হাওর বার্তা ডেস্কঃ নবগঠিত সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটিতে নির্যাতিত এবং ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়নি- এমন দাবি করে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ তিন কেন্দ্রীয় নেতা দলের পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমন খবর শনিবার ছড়িয়ে পড়লে নগরময় বিশেষ করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
তবে এ ব্যাপারে সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী ইত্তেফাককে বলেন, ‘দলের চেয়ারপার্সন জেলে এ সময় আমি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। কাল মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করে আমাদের কষ্টের কথা জানাব। আশা করি প্রতিকার পাবো।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলে যদি কোন কথা না টিকে বা মূল্যায়ন না হয় তা হলে দলে থেকে কি লাভ। প্রতিকার না পেলে পদ ত্যাগ করবো। তবে বিএনপির সঙ্গেই থাকবো।’
সিসিক মেয়র আরিফ বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য। তিনি ছাড়াও অন্য দুজন হলেন- দলের কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক ও কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী।
প্রায় দেড় যুগ পর শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান পাপলুকে আহ্বায়ক করে ২৯ সদস্যের জেলা কমিটি ও সাবেক ছাত্রনেতা নজিবুর রহমান নজিবকে আহ্বায়ক করে ২৭ সদস্যের মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটি ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ হন বিএনপির কেন্দ্রীয়সহ একাংশের নেতারা।
তারা বলছেন, স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এবারের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর এ কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের কোন পদই দেওয়া হয়নি। যারা নেতৃত্বে এসেছেন তারাও বিতর্কিত। এ কারণে এ কমিটি তারা মেনে নিতে পারছেন না। এরপর রাতেই নগরীর কুমারপাড়ায় বৈঠকে বসেন বিএনপি কেন্দ্রীয় এ তিন নেতাসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা। এ বৈঠকেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন আরিফসহ তিনজন। শনিবার রাতে পদত্যাগপত্র কেন্দ্রীয় মহাসচিবের কাছে পাঠাবেন বলেও জানান তারা। এছাড়া পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে থাকা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতারাও গণপদত্যাগ করবেন বলে এ সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
সিটি মেয়র আরিফ বলেন, ‘রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম যারা করেছেন তাদেরকে জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়নি। এমনকি যারা দলের পক্ষে আন্দোলন করে নির্যাতিত হয়েছেন তাদেরকেও মূল্যায়ন করা হয়নি। এ কারণেই আমরা বিএনপি কেন্দ্রীয় পদ থেকে পদত্যাগ চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করবো।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘দলের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতিত হয়েছেন, কারাভোগ করেছেন তাদেরকে যুবদলে মূল্যায়ন করা হয়নি। যারা বঞ্চিত হয়েছেন তারা প্রতিকার চেয়েছে। আমরা সমাধান দিতে পারিনি বলেই পদত্যাগ করতে যাচ্ছি।’