ঢাকা ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রণোদনার সঙ্গে কমেছে সারের দাম, অ্যাপভিত্তিক কৃষিসেবা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২২৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কালের চাকায় ঘুরে বিদায় নিচ্ছে ২০১৯ সাল। কয়েকদিন পর শুরু হবে নতুন বছর ২০২০। ২০১৯ সাল সরকারের অর্জনের বছর। উন্নয়ন ও জনকল্যাণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি প্রণোদনা, ডিএপি সারের দাম কমানো, অ্যাপভিত্তিক কৃষিসেবা চালু করেছে।

কৃষি প্রণোদনা : কৃষি উৎপাদন বাড়াতে নয়টি ফসল উৎপাদনে সারাদেশের ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৮০ কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়।

অক্টোবরে দেওয়া এ প্রণোদনা সম্পর্কে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে চলতি রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, শীতকালীন মুগ, পেঁয়াজ এবং পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদনে বীজ ও রাসায়নিক সার (ডিএপি ও এমওপি) দেওয়া হয়।

রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, শীতকালীন মুগ, পেঁয়াজ এবং পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদন বৃদ্ধিতে ৬৪টি জেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে প্রতি কৃষক পরিবারকে সর্বোচ্চ এক বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার প্রণোদনা দেওয়া হয়।

ডিএপি সার : কৃষকের স্বার্থে ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের দাম প্রতি কেজিতে ৯ টাকা কমানো হয়েছে। যা বিজয় দিবস থেকে (১৬ ডিসেম্বর) কার্যকর হয়েছে। কৃষক পর্যায়ে ডিএপি সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে প্রতি কেজি ১৬ টাকা, যা আগে ছিল ২৫ টাকা। আর ডিলার পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৪ টাকা করা হবে।

বিজয় দিবসের উপহার হিসেবে ডিএপি সারের মূল্য হ্রাস করা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ে সারের মূল্য হ্রাসের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এ ঘোষণা দেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, কৃষকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের জন্য উপহার অর্থাৎ হ্রাসকৃত মূলে ডিএপি সারের বিক্রি বিজয় দিবস থেকে কার্যকর হয়েছে। এর ফলে সুষম সার ব্যবহারে কৃষকরা অধিক ফলন পাবে। পরিবেশবান্ধব টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার হবে।

ডিপিতে ফসফরাসের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম ও নাইট্রোজেন যুক্ত থাকে। যেটা গাছের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ রোধ করে। ফুল, ফল ও বীজে গুণগতমান বাড়ায়। ফলে এ সার প্রয়োগে একদিকে যেমন ইউরিয়া ও টিএসপি উভয় সারের সুফল পাওয়া যাবে আবার অর্থ ও শ্রম উভয়ের সাশ্রয় হবে। দেশে বছরে ৪ থেকে ৫ লাখ টন ডিএপি সারের চাহিদা রয়েছে। দাম কমানোর ফলে ডিএপি সারের ব্যবহার আরো বাড়বে।

অ্যাপভিত্তিক সেবা : আবহাওয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের বালাই আক্রমণ করতে পারে সে বিষয়ে ঘরে বসেই চলতি বছরে তথ্য পেয়েছে কৃষক। ফসলের উৎপাদন কখন কী পর্যায়ে রয়েছে সে নির্দেশনাও চলে যাচ্ছে কৃষকের মোবাইল ফোনে। নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক তথ্য পাওয়ায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পোকার আক্রমণ থেকে ফসলের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কমছে। এতে ফসলের উৎপাদনশীলতা ১৫ শতাংশ বেড়েছে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।

সরকারি ও বেসরকারিভাবে বেশ কিছু কৃষিভিত্তিক মোবাইল অ্যাপস চালু রয়েছে। এসব অ্যাপসের মাধ্যমে দেশে চলতি বছর প্রায় ৪০ লাখ বেশি কৃষক সরাসরি সেবা নিয়েছে। এছাড়া পরোক্ষভাবে আরো কয়েক লাখ উপকৃত হয়েছে।

কৃষি বাতায়ন : কৃষিসেবা কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে কৃষি বাতায়ন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির আওতায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি চালু করা হয়। কৃষি বাতায়নে নিবন্ধিত যেকোনো কৃষক ‘৩৩৩১’ নম্বরে ফোন করে তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারছেন।

