ঢাকা ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আপনার সঙ্গী আপনজন অবহেলা করছে বুঝবেন যেভাবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩১:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মার্চ ২০২০
  • ২১৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যেকোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ভিত্তি হলো নিয়মিত যোগাযোগ এবং সময় দেয়া। প্রতিটি সম্পর্কে একটি দায়িত্ববোধ থাকে। আর যখন এটি পালন করা হয়না তখন আর সম্পর্ক থাকে না। তবে এর জন্যও বুঝতে হবে সম্পর্কে অবহেলা আছে কি নেই।

চলুন জেনে নেয়া যাক আপনার সঙ্গী, আপনজন অবহেলা করছে কিনা বুঝবেন কীভাবে-

> হঠাৎ করে দেখবেন তার মাঝে অনেক পরিবর্তন। সারাদিন ব্যস্ততা দেখাবে। সারাদিন কল করলেও বলবে খেয়াল করিনি, না হয় বলবে ব্যস্ত আছি পরে কথা বলি। এই পরে এক দুই যুগও হতে পারে বা আজীবন। যখনই কিছু বলতে চাইবেন আপনার জন্য সময় হবে না। যতই বলেন জরুরি কথা আছে, সে এটাকে এড়িয়ে যাবে। নিজের খুব প্রয়োজনে কল করলেও রিসিভ করবে না কারণ তার তো প্রয়োজন নেই। আপনি খুব, রাগ অভিমান করবেন সে হয়তো একদিন কল দিবে একটা তারপর বলবে আপনি ই তো কল রিসিভ করেন না, তাই আর কল দেয়না। অভিনব অযুহাত। আর এতোদিন সে কি করলো তা বিষয় না কারণ সে তো মানুষ আর আপনি যন্ত্রমানব।

> তার সঙ্গে দেখা করতে চাইবেন সময় হবেনা তার। আর যদিও কোথাও যাবে আপনাকে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বলবে বাসায় ফিরতে হবে, বাসায় অনেক কাজ আছে। অর্থাৎ তার আর ভালোলাগে না আপনার সঙ্গ। নানা অযুহাত দেখাবে।

> আপনার এসএমএস দেখবে না, দেখলে ও উওর দিবে না। সারাদিন রাত অপেক্ষায় থেকেও লাভ নেই। আপনার ইনবক্স খালি থাকলেও তার ইনবক্স তো পরিপূর্ণ। সারাদিন, রাত অনলাইনে থাকলেও আপনাকে এসএমএস দিবেনা কারণ সে তো তখন অন্যজনকে নিয়ে ব্যস্ত, আপনি এসএমএস দিলে সে বিরক্ত হবে। এগুলোর কারণ হতে পারে সে অন্য ডালে বাসা বেঁধেছে। অথবা এখন আর একাকীত্ব নেই সব ফিরে পেয়েছে।

> সে আপনাকে এমন একটা পরিস্থিতিতে ফেলবে সম্পর্ক রাখবে না এটা স্পষ্ট কিন্তু মুখেও বলবে না। সরাসরি জিজ্ঞেস করলে বলবেন তোমাকে চাই, সারাজীবন সম্পর্ক রাখতে চাই। সম্পর্ক রাখার নমুনা এই! সারাদিন ব্যস্ততা দেখানো, রাতে ঘুম। দেখা হওয়াটা মুখ্য বিষয় না। নিয়মিত যোগাযোগ, সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করা, সব বিষয় শেয়ার করাই আসল।

> আপনি তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেখেন সেও যোগাযোগ করবে না। কারণ সে তো বিরক্তববোধ করে, আপনার সব কথায় এখন অসহ্য লাগে। আপনি যখন আবার যোগাযোগ করবেন এমন ভাব দেখাবে যেন আপনার আচরণেই সে কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু না আপনি যোগাযোগ বন্ধ করাই সে অনেক ভালো ছিলো, আনন্দে ছিলো।এজন্যই তো আপনার রাগ, অভিমানের আড়ালে ভালোবাসা, কষ্ট আর চোখের জল দেখতে পায়না। দেখতে পায়না বললে ভুল দেখার প্রয়োজন নেই।

