হাওর বার্তা ডেস্কঃ টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল বুধবার দেশের পুঁজিবাজারে কিছুটা দরপতন হয়। কিন্তু সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বাজার।
এদিন প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, শুরুতেই লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্টের ওপরে বেড়ে যায়।
কিন্তু লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে যায়। এতে সূচকের বড় উত্থান হয়নি। তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় নাম লেখালেও বেড়েছে তার থেকে বেশি।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৪৪টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৩টির। ৫৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ৭০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ৬ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই- ৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৬৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্য সূচকের উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪২১ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪০৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
বাজারটিতে টাকার পরিমাণে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিকন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ২৭ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৩২ লাখ টাকার। ১৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- ন্যাশনাল টিউবস, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, ফরচুন সুজ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্স।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৭২ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৫টির, কমেছে ৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির।