ঢাকা ০৮:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্মজীবী নারীদের ঝটপট ডায়েট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মার্চ ২০২০
  • ২১০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কর্মজীবী নারীদের সকাল শুরু হয় খুব তাড়াহুড়োয়, তার পর সারা দিন কাটে কর্মস্থলে। রাতে বাড়ি ফিরে ফের নেমে পড়তে হয় ঘরে কাজে। এত ঊর্ধ্বশ্বাস ব্যস্ততায় তিনবেলার খাবারটাও ঠিকঠাকমতো খাওয়ার ফুরসত মেলে না। সেখানেও হুড়োহুড়ি। শরীর ফিট রাখতে গেলে সব বেলাতেই নির্দিষ্ট পরিমাণ খাওয়া জরুরি। তাই তিনবেলা পরিমিত আহারের সঙ্গে দ্রুত খাওয়ার উপযোগী কিছু স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসও প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে।

ভোরবেলা: সকালে শরীরের জ্বালানি চাহিদা পূরণ হোক উচ্চ কার্বোহাইড্রেট ও লো-ফ্যাট খাবার দিয়ে। সেক্ষেত্রে খেতে পারেন ফ্যাটবিহীন দুধে তৈরি এক কাপ চা ও কফি। সঙ্গে থাকবে দুটি চিনিছাড়া বিস্কুট।

সকালের নাস্তা: নাস্তায় কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের সমন্বয় রাখুন। ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা মেটাতে খান মৌসুমি ফল। সঙ্গে হাতে তৈরি রুটি, কর্নফ্লেক্স, ব্রেড স্যান্ডউইচ বা ওটমিল। সব মিলিয়ে সকালের নাস্তায় যেকোনো একটি ফলের সঙ্গে থাকবে এক কাপ দুধও।

দুপুরের আহার: কাজের চাপে অনেকের দুপুরে খাওয়া হয় না। অনেকে ঘুমভাব এড়াতেই দুপুরের খাবার খান না। কিন্তু জেনে রাখুন কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেলেই ঘুম ঘুম লাগতে পারে। এমন হলে প্রোটিন-জাতীয় খাবার ও সবজি দিয়েই সেরে নিন দুপুরের আহার। অল্প ভাতের সঙ্গে ডিম বা মুরগির মাংস থাকতে পারে। চিকেন স্যান্ডউইচ বা ভেজিটেবল পাস্তা বানিয়ে নিতে পারেন। আলাদা বাটিতে সালাদ বা ফল নিয়ে যান।

চা বিরতি: স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস শরীরের শক্তি অক্ষুণ্ণ রাখে। তাই বিকাল বা সন্ধ্যাবেলা দুটি চিনিছাড়া বিস্কুট, এক মুঠো বাদাম অথবা পপকর্ন খান। খানিক বাদে চুমুক দিন গরম গরম চায়ে।

রাতের খাবার: ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকে রাতে শুধু সালাদ বা প্রোটিন-জাতীয় খাবার খেতে অভ্যস্ত। সেক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ ভাত, ডাল, মুরগির মাংস বা মাছ, সালাদ ও ফল খান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কর্মজীবী নারীদের ঝটপট ডায়েট

আপডেট টাইম : ১০:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কর্মজীবী নারীদের সকাল শুরু হয় খুব তাড়াহুড়োয়, তার পর সারা দিন কাটে কর্মস্থলে। রাতে বাড়ি ফিরে ফের নেমে পড়তে হয় ঘরে কাজে। এত ঊর্ধ্বশ্বাস ব্যস্ততায় তিনবেলার খাবারটাও ঠিকঠাকমতো খাওয়ার ফুরসত মেলে না। সেখানেও হুড়োহুড়ি। শরীর ফিট রাখতে গেলে সব বেলাতেই নির্দিষ্ট পরিমাণ খাওয়া জরুরি। তাই তিনবেলা পরিমিত আহারের সঙ্গে দ্রুত খাওয়ার উপযোগী কিছু স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসও প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে।

ভোরবেলা: সকালে শরীরের জ্বালানি চাহিদা পূরণ হোক উচ্চ কার্বোহাইড্রেট ও লো-ফ্যাট খাবার দিয়ে। সেক্ষেত্রে খেতে পারেন ফ্যাটবিহীন দুধে তৈরি এক কাপ চা ও কফি। সঙ্গে থাকবে দুটি চিনিছাড়া বিস্কুট।

সকালের নাস্তা: নাস্তায় কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের সমন্বয় রাখুন। ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা মেটাতে খান মৌসুমি ফল। সঙ্গে হাতে তৈরি রুটি, কর্নফ্লেক্স, ব্রেড স্যান্ডউইচ বা ওটমিল। সব মিলিয়ে সকালের নাস্তায় যেকোনো একটি ফলের সঙ্গে থাকবে এক কাপ দুধও।

দুপুরের আহার: কাজের চাপে অনেকের দুপুরে খাওয়া হয় না। অনেকে ঘুমভাব এড়াতেই দুপুরের খাবার খান না। কিন্তু জেনে রাখুন কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেলেই ঘুম ঘুম লাগতে পারে। এমন হলে প্রোটিন-জাতীয় খাবার ও সবজি দিয়েই সেরে নিন দুপুরের আহার। অল্প ভাতের সঙ্গে ডিম বা মুরগির মাংস থাকতে পারে। চিকেন স্যান্ডউইচ বা ভেজিটেবল পাস্তা বানিয়ে নিতে পারেন। আলাদা বাটিতে সালাদ বা ফল নিয়ে যান।

চা বিরতি: স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস শরীরের শক্তি অক্ষুণ্ণ রাখে। তাই বিকাল বা সন্ধ্যাবেলা দুটি চিনিছাড়া বিস্কুট, এক মুঠো বাদাম অথবা পপকর্ন খান। খানিক বাদে চুমুক দিন গরম গরম চায়ে।

রাতের খাবার: ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকে রাতে শুধু সালাদ বা প্রোটিন-জাতীয় খাবার খেতে অভ্যস্ত। সেক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ ভাত, ডাল, মুরগির মাংস বা মাছ, সালাদ ও ফল খান।