ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান, দূরে থাকবে করোনা ভাইরাস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০
  • ২০৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কোভিড-১৯ যা নভেল করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত। করোনা ভাইরাস বর্তমানে মারাত্মক আকারে রূপ নিচ্ছে। ভয়, আতঙ্কের শেষ নেই। ক্রমেই মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। স্বাভাবিক কাজ-কর্মকে স্থগিত করে তুলেছে। শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো নাক দিয়ে পানি পরা, গলা ব্যথা, কাশি এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে এই ভাইরাস। কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। তবে, এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

 নারী পুরুষ হিসেব করলে পুরুষরা নারীদের চেয়ে বেশি মারা যাচ্ছে। নারী-এক দশমিক সাত শতাংশ, পুরুষ-দুই দশমিক আট শতাংশ।

যাদের আগে থেকেই হৃদযন্ত্রের সমস্যা, ডায়াবেটিস,শ্বাসতন্ত্রের অসুখ এবং উচ্চ-রক্তচাপ রয়েছে তারা এই ভাইরাসে সহজেই সংক্রমিত হতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে৷ আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিহত করা যায়।

করোনা ভাইরাস রুখতে প্রয়োজন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। জেনে নিন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী কী খাবেন:

  • সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। বিশেষ করে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
  • সবুজ শাক সবজিতে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, মিনারেল ও ফাইবার যা খুবই উপকারি।
  • ভিটামিন এ সমৃদ্ধ আবার আবার একটু বেশি করে খান। খেতে পারেন মিষ্টি কুমড়া।
  • টক জাতীয় খাবার বাড়ান। যেমনঃ লেবু, কমলা, ইত্যাদি বেশি করে খান। এতে আছে ভিটামিন সি যা সর্দি, কাশি, জ্বরের ক্ষেত্রে খুবই উপকারি। শরীরের উপকারী শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। এছাড়া, যে কোনও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে ভিটামিন সি।
  • রসুনে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ঠান্ডা লাগা ও ইনফেকশেন দূর করতে খুবই উপকারী।
  • নিয়মিত টক দই খান কারণ, টক দই রোগের সঙ্গে লড়াই করার অন্যতম হাতিয়ার।
  • হলুদ অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন কিছুটা হলুদ খান হোক সেটা কাঁচা বা রান্নায় ব্যবহার করে।
  • পেঁপে খাবেন যাতে থাকে পটাশিয়াম, ভিটামিন ও কলেটস যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মধুর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। প্রতিদিন এক চা চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন
  • মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ওষুধ বলা হয় কালিজিরাকে। স্থুলতা, ক্যান্সার ও হৃদরোগ সব কিছুর বিরুদ্ধেই শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কালিজিরা। সাধারণ সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ, গলা ব্যথা, জ্বর, যেকোনো ধরনের শারীরিক দুর্বলতা কাটাতেও কালিজিরার জুড়ি নেই।

প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সীমিত পর্যায়ে রাখতে মেডিক্যল মাস্ক সাহায্য করে। তবে এটার ব্যবহারই এককভাবে সংক্রমণ বন্ধ করতে যথেষ্ঠ নয়। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না করা এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করার সর্বোত্তম উপায়।  বিভিন্ন অংশ এবং এর বাইরেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করে উপযুক্ত প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আপনি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন। করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান, দূরে থাকবে করোনা ভাইরাস

আপডেট টাইম : ০৩:২৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কোভিড-১৯ যা নভেল করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত। করোনা ভাইরাস বর্তমানে মারাত্মক আকারে রূপ নিচ্ছে। ভয়, আতঙ্কের শেষ নেই। ক্রমেই মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। স্বাভাবিক কাজ-কর্মকে স্থগিত করে তুলেছে। শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো নাক দিয়ে পানি পরা, গলা ব্যথা, কাশি এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে এই ভাইরাস। কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। তবে, এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

 নারী পুরুষ হিসেব করলে পুরুষরা নারীদের চেয়ে বেশি মারা যাচ্ছে। নারী-এক দশমিক সাত শতাংশ, পুরুষ-দুই দশমিক আট শতাংশ।

যাদের আগে থেকেই হৃদযন্ত্রের সমস্যা, ডায়াবেটিস,শ্বাসতন্ত্রের অসুখ এবং উচ্চ-রক্তচাপ রয়েছে তারা এই ভাইরাসে সহজেই সংক্রমিত হতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে৷ আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিহত করা যায়।

করোনা ভাইরাস রুখতে প্রয়োজন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। জেনে নিন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী কী খাবেন:

  • সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। বিশেষ করে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
  • সবুজ শাক সবজিতে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, মিনারেল ও ফাইবার যা খুবই উপকারি।
  • ভিটামিন এ সমৃদ্ধ আবার আবার একটু বেশি করে খান। খেতে পারেন মিষ্টি কুমড়া।
  • টক জাতীয় খাবার বাড়ান। যেমনঃ লেবু, কমলা, ইত্যাদি বেশি করে খান। এতে আছে ভিটামিন সি যা সর্দি, কাশি, জ্বরের ক্ষেত্রে খুবই উপকারি। শরীরের উপকারী শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। এছাড়া, যে কোনও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে ভিটামিন সি।
  • রসুনে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ঠান্ডা লাগা ও ইনফেকশেন দূর করতে খুবই উপকারী।
  • নিয়মিত টক দই খান কারণ, টক দই রোগের সঙ্গে লড়াই করার অন্যতম হাতিয়ার।
  • হলুদ অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন কিছুটা হলুদ খান হোক সেটা কাঁচা বা রান্নায় ব্যবহার করে।
  • পেঁপে খাবেন যাতে থাকে পটাশিয়াম, ভিটামিন ও কলেটস যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মধুর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। প্রতিদিন এক চা চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন
  • মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ওষুধ বলা হয় কালিজিরাকে। স্থুলতা, ক্যান্সার ও হৃদরোগ সব কিছুর বিরুদ্ধেই শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কালিজিরা। সাধারণ সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ, গলা ব্যথা, জ্বর, যেকোনো ধরনের শারীরিক দুর্বলতা কাটাতেও কালিজিরার জুড়ি নেই।

প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সীমিত পর্যায়ে রাখতে মেডিক্যল মাস্ক সাহায্য করে। তবে এটার ব্যবহারই এককভাবে সংক্রমণ বন্ধ করতে যথেষ্ঠ নয়। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না করা এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করার সর্বোত্তম উপায়।  বিভিন্ন অংশ এবং এর বাইরেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করে উপযুক্ত প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আপনি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন। করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন।