ঢাকা ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গানের তালে তালে নাচে যে গাছ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০
  • ২৩২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ছোট-বড় সবারই রয়েছে ভালোবাসা। মাঝে মধ্যে গানের তালে তালে নেচেও ওঠেন অনেকেই। বড়রা গানের মানে বুঝে নাচলেও অনেক সময় দেখা যায়, অবোধ শিশুটি সুর-তালের মোহময় ছন্দে ছন্দ মেলাতে চায়। তেমনিভাবে কিছু কিছু পশু-পাখিকেও দেখা যায় সঙ্গীতের প্রভাবে নেচে উঠতে।

তবে আজকে আপনাদের জানাবো এমন একটি অদ্ভুত তথ্য, যা জানলে অবাক না হয়ে উপায় নেই! ভেবে দেখুন তো, মাটিতে শিকড় গেড়ে থাকা উদ্ভিদও কি নাচে সঙ্গীতের সুর-মূর্চ্ছনার তালে তালে? এ প্রশ্নের জবাবটি হচ্ছে ‘হ্যাঁ’।

গাছের তো কান নেই, নিশ্চয় গাছ কথা শুনতে পারে না, তাহলে গাছ কীভাবে নাচবে? এমন প্রশ্ন অবশ্যই সবার মনেই বাসা বাঁধবে। তবে এমন কিছু গাছ আছে, যারা শব্দতরঙ্গ টের পায়, এবং শব্দ শুনে দুলে ওঠে!

টেলিগ্রাফ গাছ

টেলিগ্রাফ গাছ

গান বাজলেই থিরথির করে কাঁপতে শুরু করে টেলিগ্রাফ নামের এই গাছটি। বাংলাদেশে এই প্রজাতির উদ্ভিতটি বনচাঁড়াল বা বনচণ্ডাল নামে পরিচিত। হাতে তুড়ি বাজালে এর পাতাগুলো দুলতে থাকে, তাই একে তুড়ি চণ্ডাল বা তুরুক চণ্ডালও বলা হয়। গ্রীষ্মপ্রধান এশীয় অঞ্চলে জন্মানো এই উদ্ভিদটি ‘সিনাফোর প্লান্ট’ নামেও পরিচিত। অনেকেই একে জানে অপরাজিতা নামে। সকালে রোদ প্রখর হওয়ার আগে এর পাতার নাচানাচি ভালো করে দেখা যায়। তীব্র রোদে এর অনুভূতি কমে আসে।

টেলিগ্রাফ গাছ টেলিগ্রাফ গাছ

এই উদ্ভিদ বাংলাদেশেও প্রচুর জন্মে। এছাড়াও ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, চিন, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রিলঙ্কা, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে পাওয়া যায়। চার্লস ডারউইন তার ‘দি পাওয়ার অফ মুভমেন্টস ইন প্লান্টস’ বইতে বনচণ্ডালের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। বাংলার কৃতী বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুও এর ক্ষণস্থায়ী নড়াচড়া নিয়ে গবেষণা করেছিলেন।

সঙ্গীতের তালে তাল মিলিয়ে উদ্ভিদের এই নাচের রহস্য এখনো ভেদ করা যায়নি, তবে বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিযে যাচ্ছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গানের তালে তালে নাচে যে গাছ

আপডেট টাইম : ০৪:৩৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ছোট-বড় সবারই রয়েছে ভালোবাসা। মাঝে মধ্যে গানের তালে তালে নেচেও ওঠেন অনেকেই। বড়রা গানের মানে বুঝে নাচলেও অনেক সময় দেখা যায়, অবোধ শিশুটি সুর-তালের মোহময় ছন্দে ছন্দ মেলাতে চায়। তেমনিভাবে কিছু কিছু পশু-পাখিকেও দেখা যায় সঙ্গীতের প্রভাবে নেচে উঠতে।

তবে আজকে আপনাদের জানাবো এমন একটি অদ্ভুত তথ্য, যা জানলে অবাক না হয়ে উপায় নেই! ভেবে দেখুন তো, মাটিতে শিকড় গেড়ে থাকা উদ্ভিদও কি নাচে সঙ্গীতের সুর-মূর্চ্ছনার তালে তালে? এ প্রশ্নের জবাবটি হচ্ছে ‘হ্যাঁ’।

গাছের তো কান নেই, নিশ্চয় গাছ কথা শুনতে পারে না, তাহলে গাছ কীভাবে নাচবে? এমন প্রশ্ন অবশ্যই সবার মনেই বাসা বাঁধবে। তবে এমন কিছু গাছ আছে, যারা শব্দতরঙ্গ টের পায়, এবং শব্দ শুনে দুলে ওঠে!

টেলিগ্রাফ গাছ

টেলিগ্রাফ গাছ

গান বাজলেই থিরথির করে কাঁপতে শুরু করে টেলিগ্রাফ নামের এই গাছটি। বাংলাদেশে এই প্রজাতির উদ্ভিতটি বনচাঁড়াল বা বনচণ্ডাল নামে পরিচিত। হাতে তুড়ি বাজালে এর পাতাগুলো দুলতে থাকে, তাই একে তুড়ি চণ্ডাল বা তুরুক চণ্ডালও বলা হয়। গ্রীষ্মপ্রধান এশীয় অঞ্চলে জন্মানো এই উদ্ভিদটি ‘সিনাফোর প্লান্ট’ নামেও পরিচিত। অনেকেই একে জানে অপরাজিতা নামে। সকালে রোদ প্রখর হওয়ার আগে এর পাতার নাচানাচি ভালো করে দেখা যায়। তীব্র রোদে এর অনুভূতি কমে আসে।

টেলিগ্রাফ গাছ টেলিগ্রাফ গাছ

এই উদ্ভিদ বাংলাদেশেও প্রচুর জন্মে। এছাড়াও ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, চিন, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রিলঙ্কা, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে পাওয়া যায়। চার্লস ডারউইন তার ‘দি পাওয়ার অফ মুভমেন্টস ইন প্লান্টস’ বইতে বনচণ্ডালের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। বাংলার কৃতী বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুও এর ক্ষণস্থায়ী নড়াচড়া নিয়ে গবেষণা করেছিলেন।

সঙ্গীতের তালে তাল মিলিয়ে উদ্ভিদের এই নাচের রহস্য এখনো ভেদ করা যায়নি, তবে বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিযে যাচ্ছেন।