ফসলি : ১২টি জেলার প্রায় ৯ লাখ ৭০ হাজার কৃষককে কৃষিবিষয়ক পাঁচ ধরনের তথ্য সেবা দিচ্ছে এসিআই লিমিটেডের ‘ফসলি’। এ অ্যাপসের মাধ্যমে সম্প্রসারণ কর্মীরা স্যাটেলাইট ডাটা ও আবহাওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে কৃষককে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে তথ্য দিচ্ছে। কৃষক বালাই ও রোগের ক্ষেত্রে করণীয় এবং শস্য উৎপাদনে আয়-ব্যয়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণের তথ্য পাচ্ছেন। মাঠে থাকা ফসলের উৎপাদন কোন এলাকায় কোন পর্যায়ে রয়েছে সে তথ্য দিয়েছে। নওগাঁ, রংপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, বগুড়া, দিনাজপুর, কক্সবাজার, খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার কৃষকরা এ সুবিধা পেয়েছেন।

কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার :  গ্রামের কৃষকদের তথ্যপ্রাপ্তি সহজ করতে কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার চালু করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বারি)। অ্যাপের মাধ্যমে উদ্ভাবিত ফসলের জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি, বিশেষ করে রোগবালাই, পোকামাকড় ও সার ব্যবস্থাপনাসহ যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়। তথ্য জানার জন্য প্রশ্ন করার সুযোগ আছে। প্রশ্ন করার পর সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।

কৃষক জানালা : কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার, সমস্যা ও সমাধানের উপায় বিশেষ করে রোগ-পোকামাকড়ের ছবিসহ চিকিৎসাপত্র, সার, বীজ ও বালাইনাশকের তথ্যাবলি, উপজেলার শস্যবিন্যাস, ভেজাল সার শনাক্তকরণের ভিডিওচিত্র রয়েছে অ্যাপে। ছবি দেখে কৃষক নিজেই তার সমস্যা চিহ্নিত করতে পারে। চিহ্নিত ছবিতে ক্লিক করলেই সমস্যার সমাধানের ছবি ভেসে উঠবে। প্রতিটি সমস্যার একাধিক ছবি এবং কমপক্ষে একটি প্রতিনিধিত্বপূর্ণ ছবি যুক্ত আছে। এর মাধ্যমে কৃষক সহজেই তার সমস্যা চিহ্নিত করে। এখানে ১২০ ফসলের এক হাজারের বেশি সমস্যার সমাধান দেওয়া আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

প্রণোদনার সঙ্গে কমেছে সারের দাম, অ্যাপভিত্তিক কৃষিসেবা

আপডেট টাইম : ১২:১২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কালের চাকায় ঘুরে বিদায় নিচ্ছে ২০১৯ সাল। কয়েকদিন পর শুরু হবে নতুন বছর ২০২০। ২০১৯ সাল সরকারের অর্জনের বছর। উন্নয়ন ও জনকল্যাণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি প্রণোদনা, ডিএপি সারের দাম কমানো, অ্যাপভিত্তিক কৃষিসেবা চালু করেছে।

কৃষি প্রণোদনা : কৃষি উৎপাদন বাড়াতে নয়টি ফসল উৎপাদনে সারাদেশের ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৮০ কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়।

অক্টোবরে দেওয়া এ প্রণোদনা সম্পর্কে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে চলতি রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, শীতকালীন মুগ, পেঁয়াজ এবং পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদনে বীজ ও রাসায়নিক সার (ডিএপি ও এমওপি) দেওয়া হয়।

রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, শীতকালীন মুগ, পেঁয়াজ এবং পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদন বৃদ্ধিতে ৬৪টি জেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে প্রতি কৃষক পরিবারকে সর্বোচ্চ এক বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার প্রণোদনা দেওয়া হয়।

ডিএপি সার : কৃষকের স্বার্থে ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের দাম প্রতি কেজিতে ৯ টাকা কমানো হয়েছে। যা বিজয় দিবস থেকে (১৬ ডিসেম্বর) কার্যকর হয়েছে। কৃষক পর্যায়ে ডিএপি সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে প্রতি কেজি ১৬ টাকা, যা আগে ছিল ২৫ টাকা। আর ডিলার পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৪ টাকা করা হবে।

বিজয় দিবসের উপহার হিসেবে ডিএপি সারের মূল্য হ্রাস করা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ে সারের মূল্য হ্রাসের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এ ঘোষণা দেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, কৃষকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের জন্য উপহার অর্থাৎ হ্রাসকৃত মূলে ডিএপি সারের বিক্রি বিজয় দিবস থেকে কার্যকর হয়েছে। এর ফলে সুষম সার ব্যবহারে কৃষকরা অধিক ফলন পাবে। পরিবেশবান্ধব টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার হবে।

