ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বছরের শেষ দিন আমি কোনো শুটিং রাখি না এটি আমাকে দিয়ে সম্ভব না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:০২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৫২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বছরের শেষ দিন ও প্রথমদিন আমি কোনো শুটিং রাখি না। এ দু’দিন আমি পরিবারের সবার সঙ্গে সময় কাটিয়ে থাকি। এবারো পরিবারের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা করে  রেখেছি। এভাবে কথাগুলো বলছিলেন টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ। এ পর্যন্ত চলতি বছরটি কেমন ছিলো? উত্তরে তিনি বলেন, এ বছর আমার জন্য ভালোই কেটেছে। কারণ এবার দু’বার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছি। প্রথমবারের মতো শুটিংয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফর করেছি। এছাড়া এবার ক্যারিয়ারে বেশ কিছু ভালো নাটকে অভিনয় করার সুযোগ হয়েছে।

চলতি বছর নিয়ে আমি খুশি। আসছে নতুন বছরেও আশা করছি ভালো কিছু হবে। নতুন বছরে টিভি নাটক নিয়ে নাদিয়ার প্রত্যাশা কি? তার ভাষ্য, আমাদের সব শিল্পীরা কাজ করার সুযোগ পাবে এটাই প্রত্যাশা করছি। কারণ চলতি বছরে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যার নাটকের যত বেশি ভিউ সে তত কাজ করছে। কিন্তু ভিউ দিয়ে প্রকৃত শিল্পীর মূল্যায়ন করা যায় না। নির্মাতাদের এ জায়গা থেকে সরে আসতে হবে।

যারা কাজ করার যোগ্যতা রাখেন তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে নাটকের মানের দিকেও সবাই মনোযোগি হবে প্রত্যাশা করছি। এদিকে এ অভিনেত্রী এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন একাধিক ধারাবাহিক নাটক নিয়ে। তার হাতে বর্তমানে আছে সাইদুর রহমান রাসেলের ‘ছায়াহীন মায়াহীন, আদিবাসী মিজানের ‘নানা ভাই’, ইমরান হাওলাদারের ‘লাগ ভেলকি লাগ’, মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘গল্পগুলো আমাদের’, ডিকে আকাশের ‘ক্যাট হাউজ’, জাবির রাসেলের ‘বিড়ম্বনা’, তুষার খানের ‘বহে সমান্তরাল’, ফজলুর রহমানের ‘উল্টো পথে উল্টো রথে’, কায়সার আহমেদের ‘বকুলপুর’, অঞ্জন আইচের ‘অর্ধেক সত্য’ ও জুয়েল শরীফের ‘বড় বাড়ি’ শিরোনামের ধারাবাহিকগুলো। প্রতিটি ধারাবাহিকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন এ অভিনেত্রী। নাদিয়া বলেন, একেকটি ধারাবাহিকে একেকটি চরিত্রে অভিনয় করছি। আমি চেষ্টা করি নতুন নতুন চরিত্রে দর্শকের সামনে আসতে।

আমাদের দর্শকের অভিযোগ এখন নাটকে শিল্পীদের চরিত্রে গভীরতা নেই। আমি চাই আমার দর্শক যেন আমাকে নিয়ে তেমন কথা না বলে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে কোনো বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন? এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আগে পুরো গল্পটি পড়ি। এটিতে কি ম্যাসেজ আছে সেটা বোঝার চেষ্টা করি। গল্পের সঙ্গে আমার চরিত্রের প্রাধান্য কতটুকু সেটিও দেখি। দুটোই যখন মনের মতো হয় তখন কাজ করি। এ সময়ে অনেক শিল্পী ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে না। এ নিয়ে নাদিয়ার মন্তব্য কি? তিনি বলেন, প্রত্যেকের একটা নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থাকে। তবে কে কি কারণে ধারাবাহিকে কাজ করে না সেটি জানা নেই।

তবে সব দেশেই সিরিয়ালের গুরুত্ব বেশি। কিন্তু আমাদের এখানে গেল কয়েক বছর খন্ড নাটকের দিকে সবার বেশি আগ্রহ। আমি মনে করি ভালো-গল্প চরিত্র হলে ধারাবাহিকে কাজ করা প্রয়োজন। নাদিয়ার সমসাময়িক অনেককে অভিনয়ে বিরতি টানতে দেখা যায়। কেউ শুধু বিশেষ দিবসগুলোতে অভিনয় করেন। এক্ষেত্রে  নাদিয়া ভিন্ন। কারণ কি? নাদিয়া বলেন, আমি পেশাদার একজন অভিনেত্রী। অনেকেই আছেন মৌসুমী শিল্পী। তারা তাদের সুযোগ-সুবিধা মতো কাজ করেন। আবার ইচ্ছে হলে অভিনয় থেকে দূরে থাকেন। এটি আমাকে দিয়ে সম্ভব না। আমি সব সময় অভিনয় করতে চাই। আমার প্রায় প্রতিদিনই শুটিং থাকে। নির্মাতাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আমার ওপর তারা আস্থা রাখেন বলে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বছরের শেষ দিন আমি কোনো শুটিং রাখি না এটি আমাকে দিয়ে সম্ভব না

আপডেট টাইম : ০২:০২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বছরের শেষ দিন ও প্রথমদিন আমি কোনো শুটিং রাখি না। এ দু’দিন আমি পরিবারের সবার সঙ্গে সময় কাটিয়ে থাকি। এবারো পরিবারের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা করে  রেখেছি। এভাবে কথাগুলো বলছিলেন টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ। এ পর্যন্ত চলতি বছরটি কেমন ছিলো? উত্তরে তিনি বলেন, এ বছর আমার জন্য ভালোই কেটেছে। কারণ এবার দু’বার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছি। প্রথমবারের মতো শুটিংয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফর করেছি। এছাড়া এবার ক্যারিয়ারে বেশ কিছু ভালো নাটকে অভিনয় করার সুযোগ হয়েছে।

চলতি বছর নিয়ে আমি খুশি। আসছে নতুন বছরেও আশা করছি ভালো কিছু হবে। নতুন বছরে টিভি নাটক নিয়ে নাদিয়ার প্রত্যাশা কি? তার ভাষ্য, আমাদের সব শিল্পীরা কাজ করার সুযোগ পাবে এটাই প্রত্যাশা করছি। কারণ চলতি বছরে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যার নাটকের যত বেশি ভিউ সে তত কাজ করছে। কিন্তু ভিউ দিয়ে প্রকৃত শিল্পীর মূল্যায়ন করা যায় না। নির্মাতাদের এ জায়গা থেকে সরে আসতে হবে।

যারা কাজ করার যোগ্যতা রাখেন তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে নাটকের মানের দিকেও সবাই মনোযোগি হবে প্রত্যাশা করছি। এদিকে এ অভিনেত্রী এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন একাধিক ধারাবাহিক নাটক নিয়ে। তার হাতে বর্তমানে আছে সাইদুর রহমান রাসেলের ‘ছায়াহীন মায়াহীন, আদিবাসী মিজানের ‘নানা ভাই’, ইমরান হাওলাদারের ‘লাগ ভেলকি লাগ’, মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘গল্পগুলো আমাদের’, ডিকে আকাশের ‘ক্যাট হাউজ’, জাবির রাসেলের ‘বিড়ম্বনা’, তুষার খানের ‘বহে সমান্তরাল’, ফজলুর রহমানের ‘উল্টো পথে উল্টো রথে’, কায়সার আহমেদের ‘বকুলপুর’, অঞ্জন আইচের ‘অর্ধেক সত্য’ ও জুয়েল শরীফের ‘বড় বাড়ি’ শিরোনামের ধারাবাহিকগুলো। প্রতিটি ধারাবাহিকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন এ অভিনেত্রী। নাদিয়া বলেন, একেকটি ধারাবাহিকে একেকটি চরিত্রে অভিনয় করছি। আমি চেষ্টা করি নতুন নতুন চরিত্রে দর্শকের সামনে আসতে।

আমাদের দর্শকের অভিযোগ এখন নাটকে শিল্পীদের চরিত্রে গভীরতা নেই। আমি চাই আমার দর্শক যেন আমাকে নিয়ে তেমন কথা না বলে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে কোনো বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন? এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আগে পুরো গল্পটি পড়ি। এটিতে কি ম্যাসেজ আছে সেটা বোঝার চেষ্টা করি। গল্পের সঙ্গে আমার চরিত্রের প্রাধান্য কতটুকু সেটিও দেখি। দুটোই যখন মনের মতো হয় তখন কাজ করি। এ সময়ে অনেক শিল্পী ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে না। এ নিয়ে নাদিয়ার মন্তব্য কি? তিনি বলেন, প্রত্যেকের একটা নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থাকে। তবে কে কি কারণে ধারাবাহিকে কাজ করে না সেটি জানা নেই।

তবে সব দেশেই সিরিয়ালের গুরুত্ব বেশি। কিন্তু আমাদের এখানে গেল কয়েক বছর খন্ড নাটকের দিকে সবার বেশি আগ্রহ। আমি মনে করি ভালো-গল্প চরিত্র হলে ধারাবাহিকে কাজ করা প্রয়োজন। নাদিয়ার সমসাময়িক অনেককে অভিনয়ে বিরতি টানতে দেখা যায়। কেউ শুধু বিশেষ দিবসগুলোতে অভিনয় করেন। এক্ষেত্রে  নাদিয়া ভিন্ন। কারণ কি? নাদিয়া বলেন, আমি পেশাদার একজন অভিনেত্রী। অনেকেই আছেন মৌসুমী শিল্পী। তারা তাদের সুযোগ-সুবিধা মতো কাজ করেন। আবার ইচ্ছে হলে অভিনয় থেকে দূরে থাকেন। এটি আমাকে দিয়ে সম্ভব না। আমি সব সময় অভিনয় করতে চাই। আমার প্রায় প্রতিদিনই শুটিং থাকে। নির্মাতাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আমার ওপর তারা আস্থা রাখেন বলে।