ঢাকা ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলার খোসায় ওজন কমবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:২২:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৪৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শুনে নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন! ভাবছেন এটা কীভাবে সম্ভব। তবে এটিই সত্যি। ওজন কমাতে কলার খোসার কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে! এই ফর্মুলাটি এক প্রকার গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়ার মতোই।

যদি এর সম্পর্কে আগে থেকে জানা যেত, তবে ওজন কমাতে হয়তো এত দৌড়-ঝাঁপ করতে হতো না। দেরি না করে চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ওজন কমাতে কলার খোসার ব্যবহার-

আসলে কলার খোসায় উপস্থিত বেশ কিছু উপকারী উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন ভাবে কাজ করা শুরু করে যে চর্বি গলতে বাধ্য হয়। ফলে ওজন কমে তরতরিয়ে।

গবেষণা বলছে কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি ৬, বি ১২, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের প্রায় প্রতি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে কলায় থাকা ফাইবার একাধিক পেটের রোগের উপশমেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

তবে অবাক করা বিষয়টি কী জানেন! কলা যতটা না পুষ্টিকর, তার থেকে অনেক বেশি পুষ্টকর কলার খোসা। শুনতে একটু আজব লাগছে তাই তো। কিন্তু এ কথার মধ্যে কোনো ভুল নেই যে কলার থেকে সব দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে তার খোসা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আছে লুটেইন নামে একটি উপাদান। এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ছানি প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা নেয়।

এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন এই উপাদানগুলো ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোলেস্টেরল কমায় এবং সবথেক গুরুত্বপূর্ণ হলো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

হলুদ না সবুজ কলার খোসা?
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে হলুদ খোসা রয়েছে এমন কলা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাছাড়া হলুদ খোসায় এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার বিরোধী। সেই সঙ্গে শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদনেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অন্যদিকে সবুজ খোসা যদি খেতেই হয়, তাহলে তা কম করে ১০ মিনিট গরম জলে চুবিয়ে রাখার পর খাবেন। তাতে উপকার মিলবে বেশি।

প্রসঙ্গত, আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে হলুদ খোসা খেলে মস্তিষ্কে সেরাটোনিন নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। যে কারণে মানসিক অবসাদ একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সেই সঙ্গে মনটাও বেশ খুশি খুশি হয়ে যায়। এবার নিশ্চয় বুঝেছেন যে কলার খোসা শুধু ওজন কমায় না, সেই সঙ্গে আরও নানা ধরনের রোগের চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কীভাবে খেতে হবে কলার খোসা?
কাঁচা অবস্থায় তো খেতেই পারেন। একান্ত যদি সম্ভব না হয়, তাহলে কলার খোসাটা কিছু সময় গরম পানিতে ভিজিয়ে চায়ের মতো করে খেতে পারেন, অথবা মিক্সিতে কলার খোসা এবং আইসক্রিম নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে সরবত হিসেবেও পান করতে পারেন।

এবার থেকে কলা খাওয়ার পর আর খোসাটা ফেলে না দিয়ে বরং টপ করে খেয়ে ফেলুন। এর ফলে শরীর নিয়ে আর কখনো কোনো দুশ্চিন্তা করতে হবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কলার খোসায় ওজন কমবে

আপডেট টাইম : ০৯:২২:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শুনে নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন! ভাবছেন এটা কীভাবে সম্ভব। তবে এটিই সত্যি। ওজন কমাতে কলার খোসার কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে! এই ফর্মুলাটি এক প্রকার গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়ার মতোই।

যদি এর সম্পর্কে আগে থেকে জানা যেত, তবে ওজন কমাতে হয়তো এত দৌড়-ঝাঁপ করতে হতো না। দেরি না করে চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ওজন কমাতে কলার খোসার ব্যবহার-

আসলে কলার খোসায় উপস্থিত বেশ কিছু উপকারী উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন ভাবে কাজ করা শুরু করে যে চর্বি গলতে বাধ্য হয়। ফলে ওজন কমে তরতরিয়ে।

গবেষণা বলছে কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি ৬, বি ১২, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের প্রায় প্রতি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে কলায় থাকা ফাইবার একাধিক পেটের রোগের উপশমেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

তবে অবাক করা বিষয়টি কী জানেন! কলা যতটা না পুষ্টিকর, তার থেকে অনেক বেশি পুষ্টকর কলার খোসা। শুনতে একটু আজব লাগছে তাই তো। কিন্তু এ কথার মধ্যে কোনো ভুল নেই যে কলার থেকে সব দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে তার খোসা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আছে লুটেইন নামে একটি উপাদান। এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ছানি প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা নেয়।

এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন এই উপাদানগুলো ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোলেস্টেরল কমায় এবং সবথেক গুরুত্বপূর্ণ হলো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

হলুদ না সবুজ কলার খোসা?
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে হলুদ খোসা রয়েছে এমন কলা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাছাড়া হলুদ খোসায় এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার বিরোধী। সেই সঙ্গে শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদনেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অন্যদিকে সবুজ খোসা যদি খেতেই হয়, তাহলে তা কম করে ১০ মিনিট গরম জলে চুবিয়ে রাখার পর খাবেন। তাতে উপকার মিলবে বেশি।

প্রসঙ্গত, আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে হলুদ খোসা খেলে মস্তিষ্কে সেরাটোনিন নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। যে কারণে মানসিক অবসাদ একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সেই সঙ্গে মনটাও বেশ খুশি খুশি হয়ে যায়। এবার নিশ্চয় বুঝেছেন যে কলার খোসা শুধু ওজন কমায় না, সেই সঙ্গে আরও নানা ধরনের রোগের চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কীভাবে খেতে হবে কলার খোসা?
কাঁচা অবস্থায় তো খেতেই পারেন। একান্ত যদি সম্ভব না হয়, তাহলে কলার খোসাটা কিছু সময় গরম পানিতে ভিজিয়ে চায়ের মতো করে খেতে পারেন, অথবা মিক্সিতে কলার খোসা এবং আইসক্রিম নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে সরবত হিসেবেও পান করতে পারেন।

এবার থেকে কলা খাওয়ার পর আর খোসাটা ফেলে না দিয়ে বরং টপ করে খেয়ে ফেলুন। এর ফলে শরীর নিয়ে আর কখনো কোনো দুশ্চিন্তা করতে হবে না।