ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিজের দূর্গন্ধযুক্ত মোজা বিক্রি করেই বছরে আয় ৯৫ লাখ টাকা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০
  • ২২১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অনেকেই নানা কিছু বিক্রি করে আয় করেন। পোশাক, খাবার, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ইত্যাদি থাকে সেই বিক্রির তালিকায়। তবে জেনে অবাক হবেন, এমন একজন নারী রয়েছেন যিনি তার দুর্গন্ধযুক্ত মোজা বিক্রি করে বছরে আয় করেন ৯৫ লাখ টাকা। কি অবাক হচ্ছে? অবাক হলেও এটি সত্যি!

শুধুমাত্র নিজের পায়ের মোজা বিক্রি করে বছরে ১ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড আয় করেন এই সুন্দরী রমণী! তবে নতুন কোনো মোজা নয়, তারই ব্যবহার করা দুর্গন্ধযুক্ত মোজা বিক্রি করে এই আয়!

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখান থেকেই জানা যায়, ৩৩ বছরের মডেল রক্সি সাইকসের নিজের ব্যবহৃত মোজা বিক্রির কথা। তিনি জানান যে, সে তার ব্যবহার করা মোজা ও জুতা বিক্রি করে বছরে অনেক টাকা আয় করেন। তার অর্থ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯৫ লাখ টাকা।

রক্সি সাইকসে দুর্গন্ধযুক্ত মোজা

রক্সি হলেন একজন ‘ফুট ফেটিশ মডেল’। এর মানে হলো, তিনি শুধুমাত্র তার পা দেখিয়েই পুরুষদের যৌন মনোরঞ্জন করে থাকেন।

লন্ডনের বাসিন্দা এই রক্সি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে প্রায়ই নিজের পায়ের বিভিন্ন বিভঙ্গের ছবি পোস্ট করেন। তার পায়ের এসব ছবি নিয়ে চর্চাও কিন্তু কম হয় না সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডলে ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ১০,০০০-এরও বেশি।

তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র তার ফ্যানদের দাবি মেনেই তিনি তার ব্যবহৃত মোজা বিক্রি শুরু করেছেন। তিনি যখন বিক্রি শুরু করেন তখন প্রথমে তার মোজার দাম ছিল ২০ পাইন্ড ও জুতার দাম ছিল ২০০ পাউন্ড। ৪ বছর ধরে এই বিক্রির পরে রক্সি বুঝতে পারেন যে, এই বিক্রির কারণে তার মাসিক আয় ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০০০ পাউন্ড ছাড়িয়ে গেছে।

রক্সি সাইকস

তিনি কীভাবে এই ফুট ফেটিশিজম-এর জগতে এলেন? এই প্রশ্ন তাকে করা হলে রক্সি জানান যে, তারই এক সহকর্মী তাকে এক সময়ে জানিয়েছিলেন তার পা দুটো খুব সুন্দর। এই কথা শোনার পরেই তিনি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তার পায়ের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে শুরু করেন। প্রথমে যখন তিনি এসব শুরু করেন তখন তিনি তার মুখ দেখাতেন না। তবে আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা বাড়ার ফলে একসময় তিনি মুখ দেখাতে বাধ্য হন।

তিনি জানিয়েছেন যে, তার এর পরের পদক্ষেপ ছিল মোজা ও জুতা বিক্রি করা। কারণ ছবি ও ভিডিও দেখে ফলোয়াররা তার কাছ থেকে আরো অনেক বেশি কিছু চাইতে শুরু করেন। আপাতত এই কাজ করে খুব খুশি রক্সি। কারণ এখন নিজের পায়ের ম্যাজিক দেখিয়ে এবং তার মাধ্যমে ইনকাম করার উপায় এখন তার হাতের মুঠোয়। আসলে তার পায়ের পাতায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নিজের দূর্গন্ধযুক্ত মোজা বিক্রি করেই বছরে আয় ৯৫ লাখ টাকা

আপডেট টাইম : ০৪:৩২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অনেকেই নানা কিছু বিক্রি করে আয় করেন। পোশাক, খাবার, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ইত্যাদি থাকে সেই বিক্রির তালিকায়। তবে জেনে অবাক হবেন, এমন একজন নারী রয়েছেন যিনি তার দুর্গন্ধযুক্ত মোজা বিক্রি করে বছরে আয় করেন ৯৫ লাখ টাকা। কি অবাক হচ্ছে? অবাক হলেও এটি সত্যি!

শুধুমাত্র নিজের পায়ের মোজা বিক্রি করে বছরে ১ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড আয় করেন এই সুন্দরী রমণী! তবে নতুন কোনো মোজা নয়, তারই ব্যবহার করা দুর্গন্ধযুক্ত মোজা বিক্রি করে এই আয়!

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখান থেকেই জানা যায়, ৩৩ বছরের মডেল রক্সি সাইকসের নিজের ব্যবহৃত মোজা বিক্রির কথা। তিনি জানান যে, সে তার ব্যবহার করা মোজা ও জুতা বিক্রি করে বছরে অনেক টাকা আয় করেন। তার অর্থ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯৫ লাখ টাকা।

রক্সি সাইকসে দুর্গন্ধযুক্ত মোজা

রক্সি হলেন একজন ‘ফুট ফেটিশ মডেল’। এর মানে হলো, তিনি শুধুমাত্র তার পা দেখিয়েই পুরুষদের যৌন মনোরঞ্জন করে থাকেন।

লন্ডনের বাসিন্দা এই রক্সি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে প্রায়ই নিজের পায়ের বিভিন্ন বিভঙ্গের ছবি পোস্ট করেন। তার পায়ের এসব ছবি নিয়ে চর্চাও কিন্তু কম হয় না সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডলে ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ১০,০০০-এরও বেশি।

তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র তার ফ্যানদের দাবি মেনেই তিনি তার ব্যবহৃত মোজা বিক্রি শুরু করেছেন। তিনি যখন বিক্রি শুরু করেন তখন প্রথমে তার মোজার দাম ছিল ২০ পাইন্ড ও জুতার দাম ছিল ২০০ পাউন্ড। ৪ বছর ধরে এই বিক্রির পরে রক্সি বুঝতে পারেন যে, এই বিক্রির কারণে তার মাসিক আয় ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০০০ পাউন্ড ছাড়িয়ে গেছে।

রক্সি সাইকস

তিনি কীভাবে এই ফুট ফেটিশিজম-এর জগতে এলেন? এই প্রশ্ন তাকে করা হলে রক্সি জানান যে, তারই এক সহকর্মী তাকে এক সময়ে জানিয়েছিলেন তার পা দুটো খুব সুন্দর। এই কথা শোনার পরেই তিনি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তার পায়ের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে শুরু করেন। প্রথমে যখন তিনি এসব শুরু করেন তখন তিনি তার মুখ দেখাতেন না। তবে আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা বাড়ার ফলে একসময় তিনি মুখ দেখাতে বাধ্য হন।

তিনি জানিয়েছেন যে, তার এর পরের পদক্ষেপ ছিল মোজা ও জুতা বিক্রি করা। কারণ ছবি ও ভিডিও দেখে ফলোয়াররা তার কাছ থেকে আরো অনেক বেশি কিছু চাইতে শুরু করেন। আপাতত এই কাজ করে খুব খুশি রক্সি। কারণ এখন নিজের পায়ের ম্যাজিক দেখিয়ে এবং তার মাধ্যমে ইনকাম করার উপায় এখন তার হাতের মুঠোয়। আসলে তার পায়ের পাতায়।