হাওর বার্তা ডেস্কঃ কলা আর চা খেয়েই ২৭ বছর ধরে বেঁচে আছেন এক বৃদ্ধা নারী। তার বয়স ৮৭ এর কোঠায়। এখনো তিনি সুস্থ। মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের ঊর্মিলা চতুর্বেদী।
১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রক্তাক্ত হয় ভারতে। সেই দাঙ্গায় নিহত হন প্রায় ২ হাজার হিন্দু-মুসলমান। তখন থেকে তিনি উপোস থাকতে শুরু করেন। শুধু কলা আর চা খেয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন ২৭ বছর।
জানা যায়, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ব্রত হিসেবে এ খাদ্যাভাস বেছে নিয়েছিলেন রাজধানী ভুপাল থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে জবলপুরের বিজয় নগরের ঊর্মিলা।
এ প্রসঙ্গে ঊর্মিলা চতুর্বেদী বলেন, আমি দেখেছিলাম হিন্দু আর মুসলিম ভাইয়েরা একে অন্যকে খুন করছে। দৃশ্যগুলো দেখার পর থেকে আমি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলাম। তারপর ২৭ বছর কেটে গিয়েছে।
তিনি জানান, এত বছর ধরে তার এ খাদাভ্যাস নিয়ে ঠাট্টা করেছেন অনেকেই। এ ব্রত থেকে সরে আসার পরামর্শও দিয়েছেন। তবে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি ঊর্মিলা। সম্প্রতি, অযোধ্যার রায় হওয়ার পরও তাকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করে তার পরিবার।
পরিবার জানায়, তিনি যতদিন না অযোধ্যায় গিয়ে রামের আশীর্বাদ পাবেন; ততদিন পর্যন্ত খাবার গ্রহণ করবেন না। তার শরীরের বয়স কমলেও মনের জোর এতটুকুও কমেনি। গত ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সময় টেলিভিশনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় বাবরি মসজিদ মামলা নিয়ে রায় ঘোষণা করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, অযোধ্যার বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মিত হবে; বিকল্প হিসেবে বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি অন্যত্র দেয়া হবে।
সূত্র: নিউজ ১৮