মহারাষ্ট্রে ‘নাটকীয়’ সরকারের নাটকীয় পতন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের মহারাষ্ট্রে রাতের আঁধারে জোট সরকার গঠনের চারদিনের মাথায় পিছু হটেছে বিজেপি। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) অজিত পাওয়ারকে নিয়ে গঠিত সেই সরকার মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছে।

এদিন ভারতের সুপ্রিমকোর্ট এক রায়ে আজ বুধবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থা ভোট দিতে রাজ্যপালের প্রতি নির্দেশ দেন। এরপরই পিছু হটে বিজেপি। এদিন সন্ধ্যায়ই সরকার গঠনে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে রোববার রাজ্য সরকার শপথ নিতে পারে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ না করায় জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছিল। শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট গঠনে এগিয়ে থাকলেও শনিবার রাতে হঠাৎ করেই রাজ্যপালের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে বিজেপি ও এনসিপির অজিত পাওয়ার। এরপর এনসিপি প্রধান ও অজিতের চাচা শরদ পাওয়ার এই সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করে বিজেপিকে দলের পক্ষ থেকে সমর্থন না দেয়ার কথা জানান। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী সময়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপিবিরোধী জোট।

এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, আবেদনের ওপর টানা দুইদিনের শুনানির পর মঙ্গলবার ভারতের সুপ্রিমকোর্ট মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় নতুন সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিতে বুধবার আস্থা ভোট অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেন। আদালত রাজ্যপালকে বিধানসভায় প্রোটেম স্পিকার নিযুক্ত ও বিধায়কদের শপথ গ্রহণ করানোর পর বিকালে আস্থা ভোট আয়োজন করতে বলেন। গোপন ব্যালটে নয়, বরং ভোট লাইভ টেলিকাস্ট করতে বলা হয়। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের পর উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন অজিত পাওয়ার। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় দুই নেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠকে বসেন। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। পরে সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের বিরোধী দল হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

নাটকীয় এই পটপরিবর্তনের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ই বৈঠকে বসে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। কংগ্রেসপ্রধান সোনিয়া গান্ধীর সমর্থন নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। আজই বিধানসভায় শপথ নিতে পারেন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন দুইজন- এনসিপির জয়ন্ত পাতিল ও কংগ্রেসের বালাসাহেব থোরাট।

২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ২৮৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১০৫, শিবসেনা ৫৬, এনসিপি ৫৪ ও কংগ্রেস ৪৪টি আসন লাভ করে। কোনো দলই সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ১৪৫টি আসন পায়নি। সরকার গঠনে রাজ্যপাল বিভিন্ন দলকে সময় দিলেও তারা জোট গঠনে ব্যর্থ হয়। এরই মাঝে শনিবার বিজেপি অজিত পাওয়ারকে নিয়ে ১৭০ বিধায়কের সমর্থনের কথা রাজ্যপালকে জানিয়ে সরকার গঠনে শপথ নেয়। এ নিয়ে আদালতে যাওয়ার পাশাপাশি সোমবার মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে ১৬২ বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জানান দেয় শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট।

নিযুক্ত ও বিধায়কদের শপথ গ্রহণ করানোর পর বিকালে আস্থা ভোট আয়োজন করতে বলেন। গোপন ব্যালটে নয়, বরং ভোট লাইভ টেলিকাস্ট করতে বলা হয়। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের পর উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন অজিত পাওয়ার। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় দুই নেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠকে বসেন। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। পরে সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের বিরোধী দল হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

নাটকীয় এই পটপরিবর্তনের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ই বৈঠকে বসে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। কংগ্রেসপ্রধান সোনিয়া গান্ধীর সমর্থন নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। আজই বিধানসভায় শপথ নিতে পারেন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন দুইজন- এনসিপির জয়ন্ত পাতিল ও কংগ্রেসের বালাসাহেব থোরাট।

২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ২৮৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১০৫, শিবসেনা ৫৬, এনসিপি ৫৪ ও কংগ্রেস ৪৪টি আসন লাভ করে। কোনো দলই সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ১৪৫টি আসন পায়নি। সরকার গঠনে রাজ্যপাল বিভিন্ন দলকে সময় দিলেও তারা জোট গঠনে ব্যর্থ হয়। এরই মাঝে শনিবার বিজেপি অজিত পাওয়ারকে নিয়ে ১৭০ বিধায়কের সমর্থনের কথা রাজ্যপালকে জানিয়ে সরকার গঠনে শপথ নেয়। এ নিয়ে আদালতে যাওয়ার পাশাপাশি সোমবার মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে ১৬২ বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জানান দেয় শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর