হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। এ ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা ভাইরাস ঘিরে বেশির ভাগ আলোচনা মাস্ক ও গ্লাভস পরা ও হাত ধোয়ার বিষয়টিকে ঘিরে।
স্মার্টফোন ও ল্যাপটপের মতো ব্যক্তিগত ডিভাইসগুলো জীবাণুমুক্ত করার দিকেও নজর দিতে হবে। স্বাস্থ্য গবেষকরা বিভিন্ন সময় স্মার্টফোনে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিষয়ে সতর্ক করেছেন, যা রোগ সৃষ্টি করতে পারে। যদি ডিভাইসে ব্যাকটেরিয়া থাকে, তবে বারবার হাত ধুয়েও কোনো কাজ হবে না।
এক গবেষণায় জানা গেছে, শৌচাগারের চেয়ে তিনগুণ বেশি জীবাণু থাকে স্মার্টফোনের পর্দায়। ইনস্যুরেনসটুগো নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই গবেষণা চালায়। গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, স্মার্টফোনের পর্দায় থাকা এসব জীবাণু ত্বকের রোগসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণ হতে পারে। পরীক্ষা করা স্মার্টফোনগুলোর পর্দার প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে গড়ে ৮৪ দশমিক ৯ ইউনিট জীবাণু পাওয়া গেছে। অন্যদিকে কমোড ও এর হাতলে থাকে সর্বোচ্চ ২৪ ইউনিট জীবাণু।
ইনস্যুরেন্সটুগো নামের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা গ্যারি বিস্টোন বলেন, ‘আমরা সাধারণত সব সময় স্মার্টফোন সঙ্গে নিয়েই ঘুরি। এভাবেই নানা জায়গা থেকে ঐ ফোনে বাসা বাঁধে জীবাণু।’
বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে স্মার্টফোন ব্যবহারের মাত্রা বেড়েই চলেছে। মূলত ভার্চ্যুয়াল জগতে সার্বক্ষণিক থাকার উপায় হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে স্মার্টফোন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক গবেষণায় জীবাণুর বিস্তারে স্মার্টফোনের ভূমিকার বিষয়টি জোরালো হয়েছে।
স্মার্টফোন ও অন্য ডিভাইস থেকে সংক্রমণ ঠেকাতে যা করবেন :
* একই পকেটে স্মার্টফোন ও রুমাল রাখবেন না। এতে আপনার ডিভাইসে থাকা জীবাণু রুমালের মাধ্যমে সহজে মুখে পৌঁছে যেতে পারে।
* ফোন কল করার সময় সরাসরি ফোন কানে ধরার বদলে হেডফোন ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভাইরাস ফোন থেকে মুখে পৌঁছাবে না। n যে কম্পিউটার একাধিক ব্যক্তি বারবার ব্যবহার করেন, সেগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। ক্যাফেতে বসে বা পাবলিক কম্পিউটারে বসতে হলে স্টেরিল গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন। n আপনার স্মার্টফোন যদি আইপি ৬৮ মানের বা পানিরোধী হয়, তবে তা সাবান ও পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। ফোন পরিষ্কারের আগে অবশ্যই তা বন্ধ করে নেবেন।
* হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা পরিষ্কারক কোনো উপাদানের সঙ্গে অ্যালকোহল মিশিয়ে গ্যাজেট পরিষ্কার করার কথা ভাবা যেতে পারে। যদিও এ প্রক্রিয়ায় ডিভাইস পরিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয় না।
* ল্যাপটপ পরিষ্কারের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে টিস্যু দিয়ে ল্যাপটপের প্রতিটি কোনা পরিষ্কার করতে হবে। এ জন্য শুরুতে ল্যাপটপ বন্ধ রাখতে হবে।
* এয়ারফোনও নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার কাজে লাগাতে পারে। n ফোন ও ল্যাপটপ পরিষ্কারের পর অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নেবেন। n দিনে অন্তত একবার আপনার ব্যবহূত ডিভাইসগুলো পরিষ্কার রাখুন। n অসুস্থ বা সন্দেহভাজন কারও ডিভাইস ধরার আগে সতর্ক থাকুন। নিজের ডিভাইস অন্যকে ব্যবহার করতে দেওয়ার আগেও সচেতন হন।