> যখন আপনি তার মত করে চলতে শিখে যাবেন তখন এমন ভাব দেখাবে যেন সব দোষ আপনার। আপনিই আজকের পরিস্থিতির জন্য দায়ী। আমরা যে কোনো সম্পর্ক করি ভালো থাকতে, ভালো রাখতে। কিন্তু একতরফা কিছু তো হয়না। আর যে চায়না, তার থেকে দুরে থাকাই ভালো। কষ্ট যতই হোক প্রতিদিন অবহেলা, অপেক্ষার চেয়ে একবারে তাকে মুক্তি দেয়া উচিৎ। তাকে বিরক্ত না করাই ভালো। কারণ সে তার প্রয়োজনে আপনার কাছে এসেছিলো, এখন আর প্রয়োজন নেই।

যাদের অনেক অপশনের মাঝে আপনি একজন, তাদের কাছে আবেগ, অনুভূতি, ভালোবাসা, মুল্যহীন। তাদের তো অনেক আছে, সময় কাটানোর জন্য একজন না একজন তো ঠিকই পাবে যখন যাকে প্রয়োজন। ভালো থাকুক সবাই সবার মতো করে। ভালো থাকার জন্যই তো এতো আয়োজন। তবে ঝুলন্ত সম্পর্ক না রেখে বলে দেয়া ভালো তোমাকে চাইনা, তুমি আর যোগাযোগ করোনা। এতে করে সে কখনো আর বিরক্ত করবে না। কষ্ট একদিনই হবে। প্রতিদিন এভাবে একজনকে কষ্ট দেয়ার অধিকার তো কারো নেই। ছেড়ে গেলেও যেন সম্পর্ক ভালো থাকে তাই সাহসী হয়ে বলা উচিত। সমস্যা থাকতেই পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আপনার সঙ্গী আপনজন অবহেলা করছে বুঝবেন যেভাবে

আপডেট টাইম : ১১:৩১:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যেকোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ভিত্তি হলো নিয়মিত যোগাযোগ এবং সময় দেয়া। প্রতিটি সম্পর্কে একটি দায়িত্ববোধ থাকে। আর যখন এটি পালন করা হয়না তখন আর সম্পর্ক থাকে না। তবে এর জন্যও বুঝতে হবে সম্পর্কে অবহেলা আছে কি নেই।

চলুন জেনে নেয়া যাক আপনার সঙ্গী, আপনজন অবহেলা করছে কিনা বুঝবেন কীভাবে-

> হঠাৎ করে দেখবেন তার মাঝে অনেক পরিবর্তন। সারাদিন ব্যস্ততা দেখাবে। সারাদিন কল করলেও বলবে খেয়াল করিনি, না হয় বলবে ব্যস্ত আছি পরে কথা বলি। এই পরে এক দুই যুগও হতে পারে বা আজীবন। যখনই কিছু বলতে চাইবেন আপনার জন্য সময় হবে না। যতই বলেন জরুরি কথা আছে, সে এটাকে এড়িয়ে যাবে। নিজের খুব প্রয়োজনে কল করলেও রিসিভ করবে না কারণ তার তো প্রয়োজন নেই। আপনি খুব, রাগ অভিমান করবেন সে হয়তো একদিন কল দিবে একটা তারপর বলবে আপনি ই তো কল রিসিভ করেন না, তাই আর কল দেয়না। অভিনব অযুহাত। আর এতোদিন সে কি করলো তা বিষয় না কারণ সে তো মানুষ আর আপনি যন্ত্রমানব।

> তার সঙ্গে দেখা করতে চাইবেন সময় হবেনা তার। আর যদিও কোথাও যাবে আপনাকে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বলবে বাসায় ফিরতে হবে, বাসায় অনেক কাজ আছে। অর্থাৎ তার আর ভালোলাগে না আপনার সঙ্গ। নানা অযুহাত দেখাবে।

