হাওর বার্তা ডেস্কঃ পৌষের শরুতেই রাজধানীসহ সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর বাতাসে বাড়তি আর্দ্রতায় হিমশিম খেতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
সকাল থেকে গরম কাপড় গায়ে দিয়ে, কানটুপি ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে রাজধানীর মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন। অথচ একদিন আগেও তারা সাধারণ পোশাকেই ঘুরে বেরিয়েছেন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলা হয়েছে, আজ ভোরে রাজধানীতেই তাপমাত্রা রয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আদ্রতা যে হারে বাড়ছে সে হারে গতিবেগ বাড়তে থাকলে তীব্র শীতে ঢাকা থাকবে রাজধানী। সেক্ষেত্রে, উত্তরের জেলাগুলোয় শীতের তীব্রতা আরও প্রকট হবে।
বুধবার রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা নেমে আসে ১৬ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দেশের সর্বোচ্চ আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় দিন শেষে পার্থক্য ১০ ডিগ্রি।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জানান, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসছে বাতাস, যেটাকে আমরা ‘উত্তরা বাতাস’ বলে থাকি। ঢাকায় বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার। এই বাতাস কনকনে হিম বয়ে এনে হাড় কাঁপুনির সৃষ্টি করেছে।
আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর তাপমাত্রা কম থাকবে। ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসবে ব্যারোমিটারের পারদ। রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য আরও কমে যাবে। ফলে ঠাণ্ডার অনুভূতি আরও বাড়বে।
আবহাওয়ার সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
তাই বুধবার শেষরাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
বুধবার সকাল ৯টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ।
দিনের শুরুতে সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের রাজারহাটে। দিনশেষে সেটি ৬ ডিগ্রি বাড়লেও কমেনি শৈত্যপ্রবাহ।