হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে আটটি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিষয়টি মনিটরিং করেছেন।
সকালে প্রথমবারের মতো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আপিল বিভাগের বিচারকাজ শুরু হয়।
দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে আটটি শক্তিশালী সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
এই সিসিটিভি ক্যামেরায় অডিও ও ভিডিও রেকর্ড করার ক্ষমতা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি ঘিরে নজিরবিহীন হট্টগোল হয় আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোলের মুখে থমকে ছিল বিচারকাজ। এমন বাস্তবতায় বৃহস্পতিবার আবার খালেদার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। যা নিয়ে চাপা উত্তেজনা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এ প্রেক্ষাপটে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি ঘিরে আপিল বিভাগের ভেতরে যে হট্টগোল হয়েছে, আবারও এমন ঘটনা ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আপিল বিভাগে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সমকালকে বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত সময় উপযোগী ও সঠিক। আমি এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।