ডিপিতে ফসফরাসের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম ও নাইট্রোজেন যুক্ত থাকে। যেটা গাছের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ রোধ করে। ফুল, ফল ও বীজে গুণগতমান বাড়ায়। ফলে এ সার প্রয়োগে একদিকে যেমন ইউরিয়া ও টিএসপি উভয় সারের সুফল পাওয়া যাবে আবার অর্থ ও শ্রম উভয়ের সাশ্রয় হবে। দেশে বছরে ৪ থেকে ৫ লাখ টন ডিএপি সারের চাহিদা রয়েছে। দাম কমানোর ফলে ডিএপি সারের ব্যবহার আরো বাড়বে।

অ্যাপভিত্তিক সেবা : আবহাওয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের বালাই আক্রমণ করতে পারে সে বিষয়ে ঘরে বসেই চলতি বছরে তথ্য পেয়েছে কৃষক। ফসলের উৎপাদন কখন কী পর্যায়ে রয়েছে সে নির্দেশনাও চলে যাচ্ছে কৃষকের মোবাইল ফোনে। নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক তথ্য পাওয়ায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পোকার আক্রমণ থেকে ফসলের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কমছে। এতে ফসলের উৎপাদনশীলতা ১৫ শতাংশ বেড়েছে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।

সরকারি ও বেসরকারিভাবে বেশ কিছু কৃষিভিত্তিক মোবাইল অ্যাপস চালু রয়েছে। এসব অ্যাপসের মাধ্যমে দেশে চলতি বছর প্রায় ৪০ লাখ বেশি কৃষক সরাসরি সেবা নিয়েছে। এছাড়া পরোক্ষভাবে আরো কয়েক লাখ উপকৃত হয়েছে।

কৃষি বাতায়ন : কৃষিসেবা কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে কৃষি বাতায়ন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির আওতায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি চালু করা হয়। কৃষি বাতায়নে নিবন্ধিত যেকোনো কৃষক ‘৩৩৩১’ নম্বরে ফোন করে তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারছেন।

ফসলি : ১২টি জেলার প্রায় ৯ লাখ ৭০ হাজার কৃষককে কৃষিবিষয়ক পাঁচ ধরনের তথ্য সেবা দিচ্ছে এসিআই লিমিটেডের ‘ফসলি’। এ অ্যাপসের মাধ্যমে সম্প্রসারণ কর্মীরা স্যাটেলাইট ডাটা ও আবহাওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে কৃষককে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে তথ্য দিচ্ছে। কৃষক বালাই ও রোগের ক্ষেত্রে করণীয় এবং শস্য উৎপাদনে আয়-ব্যয়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণের তথ্য পাচ্ছেন। মাঠে থাকা ফসলের উৎপাদন কোন এলাকায় কোন পর্যায়ে রয়েছে সে তথ্য দিয়েছে। নওগাঁ, রংপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, বগুড়া, দিনাজপুর, কক্সবাজার, খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার কৃষকরা এ সুবিধা পেয়েছেন।

কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার :  গ্রামের কৃষকদের তথ্যপ্রাপ্তি সহজ করতে কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার চালু করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বারি)। অ্যাপের মাধ্যমে উদ্ভাবিত ফসলের জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি, বিশেষ করে রোগবালাই, পোকামাকড় ও সার ব্যবস্থাপনাসহ যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়। তথ্য জানার জন্য প্রশ্ন করার সুযোগ আছে। প্রশ্ন করার পর সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।

কৃষক জানালা : কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার, সমস্যা ও সমাধানের উপায় বিশেষ করে রোগ-পোকামাকড়ের ছবিসহ চিকিৎসাপত্র, সার, বীজ ও বালাইনাশকের তথ্যাবলি, উপজেলার শস্যবিন্যাস, ভেজাল সার শনাক্তকরণের ভিডিওচিত্র রয়েছে অ্যাপে। ছবি দেখে কৃষক নিজেই তার সমস্যা চিহ্নিত করতে পারে। চিহ্নিত ছবিতে ক্লিক করলেই সমস্যার সমাধানের ছবি ভেসে উঠবে। প্রতিটি সমস্যার একাধিক ছবি এবং কমপক্ষে একটি প্রতিনিধিত্বপূর্ণ ছবি যুক্ত আছে। এর মাধ্যমে কৃষক সহজেই তার সমস্যা চিহ্নিত করে। এখানে ১২০ ফসলের এক হাজারের বেশি সমস্যার সমাধান দেওয়া আছে।