হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের হাওরে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ‘শুকনায় নাও আর বর্ষায় পাও’ প্রবাদটি যেন এখন মিথ্যা হতে চলেছে। একসময় জেলার সবচেয়ে দুর্গম এলাকা ছিল হাওরের তিন উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে পাল্টেছে হাওরের যোগাযোগ ব্যবস্থাও। হাওরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল ফসলের মাঠের মাঝখান দিয়ে উঁচু পাকা সড়কে তারা যানবাহন নিয়ে ছুটবেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। হাওরের এ স্বপ্ন আজ হাতের মুঠোয়। তিন উপজেলাকে সংযুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে সারা বছর চলাচল উপযোগী পাকা সড়ক। তাইতো হাওরবাসীর যেন আনন্দের সীমা নেই।
এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, হাওরে বর্ষায় নৌকা আর শুকনায় পায়ে হেঁটে চলাচল করা’ এখন অতীত। বাস্তবতা হলো এখন আর নৌকা আর পায়ে হাঁটতে হয় না। গাড়ি চালিয়ে আমি আমার তিনটি নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারি। হাওরবাসী এখন আর অবহেলিত নয়। তিনি আরো বলেন, এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে-হাওরের আরো বেশি উন্নয়ন হবে। এসব বিষয় নিয়ে কথা হয় এমপি মুজিবুল হক চুন্নুর সঙ্গে। তিনি বলেন, হাওর এক সময় ছিল চরম অবহেলিত। গাড়ি চালিয়ে ইটনা-মিঠামইন কিংবা অষ্টগ্রামে যাওয়ার কথা ছিল স্বপ্নের মতো। হাওরে ব্যাপক উন্নয়নের জন্য তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে সংসদ সদস্য আহাম্মদ তৌফিক তার ফুফু মিঠামইন উপজেলা চেয়ারম্যান আছিয়া আলমকে পাশে বসিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে কিশোরগঞ্জের বালিখোলা থেকে মিঠামইন গেছেন। সঙ্গে ছিল বিশাল গাড়ির বহর।
জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে সারা বছর চলাচল উপযোগী ৪৭ কিলোমিটার উঁচু পাকা সড়ক ও ৩৫ কিলোমিটার সাবমার্সিবল সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ২২টি পাকা সেতু, ১০৪টি কালভার্টসহ জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন নদীতে পাঁচটি ফেরি চালু করা হয়েছে।
তিন হাওর উপজেলা ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে সারা বছর চলাচল উপযোগী সড়কে যানবাহন চলাচল করা হয়েছে। গত রোববার করিমগঞ্জের বালিখোলা ও চামড়াবন্দর এলাকায় ফেরি চলাচল যৌথভাবে উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের এমপি মুজিবুল হক চুন্নু ও কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।