ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ থেকে পাঁচ টাকা সরকারি মুদ্রা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫
  • ৫১২ বার

দুই টাকার নোট এতোদিন সরকারি মুদ্রা হিসেবে প্রচলিত ছিল। কিন্তু দুই টাকার ক্রয় ক্ষমতা আগের চেয়ে হ্রাস পাওয়ায় এখন থেকে পাঁচ টাকার মুদ্রা সরকারি মুদ্রা হবে। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ কয়েনজ অর্ডার, ১৯৭২এ সংশোধনী এনে সংসদে ‘বাংলাদেশ কয়েনজ (এমেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৫’ বিল পাস হয়েছে। রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে সেটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

কয়েকজন সদস্য বিলটির ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব আনলে সেগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পাঁচ টাকার যে কয়েন বর্তমানে বাজারে রয়েছে সেটির আইনগত বৈধত্ ছিল না। এই আইনের মধ্য দিয়ে সেই কয়েন বৈধতা পাবে। এছাড়া দুই টাকার মুদ্রাও বাজারে থাকবে।

বিলের উদ্দেশ্যে ও কারন সর্ম্পকিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৭২ সালে দি বাংলাদেশ কয়েনজ অর্ডার দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৯৮৯ সালে সংশোধন করে ২ টাকাকে সরকারি মুদ্রা করা হয়।

এর আগে সর্বোচ্চ এক টাকার মুদ্রা সরকারি মুদ্রা হিসেবে পরিচিত ছিল। ইতিমধ্যে ২৬ বছর অতিবাহিত হয়েছে। ২ টাকার ক্রয় ক্ষমতাও আগের তুলনায় হ্রাসপেয়েছে। এ কারনে বর্তমানে আইনের অধিকতর সংশোধনের মাধ্যমে ৫ টাকারনোটকে সরকারি মুদ্রায় রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে দেশের মোট অর্থের যোগান অপরিবির্তত থাকবে। এ কারনে মুল্যস্ফীতিজনিত প্রভাব হবে না।

বিলে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৪-৭৫ সালে বাজারে প্রচলিত মোট অর্থের মধ্যে সরকারি মুদ্রার পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে যা দশমিক নয় শুন্য শতাংশে নেমে এসেছে। ৫ টাকা মূল্যমানের নোট ও কয়েনগুলোকে সরকারি মুদ্রায় রূপান্তর করা হলে সরকারি মুদ্রার পরিমানণবাজারে প্রচলিত মোট মুদ্রার ১ দশমিক পাঁচ শুন্য শতাংশে উন্নীত হবে।

এদিকে গতকাল সংসদে ‘ উন্নয়ন সারসার্জ ও লেভী ( আরোপ ও আদায়) আইন, ২০১৫’ নামে আরেকটি বিল পাস হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ থেকে পাঁচ টাকা সরকারি মুদ্রা

আপডেট টাইম : ০৯:৩৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

দুই টাকার নোট এতোদিন সরকারি মুদ্রা হিসেবে প্রচলিত ছিল। কিন্তু দুই টাকার ক্রয় ক্ষমতা আগের চেয়ে হ্রাস পাওয়ায় এখন থেকে পাঁচ টাকার মুদ্রা সরকারি মুদ্রা হবে। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ কয়েনজ অর্ডার, ১৯৭২এ সংশোধনী এনে সংসদে ‘বাংলাদেশ কয়েনজ (এমেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৫’ বিল পাস হয়েছে। রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে সেটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

কয়েকজন সদস্য বিলটির ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব আনলে সেগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পাঁচ টাকার যে কয়েন বর্তমানে বাজারে রয়েছে সেটির আইনগত বৈধত্ ছিল না। এই আইনের মধ্য দিয়ে সেই কয়েন বৈধতা পাবে। এছাড়া দুই টাকার মুদ্রাও বাজারে থাকবে।

বিলের উদ্দেশ্যে ও কারন সর্ম্পকিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৭২ সালে দি বাংলাদেশ কয়েনজ অর্ডার দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৯৮৯ সালে সংশোধন করে ২ টাকাকে সরকারি মুদ্রা করা হয়।

এর আগে সর্বোচ্চ এক টাকার মুদ্রা সরকারি মুদ্রা হিসেবে পরিচিত ছিল। ইতিমধ্যে ২৬ বছর অতিবাহিত হয়েছে। ২ টাকার ক্রয় ক্ষমতাও আগের তুলনায় হ্রাসপেয়েছে। এ কারনে বর্তমানে আইনের অধিকতর সংশোধনের মাধ্যমে ৫ টাকারনোটকে সরকারি মুদ্রায় রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে দেশের মোট অর্থের যোগান অপরিবির্তত থাকবে। এ কারনে মুল্যস্ফীতিজনিত প্রভাব হবে না।

বিলে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৪-৭৫ সালে বাজারে প্রচলিত মোট অর্থের মধ্যে সরকারি মুদ্রার পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে যা দশমিক নয় শুন্য শতাংশে নেমে এসেছে। ৫ টাকা মূল্যমানের নোট ও কয়েনগুলোকে সরকারি মুদ্রায় রূপান্তর করা হলে সরকারি মুদ্রার পরিমানণবাজারে প্রচলিত মোট মুদ্রার ১ দশমিক পাঁচ শুন্য শতাংশে উন্নীত হবে।

এদিকে গতকাল সংসদে ‘ উন্নয়ন সারসার্জ ও লেভী ( আরোপ ও আদায়) আইন, ২০১৫’ নামে আরেকটি বিল পাস হয়েছে।