চলতি বছর অক্টোবর থেকে ইসরায়েল লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে। সেই সময়ই পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, হামাস ও হিজবুল্লাহ এক নয়। গাজায় ইসরায়েল হামাসকে যতটা কাবু করতে পেরেছে লেবাননে তা সম্ভব হবে না। হামাসের আগে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় সেই বিষয়টিই স্পষ্ট হলো। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যেসব শর্তে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে তাতে হিজবুল্লাহর ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে।
এই যুদ্ধে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। বৈরুতে ভূগর্ভস্থ প্রধান কার্যলয়সহ বেশ কিছু স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা করেছে। অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে অনেক।
২০২৩ সালের অক্টোবরে শত্রুতা শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে ৩ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং হিজবুল্লাহর শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে এমন অঞ্চলে ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছে বিশ^ব্যাংক। এই ক্ষতি পুনরুদ্ধারে সময় লাগবে এবং কে এর জন্য অর্থ প্রদান করবে তা কেউ জানে না।
চুক্তির আওতায় লেবানন থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের প্রত্যাহারের পর, দক্ষিণ লেবাননে হাজার হাজার লেবানিজ সেনা মোতায়েন করা হবে। কীভাবে তাদের মোতায়েন করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে লেবানন সেনা ও হিজবুল্লাহর মধ্যে বিরোধ দেখা দিতে পারে। তবে এক কূটনীতিক জানিয়েছেন, লেবাননের কর্তৃপক্ষ হয়তো মনে করেছে পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়া দরকার। আর তা করার জন্য তাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।