আমরা দুঃখিত: বিএনপি

সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে, দিলদার হোসেন সেলিম, আবদুল গফ্ফার ও আবদুর রাজ্জাক গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে বলেন, আমরা দুঃখিত।দলের দুঃখের সময়ে কেউ মাঠে নেই। রাজপথে আন্দোলনের ‘খেই’ তোলার পরিবর্তে সিলেট বিএনপি যেন কোন্দল-বিভাজনে ডুবে আছে। দীর্ঘদিন ধরে সিলেট বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই চলছে। তারপরও সম্মেলনের নেই কোনো তোড়জোড়। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সম্মেলন আয়োজনে কোনো প্রস্তুতি নেই সিলেট জেলা বিএনপির। কয়েক দফা সম্মেলনের প্রাথমিক দিনক্ষণ নির্ধারণ হলেও এখন আর সে প্রস্তুতিও নেই। ঝিমিয়ে পড়া জেলা কমিটি এবার সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে প্রকাশ্যে বিভক্তিতে পড়েছে। সদর উপজেলায় পাল্টাপাল্টি কমিটি হওয়ায় কমিটি দুটিকে অগণতান্ত্রিক ও পরস্পরবিরোধী বলে জেলা শাখার তিন শীর্ষ নেতা বিবৃতিও দিয়েছেন। ১০ নভেম্বর সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে জেলার আহ্বায়ক নূরুল হকসহ আরো দুই যুগ্ম আহ্বায়ক উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ওই সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকেন সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহমেদুর রহমান চৌধুরী মিলু। একই সঙ্গে ওই দিন সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহ জামাল নুরুল হুদার অনুসারীরা পাল্টা কমিটিও গঠন করেন। এর প্রভাব পড়ে জেলা বিএনপিতে। পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে সিলেট জেলা বিএনপি। জেলার আহ্বায়কের নেতৃত্বে সদর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন হলেও একই দিন পাল্টা কমিটিও গঠন করে অন্য পক্ষ। আবার একটি উপজেলা শাখায় দুটি কমিটি গঠন হলে জেলা শাখার তিন নেতা কমিটি বিরোধী বিবৃতিও পাঠান গণমাধ্যমে। এ নিয়ে সিলেট বিএনপিতে চলছে নানা গুঞ্জন, আলোচনা। দলের এ সংকটময় মূহুর্তে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির কোনো বিকল্প নেই। সম্প্রতি সিলেট সদর উপজেলায় দুটি বিবদমান কমিটিকে আমরা অভিনন্দন বার্তা দিতে না পারায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কারণ এ দুটি কমিটি অগণতান্ত্রিক ও পরস্পরবিরোধী উল্লেখ করে জেলা শাখার ওই তিন নেতা বিবৃতি দেন। এদিকে সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমদ বলেন, হঠাৎ করে কে কোথায় বসে পাল্টা কমিটি গঠন করেছে তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। মূলত জেলা বিএনপির আহ্বায়কের নেতৃত্বে যে কমিটি হয়েছে সেটাই বৈধ। অন্যটি অবৈধ। তিনি আরো বলেন, পাল্টা কমিটি শুধু অবৈধই নয়, এটা দলের গঠনতন্ত্র বিরোধীও। সংশিষ্ট সূত্র জানায়, সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহমেদুর রহমান চৌধুরী মিলু সম্মেলনের আগের দিন ৯ নভেম্বরর জেলা শাখার কাছে ‘অসুস্থতা’ কারণ দেখিয়ে সম্মেলনের তারিখ পেছানোর অনুরোধ জানান। অন্য একটি সূত্র জানায়, তিনি দীর্ঘ এক বছরেও সম্মেলন করতে না পারায় জেলা কমিটি তার অনুরোধের ১ ঘণ্টার মধ্যে জানিয়ে দেয় ১০ নভেম্বরই সম্মেলন হবে। আর সে অনুযায়ী ১০ নভেম্বর সম্মেলন সম্পন্ন করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর