ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ১২ বার

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য সরকার দ্বিতীয় একটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

বর্তমানে একটি ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, তবে নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে বিচার কার্যক্রম আরও দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন।

এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূল করতে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম চলছে। প্রসিকিউশন টিমে চিফ প্রসিকিউটরসহ মোট ১৭ জন প্রসিকিউটর রয়েছেন এবং ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় ২৪ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্মরত।

গত ১০ এপ্রিলের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধসহ মোট ৩ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২২টি মিস কেইসে ১৪১ জন অভিযুক্ত, যার মধ্যে ৫৪ জন গ্রেফতার এবং ৮৭ জন পলাতক রয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, চারটি মামলার তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এসব মামলা হলো: আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো, চানখারপুল হত্যাকাণ্ড, রামপুরায় গুলি ঘটনার তদন্ত এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা। এসব মামলায় শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হতে পারে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন গণআন্দোলনে পরিণত হয়। এ আন্দোলন নির্মূলে প্রয়াত আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের মাধ্যমে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন, এবং ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন শেষ হয়। বর্তমানে, এ সকল মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

আপডেট টাইম : ০৭:০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য সরকার দ্বিতীয় একটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

বর্তমানে একটি ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, তবে নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে বিচার কার্যক্রম আরও দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন।

এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূল করতে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম চলছে। প্রসিকিউশন টিমে চিফ প্রসিকিউটরসহ মোট ১৭ জন প্রসিকিউটর রয়েছেন এবং ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় ২৪ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্মরত।

গত ১০ এপ্রিলের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধসহ মোট ৩ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২২টি মিস কেইসে ১৪১ জন অভিযুক্ত, যার মধ্যে ৫৪ জন গ্রেফতার এবং ৮৭ জন পলাতক রয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, চারটি মামলার তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এসব মামলা হলো: আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো, চানখারপুল হত্যাকাণ্ড, রামপুরায় গুলি ঘটনার তদন্ত এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা। এসব মামলায় শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হতে পারে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন গণআন্দোলনে পরিণত হয়। এ আন্দোলন নির্মূলে প্রয়াত আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের মাধ্যমে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন, এবং ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন শেষ হয়। বর্তমানে, এ সকল মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।