ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ধর্ষণরোধে সিকিউরিটি অ্যালার্ম যন্ত্র ব্যবহারের প্রশ্নে রুল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩০:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৩৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ধর্ষণসহ নারী নির্যাতন রোধে নির্দেশনাসহ ‘অ্যান্টি রেপ সিকিউরিটি এলার্ম’ ব্যবহারের প্রশ্নে রুল জারি করেছে আদালত। একাধিক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ থেকে গতকাল রবিবার ভিন্ন ভিন্ন আদেশ দেওয়া হয়। আদেশে ধর্ষণসহ যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদেরকে স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষামূলক যন্ত্র অ্যান্টি রেপ ডিভাইস সরবরাহ এবং জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সঙ্গে তা যুক্ত করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে গঠিত ঐ কমিটিতে বুয়েটের একজন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপককে রাখতে বলা হয়েছে।

আগামী ৬০ দিনের মধ্যে কমিটি আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেবে। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল রবিবার এই আদেশ দেন। এছাড়া ধর্ষণ রোধে ‘এন্টি রেপ সিকিউরিটি এলার্ম’ নামক ডিভাইস সবার কাছে পরিচিত ও সহজলভ্য কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।

এদিকে সারাদেশে ধর্ষণ প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও শিশুকে সহায়তা দিতে এক মাসের মধ্যে কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আইন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে ঐ কমিশনে বিচারক, মানবাধিকার কর্মী, চিকিত্সক, আইনজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংবাদিকদের রাখতে বলা হয়েছে। এই কমিশনকে ধর্ষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সুপারিশ তৈরি করে তা ছয় মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল এই আদেশ দেন। এছাড়া ১৬ বছর বা এর চেয়ে কম বয়সি শিশু ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং পৃথক ট্রাইব্যুনাল গঠনে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ধর্ষণরোধে ‘অ্যান্টি রেপ সিকিউরিটি এলার্ম’ ব্যবহারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও চিলড্রেন চ্যারিটি অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (সিসিবি)। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। এছাড়া শিশু ধর্ষণকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী খন্দকার এম এস কাউসার। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাবেয়া ভুঁইয়া ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর ছবি কোনো গণমাধ্যমে প্রচার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিএনপির সঙ্গে সরকার-ছাত্রদের দূরত্ব যেসব ইস্যুতে

ধর্ষণরোধে সিকিউরিটি অ্যালার্ম যন্ত্র ব্যবহারের প্রশ্নে রুল

আপডেট টাইম : ১০:৩০:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ধর্ষণসহ নারী নির্যাতন রোধে নির্দেশনাসহ ‘অ্যান্টি রেপ সিকিউরিটি এলার্ম’ ব্যবহারের প্রশ্নে রুল জারি করেছে আদালত। একাধিক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ থেকে গতকাল রবিবার ভিন্ন ভিন্ন আদেশ দেওয়া হয়। আদেশে ধর্ষণসহ যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদেরকে স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষামূলক যন্ত্র অ্যান্টি রেপ ডিভাইস সরবরাহ এবং জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সঙ্গে তা যুক্ত করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে গঠিত ঐ কমিটিতে বুয়েটের একজন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপককে রাখতে বলা হয়েছে।

আগামী ৬০ দিনের মধ্যে কমিটি আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেবে। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল রবিবার এই আদেশ দেন। এছাড়া ধর্ষণ রোধে ‘এন্টি রেপ সিকিউরিটি এলার্ম’ নামক ডিভাইস সবার কাছে পরিচিত ও সহজলভ্য কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।

এদিকে সারাদেশে ধর্ষণ প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও শিশুকে সহায়তা দিতে এক মাসের মধ্যে কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আইন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে ঐ কমিশনে বিচারক, মানবাধিকার কর্মী, চিকিত্সক, আইনজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংবাদিকদের রাখতে বলা হয়েছে। এই কমিশনকে ধর্ষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সুপারিশ তৈরি করে তা ছয় মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল এই আদেশ দেন। এছাড়া ১৬ বছর বা এর চেয়ে কম বয়সি শিশু ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং পৃথক ট্রাইব্যুনাল গঠনে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ধর্ষণরোধে ‘অ্যান্টি রেপ সিকিউরিটি এলার্ম’ ব্যবহারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও চিলড্রেন চ্যারিটি অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (সিসিবি)। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। এছাড়া শিশু ধর্ষণকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী খন্দকার এম এস কাউসার। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাবেয়া ভুঁইয়া ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর ছবি কোনো গণমাধ্যমে প্রচার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।