাউ, কাঁচাঘাস ও খড়।

গত ঈদুল আজহায় রেড-কিং ষাঁড়টি বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করা হলেও গতবার কোরবানির হাটে উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় বিক্রয় করা হয়নি। স্থানীয় মার্কেটে চাহিদা না থাকায় ষাঁড়টিকে সিলেট পশুর হাটে নেয়া হলেও বিক্রয় করা যায়নি। এ বছর রেড-কিং ষাঁড়টিকে ঢাকার পশুর হাটে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাধারা করছেন এর মালিক। ষাঁড়টির মালিক জানান, গতবার বিক্রয় না হলেও সমস্যা ছিল না। কিন্তু এই বছর ষাঁড়টি উপযুক্ত মূল্য পেলে বিক্রয় করতে হবে। কারণ প্রতিদিনকার খরচ করে আর পোষাচ্ছে না। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ষাঁড়টিকে উৎপাদন করায় এর মাংস হবে সুস্বাদু এবং নিরাপদ। রেড-কিং ষাঁড়ের মালিক গোলাম ওয়াহেদ মিয়া জানান, ষাঁড়টি আমার ঘরের গরু থেকে শঙ্করায়নের মাধ্যমে উৎপাদন করেছি। ভেজালমুক্ত খাবার খাওয়াচ্ছি।
ষাঁড়টির মাংস হবে সব ধরনের ভেজালমুক্ত। উপযুক্ত দাম পেলে ষাঁড়টি বিক্রয় করবো। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সুমন দাশ বলেন, রেড-কিং ষাঁড়টির মাংস ভালো হবে। নিরাপদ হবে। কারণ এটি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করা হয়েছে। ষাঁড়টির মালিকের নাম্বার দেয়া হলো ক্রয়-আগ্রহীরা প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭১০-৬০৮৪৫৭ মোবাইল ফোন নম্বরে।