ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সহবাসে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মার্চ ২০২০
  • ২৫৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কোভিড-১৯ নামক করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সেই সঙ্গে থেমে নেই মৃত্যুর সংখ্যাও। তাই অনেকেই এই ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বিগ্নের মধ্যে রয়েছেন। করোনা প্রাদুর্ভাবে সহবাস নিরাপদ কিনা তা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে যুক্তরাজ্যের অনলাইন চিকিৎসা প্ল্যাটফর্ম জাভা’র ডা. সিমরান ডিও বলেন, ‘যেহেতু এটি নতুন ধরনের করোনাভাইরাস, তাই আমরা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত না যে ঠিক কিভাবে সংক্রমণটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আমরা জানি যে, একইরকম অবস্থা হাচি-কাঁশির মাধ্যমে ছড়ায়। কভিড-১৯ এর ক্ষেত্রেও তা মনে করা হচ্ছে, তবে এ ব্যাপারে আরো গবেষণা চলছে।’

বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আক্রান্ত কিংবা সন্দেহজনক আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে এবং ব্যক্তিগত সচেতনতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।

সংক্রমণ ছড়ানোর মাধ্যমগুলো ধারণা করার পর থেকে মহামারি বিশেষজ্ঞরা মানুষজনকে জনসমাগম, করমর্দন, কোলাকুলি এড়াতে উত্সাহিত করছেন। সুতরাং কারোনোভাইরাস আক্রান্ত এমন ব্যক্তির সাথে, ভাইরাসের ইনকিউবেশন পর্যায়ে যিনি কোয়ারান্টাইনের অধীনে আছেন, তার সাথে সহবাস করার পরামর্শ অবশ্যই দেয়া হয় না।

যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা যৌন মনোবিজ্ঞানী ডা. জাস্টিন লেহমিলার বলেন, ‘যদিও এমন কোনো প্রমাণ নেই যে শুক্রাণু এবং যোনি নিঃসরণের মতো শারীরিক তরলগুলোর মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। তবে আমরা জানি যে, এই ভাইরাসটি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই চুম্বনের মতো অন্যান্য সাধারণ ঘনিষ্ঠ কাজগুলো সম্ভবত সংক্রমণের গুরুত্বপূর্ণ পথ হতে পারে।’

ফলস্বরূপ, করোনভাইরাস মহামারি চলাকালীন সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। ডা. লেহমিলারের পরামর্শ হচ্ছে-

সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মেনে চলুন: ডা. লেহমিলার করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে যুগলদেরকে ডেটিং স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব ভাইরাসটির ব্যাপক বিস্তার এড়ানোর মূল চাবিকাঠি।

কোনো উপসর্গ দেখা দিলে সহবাস এড়িয়ে চলুন: আপনার বা আপনার সঙ্গীর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে, সহবাস এড়ানো সম্ভবত বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ডা. লেহমিলার বলেন, ‘আপনি বা আপনার সঙ্গী করোনাভাইরাস সম্পর্কিত কোনো উপসর্গ অনুভব করলে সহবাস এড়িয়ে চলুন।’ তিনি আরো বলেন, ‘তবে মনে রাখবেন যে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত উপসর্গবিহীন লোকেরাও সহজে অন্যদেরকে সংক্রমিত করতে পারেন।’

বিকল্প উপায় বিবেচনা করুন: সবশেষে ডা. লেহমিলার মহামারি চলাকালীন যৌন অভিব্যক্তির ‘বিকল্প রূপ’ বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সেক্সটিং, সাইবারসেক্স এবং ফোন সেক্স- করোনা ভাইরাসের (এবং অবশ্যই এসটিডি) সংক্রমণ ঝুঁকি না তৈরি করে সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িত হওয়ার কিছু উপায়।

তথ্যসূত্র : মিরর

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সহবাসে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে

আপডেট টাইম : ০৩:৫১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কোভিড-১৯ নামক করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সেই সঙ্গে থেমে নেই মৃত্যুর সংখ্যাও। তাই অনেকেই এই ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বিগ্নের মধ্যে রয়েছেন। করোনা প্রাদুর্ভাবে সহবাস নিরাপদ কিনা তা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে যুক্তরাজ্যের অনলাইন চিকিৎসা প্ল্যাটফর্ম জাভা’র ডা. সিমরান ডিও বলেন, ‘যেহেতু এটি নতুন ধরনের করোনাভাইরাস, তাই আমরা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত না যে ঠিক কিভাবে সংক্রমণটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আমরা জানি যে, একইরকম অবস্থা হাচি-কাঁশির মাধ্যমে ছড়ায়। কভিড-১৯ এর ক্ষেত্রেও তা মনে করা হচ্ছে, তবে এ ব্যাপারে আরো গবেষণা চলছে।’

বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আক্রান্ত কিংবা সন্দেহজনক আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে এবং ব্যক্তিগত সচেতনতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।

সংক্রমণ ছড়ানোর মাধ্যমগুলো ধারণা করার পর থেকে মহামারি বিশেষজ্ঞরা মানুষজনকে জনসমাগম, করমর্দন, কোলাকুলি এড়াতে উত্সাহিত করছেন। সুতরাং কারোনোভাইরাস আক্রান্ত এমন ব্যক্তির সাথে, ভাইরাসের ইনকিউবেশন পর্যায়ে যিনি কোয়ারান্টাইনের অধীনে আছেন, তার সাথে সহবাস করার পরামর্শ অবশ্যই দেয়া হয় না।

যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা যৌন মনোবিজ্ঞানী ডা. জাস্টিন লেহমিলার বলেন, ‘যদিও এমন কোনো প্রমাণ নেই যে শুক্রাণু এবং যোনি নিঃসরণের মতো শারীরিক তরলগুলোর মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। তবে আমরা জানি যে, এই ভাইরাসটি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই চুম্বনের মতো অন্যান্য সাধারণ ঘনিষ্ঠ কাজগুলো সম্ভবত সংক্রমণের গুরুত্বপূর্ণ পথ হতে পারে।’

ফলস্বরূপ, করোনভাইরাস মহামারি চলাকালীন সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। ডা. লেহমিলারের পরামর্শ হচ্ছে-

সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মেনে চলুন: ডা. লেহমিলার করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে যুগলদেরকে ডেটিং স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব ভাইরাসটির ব্যাপক বিস্তার এড়ানোর মূল চাবিকাঠি।

কোনো উপসর্গ দেখা দিলে সহবাস এড়িয়ে চলুন: আপনার বা আপনার সঙ্গীর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে, সহবাস এড়ানো সম্ভবত বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ডা. লেহমিলার বলেন, ‘আপনি বা আপনার সঙ্গী করোনাভাইরাস সম্পর্কিত কোনো উপসর্গ অনুভব করলে সহবাস এড়িয়ে চলুন।’ তিনি আরো বলেন, ‘তবে মনে রাখবেন যে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত উপসর্গবিহীন লোকেরাও সহজে অন্যদেরকে সংক্রমিত করতে পারেন।’

বিকল্প উপায় বিবেচনা করুন: সবশেষে ডা. লেহমিলার মহামারি চলাকালীন যৌন অভিব্যক্তির ‘বিকল্প রূপ’ বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সেক্সটিং, সাইবারসেক্স এবং ফোন সেক্স- করোনা ভাইরাসের (এবং অবশ্যই এসটিডি) সংক্রমণ ঝুঁকি না তৈরি করে সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িত হওয়ার কিছু উপায়।

তথ্যসূত্র : মিরর