> আপনার এসএমএস দেখবে না, দেখলে ও উওর দিবে না। সারাদিন রাত অপেক্ষায় থেকেও লাভ নেই। আপনার ইনবক্স খালি থাকলেও তার ইনবক্স তো পরিপূর্ণ। সারাদিন, রাত অনলাইনে থাকলেও আপনাকে এসএমএস দিবেনা কারণ সে তো তখন অন্যজনকে নিয়ে ব্যস্ত, আপনি এসএমএস দিলে সে বিরক্ত হবে। এগুলোর কারণ হতে পারে সে অন্য ডালে বাসা বেঁধেছে। অথবা এখন আর একাকীত্ব নেই সব ফিরে পেয়েছে।

> সে আপনাকে এমন একটা পরিস্থিতিতে ফেলবে সম্পর্ক রাখবে না এটা স্পষ্ট কিন্তু মুখেও বলবে না। সরাসরি জিজ্ঞেস করলে বলবেন তোমাকে চাই, সারাজীবন সম্পর্ক রাখতে চাই। সম্পর্ক রাখার নমুনা এই! সারাদিন ব্যস্ততা দেখানো, রাতে ঘুম। দেখা হওয়াটা মুখ্য বিষয় না। নিয়মিত যোগাযোগ, সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করা, সব বিষয় শেয়ার করাই আসল।

> আপনি তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেখেন সেও যোগাযোগ করবে না। কারণ সে তো বিরক্তববোধ করে, আপনার সব কথায় এখন অসহ্য লাগে। আপনি যখন আবার যোগাযোগ করবেন এমন ভাব দেখাবে যেন আপনার আচরণেই সে কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু না আপনি যোগাযোগ বন্ধ করাই সে অনেক ভালো ছিলো, আনন্দে ছিলো।এজন্যই তো আপনার রাগ, অভিমানের আড়ালে ভালোবাসা, কষ্ট আর চোখের জল দেখতে পায়না। দেখতে পায়না বললে ভুল দেখার প্রয়োজন নেই।

> যখন আপনি তার মত করে চলতে শিখে যাবেন তখন এমন ভাব দেখাবে যেন সব দোষ আপনার। আপনিই আজকের পরিস্থিতির জন্য দায়ী। আমরা যে কোনো সম্পর্ক করি ভালো থাকতে, ভালো রাখতে। কিন্তু একতরফা কিছু তো হয়না। আর যে চায়না, তার থেকে দুরে থাকাই ভালো। কষ্ট যতই হোক প্রতিদিন অবহেলা, অপেক্ষার চেয়ে একবারে তাকে মুক্তি দেয়া উচিৎ। তাকে বিরক্ত না করাই ভালো। কারণ সে তার প্রয়োজনে আপনার কাছে এসেছিলো, এখন আর প্রয়োজন নেই।

যাদের অনেক অপশনের মাঝে আপনি একজন, তাদের কাছে আবেগ, অনুভূতি, ভালোবাসা, মুল্যহীন। তাদের তো অনেক আছে, সময় কাটানোর জন্য একজন না একজন তো ঠিকই পাবে যখন যাকে প্রয়োজন। ভালো থাকুক সবাই সবার মতো করে। ভালো থাকার জন্যই তো এতো আয়োজন। তবে ঝুলন্ত সম্পর্ক না রেখে বলে দেয়া ভালো তোমাকে চাইনা, তুমি আর যোগাযোগ করোনা। এতে করে সে কখনো আর বিরক্ত করবে না। কষ্ট একদিনই হবে। প্রতিদিন এভাবে একজনকে কষ্ট দেয়ার অধিকার তো কারো নেই। ছেড়ে গেলেও যেন সম্পর্ক ভালো থাকে তাই সাহসী হয়ে বলা উচিত। সমস্যা থাকতেই পারে।