হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন করে কমপক্ষে ১০ হাজার লোক পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। অন্তত দুই হাজার পরিবারের বাড়িঘর বানের পানিতে একাকার হয়ে পড়েছে।
এছাড়া রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মসজিদ, শ্মশানসহ বিভিন্ন স্থাপনা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। নতুন করে আরো বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলার ঘাগড়া, কেওয়াজোড়, মিঠামইন সদর, গোপদীঘি, ঢাকী, কাটখাল ও বৈরাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন।
এর মধ্যে ঘাগড়া নতুন বাজার, পুরাতন বাজার, মালিউন্দ বাজার, কাটখাল বাজার পানির উপর ভাসছে।
এ রকম পরিস্থিতিতে মিঠামইন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফ কামাল বন্যাকবলিত বিভিন্ন বানভাসী পরিবারের মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
এছাড়া কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহান, জেলা পরিষদের সদস্য সমীর কুমার বৈষ্ণব, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোল্লা খলিলুর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) তাইজ উদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনের সময় তাঁরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ধৈর্য্যরে সাথে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার পরামর্শ দেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত তালিকা অনুযায়ী বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করার আশ্বাস দেন।