হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। জন্ম হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করে ২০০৯ সালে চলে যান লন্ডনে। সেখানে সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে বার অ্যাট ল’ করেন তিনি। এরপর দেশে ফিরে আসেন সুমন। যুক্ত হন আইন পেশার সঙ্গে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তিনি। এলাকার নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আর অনিয়মের বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভ করে পেয়েছেন খ্যাতি। সম্প্রতি ব্যক্তিগতসহ নানা ইস্যুতে কথা বলেছেন বিডি২৪লাইভের সঙ্গে। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের আজ থাকছে শেষ পর্ব। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট শাহাদাত হোসেন রাকিব।
সম্প্রতি রাস্তাতে পিলার নিয়ে একটি লাইভ করেছিলেন। ওই লাইভ নিয়ে অনেকে আপনার সমালোচনা করেছেন।
সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন: লাইভের ওই ভিডিওটাকে এডিট করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি সবসময় বলেছি, আপনি যখন ভালো কাজ করবেন, বাংলাদেশের ইতিহাস বলে; যারাই বাংলাদেশে ভালো কাজ করেছে তাদের অনেকেই হয়তো অল্প বয়সে মারা গেছেন আর না হয় অপমান হয়ে এদেশ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। তাই আমাকে খুব সম্মানিত করা হবে, আমি এমন আশাবাদী না। আমি শুধু আমার দায়িত্বটা পালন করে যাচ্ছি।
আপনার ক্ষেত্রেও তাহলে এমন হতে পারে বলে ধারণা করছেন?
সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন: আমি খুব স্পষ্টভাবে বলি, বাংলাদেশের অনেক মানুষই আছে, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও আপনি কেন উঠে যাচ্ছেন এ কারণে অনেক বেশি হিংসা বা জেলাস ফিল করেন। মানুষের মধ্যে একটা গ্রুপ আছে। ধরুন আমি আওয়ামী লীগ করি। আওয়ামী লীগের বিপক্ষে আছে এমন অনেকেই চাচ্ছে না আমার ইমেজ বাড়ুক। কারণ, আমার ইমেজ বাড়লে আওয়ামী লীগের ইমেজ বাড়ে। যেহেতু আমি আওয়ামী লীগের সাপোর্টার। তবে আমার নামে যদি এই তকমাটা দেয়া যায়, লোকটা অসৎ এবং দুর্নীতিগ্রস্থ; তাহলে আওয়ামী লীগও কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিন্তু এটা তো কোনভাবেই করা যাচ্ছে না, আমাকে অসৎ বানাতে পারছে না। এজন্য যারা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে তাদের মধ্যে অনেকে হয়তো আমার কারণে না, আওয়ামী লীগকে হয়তো পছন্দ করেন না বিধায় আমাকেও পছন্দ করেন না। তারা হয়তো আমাকে উপরে উঠতে দিতে চান না। এরকম অনেক ইকুয়েশন এখানে আছে। আমি যদি এদের দিকে তাকিয়ে থাকি তাহলে নিজের কাজটি করতে পারব না। তাদের কাজটা তাদেরকে করতে দিন। সারা পৃথিবীব্যাপী এরকম বিভিন্ন সমস্যা ছিল। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের বিরোধিতা হয়েছে। তারপরও মানুষ তার লক্ষ্যে অবিচল থাকলে তাকে ঠেকানো অনেক কঠিন।
ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে বিবাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলার সর্বশেষ কি অবস্থা?
সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন: গতকালকে আমরা সাক্ষীগুলো শেষ করেছি। নভেম্বরের ১১ তারিখে আমাদের তদন্তকারীর সাক্ষী শুরু হবে। আশা করছি দেড় মাসের মধ্যে আমরা এটার রায় পেয়ে যাব।
মামলার রায় প্রসঙ্গে আপনি কি আশা করছেন?
সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন: আমি আশা করছি সর্বোচ্চ শাস্তি। কারণ, এটা প্রমাণ করার জন্য যেসব জিনিসগুলো প্রয়োজন তার অনেকটুকুই প্রমাণ হয়ে গেছে।
আপনার সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে যদি কিছু বলার থাকে…
সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন: সমালোচনা করতে চাইলে করুন, কোন অসুবিধা নাই কিন্তু যার সমালোচনা করছেন তার কাজের দিকে একটু নজর দিন। তার কাজ যদি পছন্দ হয় তাহলে আপনিও এই কাজগুলো করুন। সমালোচনা করার সময় আপনি করুন কিন্তু আপনিও দেশের জন্য কিছু কাজ করুন। মিথ্যা কথা বলে আরেকজনের কাজে বিরক্ত করবেন না। এমন কাজ করবেন না যাতে করে মানুষের ভালো কাজ করার পথ রুদ্ধ হয়।