ঢাকা ০৪:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাসের প্রথম টিকার পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪১:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ ২০২০
  • ৩৪৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের একটি টিকা তৈরি হয়েছে এবং তা আজই যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের দেহে পরীক্ষা করা শুরু হবে। বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে কাইজার পারমানেন্টে গবেষণাকেন্দ্রে ৪৫ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে।

এই টিকার উপাদান হলো, কভিড-নাইনটিন ভাইরাসের একটি জেনেটিক কোড – যা আসল ভাইরাসটি থেকেই নকল করে তৈরি করা হয়েছে। এই কপিটি বিপজ্জনক নয়, এবং এটা মানবদেহে সংক্রমণ ঘটাতেও পারে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভ্যাকসিনটি, বা এ রকম যে আরও কয়েকটি টিকা এখন গবেষণার পর্যায়ে আছে – তাতে আদৌ কোন কাজ হবে কিনা তা জানতে আরও অনেক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যাবে।

এমআরএনএ-১২৭৩ নামের এই টিকাটি কভিড-নাইনটিন সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ভাইরাস থেকে তৈরি নয়। বরং সেই ভাইরাসের জেনেটিক সংকেতের একটি অংশ কপি বা নকল করেছেন বিজ্ঞানীরা এবং সেটাই এই টিকাতে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।

আশা করা হচ্ছে, এই টিকা প্রয়োগ করা হলে, মানবদেহের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জাগিয়ে তুলেই ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা করা যাবে।

স্বেচ্ছাসেবকদের বাহুতে ২৮ দিন পর পর দুবার টিকাটি দেওয়া হবে।

পরীক্ষাটি যদি ভালোভাবে এবং নিরাপদে সম্পন্ন হয়, তাহলে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য পাওয়া যেতে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ এই ভ্যাকসিনটি মানবদেহে পরীক্ষা করার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বাদ দিচ্ছে। সেটি হলো, এই টিকাটি প্রাণীর দেহে সংক্রমণ-প্রতিরোধী ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে কিনা – তার পরীক্ষাটি এ ক্ষেত্রে করা হয়নি।

তবে মডার্না থেরাপিউটিক্স নামে যে বায়োটেকনোলজি কোম্পানি এ কাজটা করছে – তারা বলছে, বহুল-পরীক্ষিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এই ভ্যাকসিন বানানো হয়েছে।

ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. জন ট্রেগোনিং বলছেন, এই টিকা বিদ্যমান প্রযুক্তিই অনুসরণ করেছে, এবং অত্যন্ত উচ্চ মান রক্ষা করে এটি বানানো হয়েছে। আরও বলেন, “এতে যা ব্যবহৃত হয়েছে তা যে মানুষের দেহে ব্যবহার নিরাপদ তা আমাদের আগে থেকেই জানা এবং এই ট্রায়ালে যারা অংশ নেবেন তাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে মনিটর করা হবে।”

ড. ট্রেগোনিং জানান, প্রতিষেধক অত্যন্ত দ্রুত তৈরি হচ্ছে, কিন্তু এখন ভাইরাসটির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটতে হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

করোনাভাইরাসের প্রথম টিকার পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রে

আপডেট টাইম : ১১:৪১:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের একটি টিকা তৈরি হয়েছে এবং তা আজই যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের দেহে পরীক্ষা করা শুরু হবে। বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে কাইজার পারমানেন্টে গবেষণাকেন্দ্রে ৪৫ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে।

এই টিকার উপাদান হলো, কভিড-নাইনটিন ভাইরাসের একটি জেনেটিক কোড – যা আসল ভাইরাসটি থেকেই নকল করে তৈরি করা হয়েছে। এই কপিটি বিপজ্জনক নয়, এবং এটা মানবদেহে সংক্রমণ ঘটাতেও পারে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভ্যাকসিনটি, বা এ রকম যে আরও কয়েকটি টিকা এখন গবেষণার পর্যায়ে আছে – তাতে আদৌ কোন কাজ হবে কিনা তা জানতে আরও অনেক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যাবে।

এমআরএনএ-১২৭৩ নামের এই টিকাটি কভিড-নাইনটিন সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ভাইরাস থেকে তৈরি নয়। বরং সেই ভাইরাসের জেনেটিক সংকেতের একটি অংশ কপি বা নকল করেছেন বিজ্ঞানীরা এবং সেটাই এই টিকাতে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।

আশা করা হচ্ছে, এই টিকা প্রয়োগ করা হলে, মানবদেহের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জাগিয়ে তুলেই ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা করা যাবে।

স্বেচ্ছাসেবকদের বাহুতে ২৮ দিন পর পর দুবার টিকাটি দেওয়া হবে।

পরীক্ষাটি যদি ভালোভাবে এবং নিরাপদে সম্পন্ন হয়, তাহলে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য পাওয়া যেতে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ এই ভ্যাকসিনটি মানবদেহে পরীক্ষা করার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বাদ দিচ্ছে। সেটি হলো, এই টিকাটি প্রাণীর দেহে সংক্রমণ-প্রতিরোধী ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে কিনা – তার পরীক্ষাটি এ ক্ষেত্রে করা হয়নি।

তবে মডার্না থেরাপিউটিক্স নামে যে বায়োটেকনোলজি কোম্পানি এ কাজটা করছে – তারা বলছে, বহুল-পরীক্ষিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এই ভ্যাকসিন বানানো হয়েছে।

ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. জন ট্রেগোনিং বলছেন, এই টিকা বিদ্যমান প্রযুক্তিই অনুসরণ করেছে, এবং অত্যন্ত উচ্চ মান রক্ষা করে এটি বানানো হয়েছে। আরও বলেন, “এতে যা ব্যবহৃত হয়েছে তা যে মানুষের দেহে ব্যবহার নিরাপদ তা আমাদের আগে থেকেই জানা এবং এই ট্রায়ালে যারা অংশ নেবেন তাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে মনিটর করা হবে।”

ড. ট্রেগোনিং জানান, প্রতিষেধক অত্যন্ত দ্রুত তৈরি হচ্ছে, কিন্তু এখন ভাইরাসটির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটতে হচ্ছে।