ঢাকা ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপাক প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে যেসব খাবার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মার্চ ২০২০
  • ২২৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিপাক এমন একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যা শরীরকে প্রতিনিয়ত সতেজ রাখে ও সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে কার্যকর করতে সহায়তা করে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয়, মেটাবলিজমের কারণে প্রাণীদেহ টিকে থাকে ও বেড়ে ওঠে। এটি প্রাণীর দেহের গঠন ঠিক রাখে। বোঝাই যাচ্ছে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য মেটাবলিজম অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

লিঙ্গভেদে মেটাবলিজমের হার ভিন্ন হয়ে থাকে। এমনকি অনেক সময় শরীরের ওজনও মেটাবলিজমের হার ঠিক করে দেয়। আবার খাদ্যের ওপরও মেটাবলিজমের হার নির্ভর করে।

আমরা প্রতিদিন অনেক রকম খাবার খাই। এসব খাবারের মধ্যে কোনগুলো মেটাবলিজমের হার কমিয়ে ফেলছে বিষয়টি হয়তো আমাদের জানা নেই।

বিষয়টি হয়তো অনেকেরই অজানা। মেটাবলিজমের হার কমিয়ে ফেলে যেসব খাবার—

চিনির ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এবং আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রতিদিন ২৫-৩০ গ্রাম চিনি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সম্প্রতি হোলিস্টিক হেলথ কোচ এবং টোটালি ফিট মামার প্রতিষ্ঠাতা কোর্টনি ডেয়লং বলেন, বেশিরভাগ মানুষ প্রতিদিন ৪৮ চা চামচ চিনি খাচ্ছে।

তবে এখন প্রশ্ন হলো– চিনি না খেলে শরীরে মিষ্টির চাহিদা কীভাবে পূরণ হবে। ফলও মিষ্টি, তবে চিনির মতো নয়।

পরিশোধিত কার্বজাতীয় খাবার যেমন সাদা রুটি, সাদা ভাত প্রক্রিয়াকরণের সময় নির্যাস হারিয়ে ফেলে। ফাইবারের পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টিগুণও কিছুটা কমে যায়। এসব খাবার মেটাবলিজমের হার কমায়।

তাই পরিশোধিত খাবারের চেয়ে সম্পূর্ণ কার্বসজাতীয় খাদ্যগ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। যেমন শস্য, শাকসবজি, ফলমূল, শিমের বিচি ইত্যাদি। খাদ্য ভালোভাবে বিপাক না হলে শরীর প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দিতে পারে না।

চিকিৎসকদের মতে, ডায়েট চার্টে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার রাখার প্রবণতা মানুষের বেশি। যেমন উদ্ভিজ্জ তেল, মুরগি ইত্যাদি। অধিকাংশ সময় স্বাস্থ্যকর ওমেগা-৩ ফ্যাটযুক্ত খাবার রাখা হয় না। ফলে প্রদাহ তৈরি হয়, বিপাকে প্রভাব ফেলে। এ কারণে ওমেগা-৬ ও ৩-এর মধ্যে ভারসাম্য রেখে খাবার খেতে হবে।

আবার দুধ জাতীয় খাবার সবসময় ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় না। এসব খাবার প্রদাহের সৃষ্টি করে। তবে বাদাম দুধ খেয়ে দেখতে পারেন। অনেকেই আছে গম দিয়ে তৈরি খাদ্য খেতে পছন্দ করে। গমের রুটি খান। গম অন্ত্র, লিভার ও ইমিউনি সিস্টেমে প্রদাহজনিত চাপ তৈরি করে।

আর ডায়েটে প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখাতে হবে অবশ্যই। শরীরে প্রোটিন সংরক্ষণে অনেক শক্তির প্রয়োজন হয়। খাবার খাওয়ার সময় প্রতিটি খাবার থেকে আপনি ২০-৩০ গ্রাম প্রোটিন পাচ্ছেন কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিপাক প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে যেসব খাবার

আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিপাক এমন একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যা শরীরকে প্রতিনিয়ত সতেজ রাখে ও সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে কার্যকর করতে সহায়তা করে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয়, মেটাবলিজমের কারণে প্রাণীদেহ টিকে থাকে ও বেড়ে ওঠে। এটি প্রাণীর দেহের গঠন ঠিক রাখে। বোঝাই যাচ্ছে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য মেটাবলিজম অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

লিঙ্গভেদে মেটাবলিজমের হার ভিন্ন হয়ে থাকে। এমনকি অনেক সময় শরীরের ওজনও মেটাবলিজমের হার ঠিক করে দেয়। আবার খাদ্যের ওপরও মেটাবলিজমের হার নির্ভর করে।

আমরা প্রতিদিন অনেক রকম খাবার খাই। এসব খাবারের মধ্যে কোনগুলো মেটাবলিজমের হার কমিয়ে ফেলছে বিষয়টি হয়তো আমাদের জানা নেই।

বিষয়টি হয়তো অনেকেরই অজানা। মেটাবলিজমের হার কমিয়ে ফেলে যেসব খাবার—

চিনির ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এবং আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রতিদিন ২৫-৩০ গ্রাম চিনি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সম্প্রতি হোলিস্টিক হেলথ কোচ এবং টোটালি ফিট মামার প্রতিষ্ঠাতা কোর্টনি ডেয়লং বলেন, বেশিরভাগ মানুষ প্রতিদিন ৪৮ চা চামচ চিনি খাচ্ছে।

তবে এখন প্রশ্ন হলো– চিনি না খেলে শরীরে মিষ্টির চাহিদা কীভাবে পূরণ হবে। ফলও মিষ্টি, তবে চিনির মতো নয়।

পরিশোধিত কার্বজাতীয় খাবার যেমন সাদা রুটি, সাদা ভাত প্রক্রিয়াকরণের সময় নির্যাস হারিয়ে ফেলে। ফাইবারের পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টিগুণও কিছুটা কমে যায়। এসব খাবার মেটাবলিজমের হার কমায়।

তাই পরিশোধিত খাবারের চেয়ে সম্পূর্ণ কার্বসজাতীয় খাদ্যগ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। যেমন শস্য, শাকসবজি, ফলমূল, শিমের বিচি ইত্যাদি। খাদ্য ভালোভাবে বিপাক না হলে শরীর প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দিতে পারে না।

চিকিৎসকদের মতে, ডায়েট চার্টে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার রাখার প্রবণতা মানুষের বেশি। যেমন উদ্ভিজ্জ তেল, মুরগি ইত্যাদি। অধিকাংশ সময় স্বাস্থ্যকর ওমেগা-৩ ফ্যাটযুক্ত খাবার রাখা হয় না। ফলে প্রদাহ তৈরি হয়, বিপাকে প্রভাব ফেলে। এ কারণে ওমেগা-৬ ও ৩-এর মধ্যে ভারসাম্য রেখে খাবার খেতে হবে।

আবার দুধ জাতীয় খাবার সবসময় ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় না। এসব খাবার প্রদাহের সৃষ্টি করে। তবে বাদাম দুধ খেয়ে দেখতে পারেন। অনেকেই আছে গম দিয়ে তৈরি খাদ্য খেতে পছন্দ করে। গমের রুটি খান। গম অন্ত্র, লিভার ও ইমিউনি সিস্টেমে প্রদাহজনিত চাপ তৈরি করে।

আর ডায়েটে প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখাতে হবে অবশ্যই। শরীরে প্রোটিন সংরক্ষণে অনেক শক্তির প্রয়োজন হয়। খাবার খাওয়ার সময় প্রতিটি খাবার থেকে আপনি ২০-৩০ গ্রাম প্রোটিন পাচ্ছেন কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।