হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে জন্মদিন বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই আয়োজন করা হয়। আর তাতে কেক কাটার সময় মোমবাতিতে ফুঁ দেয়ায়ও যেন অপরিহার্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তবে আর যাই করুন না কেন, এই লেখাটি পড়ার পর জন্মদিনের কেকে মোমবাতি ব্যবহারের আগে দ্বিতীয়বার ভাবুন।
সম্প্রতি এক গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, কেকের মধ্যে থাকাকালীন অবস্থায় জ্বলন্ত মোমবাতি ফুঁ দিয়ে নেভানোর কারণে, তার থেকে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারোলিনার ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানিয়েছেন, জন্মদিনের কেকে জ্বালিয়ে রাখা মোমবাতি ফুঁ দিয়ে নেভানোর সময় ১ হাজার ৪০০ শতাংশ বেশি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়। তারা দেখেছেন, যখন একজন মানুষ মোমবাতিতে ফুঁ দেয় তখন তার মুখের লালা ওই খাদ্যবস্তুটির ওপর গিয়ে পড়ে এবং তা কেকের ওপর ওই পরিমাণ জীবাণুর সৃষ্টি করে।
ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর পল ডসন এবং তার সহযোগী কিছু গবেষক এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন। তারা একটি ক্ল্যাসিক বেসলাইন পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যাকটেরিয়া গণনা করেছেন। গবেষণায় প্রচুর সংখ্যক ব্যাকটেরিয়ার খোঁজ মিললেও সবচেয়ে অবাক করেছে যে জিনিসটি তা হলো, ফুঁ ভেদে ভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে এমনও দেখা গেছে, এক ফুঁ’য়ে ১২০ বারের বেশি ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, কিছু মানুষ অন্যের তুলনায় বেশি ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি করে।
ডক্টর ডসন বলেন, ‘জন্মদিনের কেকে মোমবাতির আসল আনন্দ থেকে বঞ্চিত করার জন্য এই তথ্য ছড়ানো হচ্ছে না।’ তিনি জানান, ‘আমার ধারণা এসব ব্যাকটেরিয়ার কারণে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বে না। মানুষের মুখ ব্যাকটেরিয়ায় পূর্ণ এবং অধিকাংশই ক্ষতিকারক নয়।’ তবে কেউ অসুস্থ বা কোনো রকমের সংক্রমণের শিকার হয়ে থাকলে তাকে মোমবাতিতে ফুঁ দেয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ডক্টর ডসন জানান, তিনি যদি দেখেন কোনো অসুস্থ ব্যক্তি কেকের মোমবাতিতে ফুঁ দিচ্ছেন, সেক্ষেত্রে জন্মদিনের কেক খাওয়া এড়াবেন। সেক্ষেত্রে ঝুঁকি এড়াতে, ওই ব্যক্তির জন্মদিনের কেকে মোমবাতি না জ্বালানোই ভালো হবে।