ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৯ ফেব্রুয়ারি: হাসতে নেই মানা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২০৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এক মহাধরিবাজ ঠিকাদার বড় একটি কাজের কন্ট্রাক্ট পাবার চেষ্টা করছিলেন। শেষতক প্রতিষ্ঠানের বড়কর্তার সঙ্গে মোটা টাকার ঘুষে কাজটি পেতে অলিখিত চুক্তিতে আবদ্ধ হলেন।  প্রজেক্ট ডাইক্টের সেইমত ফাইলে লিখে দিলেন, Approved.

কিন্তু দু’দিন অপেক্ষার পরও ঠিকাদার চুক্তিমত টাকা দিতে এল না। এমনকি ফোন পর্যন্ত ধরে না! তিনি খুব রেগে গেলেন- কিন্তু করার কিছু নেই। ফাইলে তো নিজ হাতে Approved লিখে ফেলেছেন! এসময় মুশকিল আসান হিসেবে এগিয়ে এল তার এইট পাস পিওন।

সে বলল, কোনো চিন্তা করবেন না স্যার। আমি চেয়ারম্যানের টেবিল থেইকা ফাইলটা নিয়ে আসছি আবার। আপনি Approved শব্দটির আগে Not লিখে দিন। বড় বড় পাস দেওয়া বড় কর্তা তাই করলেন, হয়ে গেল Not Approved।

এই ওষুধে কাজ হলো। দু’দিন পর ঠিকাদার এলেন টাকাভর্তি ব্যাগ নিয়ে। কিন্তু ভেজাল তো যা হওয়ার হয়ে গেছে। মুখের সামনে রসগোল্লা- কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার সাহেব তা গিলতে পারছেন না। কারণ, এইট পাস পিওনের কথায় তিনি নিজ হাতে Not Approved লিখে ফেলেছেন ফাইলে! এবার কী উপায়! এবারও মোক্ষম বুদ্ধি নিয়ে হাজির সেই তিরিশ বছরের অভিজ্ঞ এইট পাস পিওন।

হাল্কা হাসি দিয়ে বললো, কোনো চিন্তা করবেন না, বস! আমি আছি না! আমি ফাইলটি আবার নিয়ে আসছি। আপনি Not এর পরে এবার একটি e বসিয়ে দিন। হয়ে যাবে Note Approved. বড় বড় ইঞ্জিনিয়ারিং পাস দেওয়া বড় কর্তা আবারো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন আর পিওনের বুদ্ধির প্রশংসা করলেন। ঘোষণা করলেন তার জন্য ঘুষের বড় এক পার্সেন্টেজ।

এখন কর্তা খুশি, পিওন খুশি, ঠিকাদার খুশি। সবাই হাসি, সবাই খুশি, হাসি-খুশী। শুধু জনগণ এর পরিণাম ভোগ করবে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

২৯ ফেব্রুয়ারি: হাসতে নেই মানা

আপডেট টাইম : ০২:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এক মহাধরিবাজ ঠিকাদার বড় একটি কাজের কন্ট্রাক্ট পাবার চেষ্টা করছিলেন। শেষতক প্রতিষ্ঠানের বড়কর্তার সঙ্গে মোটা টাকার ঘুষে কাজটি পেতে অলিখিত চুক্তিতে আবদ্ধ হলেন।  প্রজেক্ট ডাইক্টের সেইমত ফাইলে লিখে দিলেন, Approved.

কিন্তু দু’দিন অপেক্ষার পরও ঠিকাদার চুক্তিমত টাকা দিতে এল না। এমনকি ফোন পর্যন্ত ধরে না! তিনি খুব রেগে গেলেন- কিন্তু করার কিছু নেই। ফাইলে তো নিজ হাতে Approved লিখে ফেলেছেন! এসময় মুশকিল আসান হিসেবে এগিয়ে এল তার এইট পাস পিওন।

সে বলল, কোনো চিন্তা করবেন না স্যার। আমি চেয়ারম্যানের টেবিল থেইকা ফাইলটা নিয়ে আসছি আবার। আপনি Approved শব্দটির আগে Not লিখে দিন। বড় বড় পাস দেওয়া বড় কর্তা তাই করলেন, হয়ে গেল Not Approved।

এই ওষুধে কাজ হলো। দু’দিন পর ঠিকাদার এলেন টাকাভর্তি ব্যাগ নিয়ে। কিন্তু ভেজাল তো যা হওয়ার হয়ে গেছে। মুখের সামনে রসগোল্লা- কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার সাহেব তা গিলতে পারছেন না। কারণ, এইট পাস পিওনের কথায় তিনি নিজ হাতে Not Approved লিখে ফেলেছেন ফাইলে! এবার কী উপায়! এবারও মোক্ষম বুদ্ধি নিয়ে হাজির সেই তিরিশ বছরের অভিজ্ঞ এইট পাস পিওন।

হাল্কা হাসি দিয়ে বললো, কোনো চিন্তা করবেন না, বস! আমি আছি না! আমি ফাইলটি আবার নিয়ে আসছি। আপনি Not এর পরে এবার একটি e বসিয়ে দিন। হয়ে যাবে Note Approved. বড় বড় ইঞ্জিনিয়ারিং পাস দেওয়া বড় কর্তা আবারো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন আর পিওনের বুদ্ধির প্রশংসা করলেন। ঘোষণা করলেন তার জন্য ঘুষের বড় এক পার্সেন্টেজ।

এখন কর্তা খুশি, পিওন খুশি, ঠিকাদার খুশি। সবাই হাসি, সবাই খুশি, হাসি-খুশী। শুধু জনগণ এর পরিণাম ভোগ করবে