ইংল্যান্ডে এবার হাঁসের জন্য সুদীর্ঘ ‘পৃথক লেন

বাস, ট্যাক্সি বা সাইকেল লেনের কথা আমরা শুনেছি। মানুষের হাঁটার জন্য রয়েছে ফুটপাট। ইংল্যান্ড এবার সে ধারণায় একটু নতুনত্ব আনলো। হাঁসদের অধিকার সংরক্ষণে নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে দেশটিতে। মানুষরা যাতে হাঁসকে ধরে আদর করতে গিয়ে তার পালকগুলোকে এলোমেলো করে না দেয়, সেজন্য তাদের নির্বিঘেœ হাঁটার জন্য সুদীর্ঘ পৃথক লেনের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। অসংখ্য মানুষের চলাফেরার কারণে নদী, খাল বা বৃহৎ জলাধারগুলোর তীরে হাঁস ও অন্যান্য পাখিদের বিচরণের জায়গা বেশ সঙ্কুচিত ও সঙ্কীর্ণ হয়ে আসায় ব্যতিক্রমী ও বিশেষ এ উদ্যোগ। মজার এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। ইংল্যান্ডের ‘দ্য ক্যানাল অ্যান্ড রিভার ট্রাস্ট’ ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মধ্যে প্রবাহিত ২,০০০ মাইলের বেশি জলপথ সংরক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। লন্ডন, বার্মিংহাম ও ম্যানচেস্টারে হাঁসদের জন্য তারা তৈরি করে দিয়েছে বিশেষ রাস্তা। এ পদক্ষেপ ট্রাস্টের ‘শেয়ার দ্য স্পেস, ড্রপ ইয়োর পেইস’ শীর্ষক প্রচারণার অংশ। জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এ প্রচারণার মূল উদ্দেশ্যগুলোর একটি। এরই মধ্যে পৃথক এ লেনটি ব্যবহার করছে ইংল্যান্ডের হাসরা। দ্য ক্যানাল অ্যান্ড রিভার ট্রাস্ট একটি সাদা লাইন টেনে ও হাঁসের ছবি এঁকে ‘ডাক লেইন’-এর সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ইংল্যান্ডে নদী, খাল বা এ জাতীয় বৃহৎ জলাধারের তীর ধরে বহু মানুষ হাঁটেন। শুধু নদী তীরে হাঁটতে আসা মানুষ নন, জগিংয়ে আসা মানুষ, দৌড়বিদ, সাইকেল আরোহী, বোট চালাতে জড়ো হওয়া কিংবা মাছ ধরতে আসা মানুষদের অতিমাত্রায় আনাগোণার কারণে হাঁস ও অন্যান্য পাখিদের বিচরণক্ষেত্র ক্রমেই সঙ্কুচিত হয়ে আসছিল। নদীতীর ধরে মানুষ হাঁটার পরিসংখ্যান রেকর্ড পর্যায়ে উন্নীত হওয়ায়, শেষ পর্যন্ত প্রশংসনীয় এ উদ্যোগ নিলো প্রশাসন। তবে হাঁসেরা যদি পায়চারি করতে করতে তাদের নির্ধারিত লেনের বাইরে চলে আসে, সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কি করবে সেটা ভেবে দেখার বৈকি!

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর