হাওর বার্তা ডেস্কঃ কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট দেখার আমন্ত্রণ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন- ভারত সফরে খেলা দেখতে গিয়ে তিস্তা চুক্তি নিয়ে তিক্ততা সৃষ্টি করতে চান না।
প্রতিবেশী দেশটিতে সফরে গেলে তিস্তা চুক্তি নিয়ে কথা হবে কিনা? সাংবাদিকের এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতে আমি ক্রিকেট খেলা দেখতে যাচ্ছি, ক্রিকেটকে আপনি নদীতে নিয়ে যাচ্ছেন কেন?
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি হয়ত কলকাতা টেস্টে টস হওয়ার পর বিকালে দেশে চলে আসব, ক্রিকেট খেলা দেখতে গিয়ে তিস্তা নিয়ে কেন তিক্ততা সৃষ্টি করব?
আজারবাইজানে ন্যাম শীর্ষ সম্মেলন শেষে দেশে ফিরে মঙ্গলবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নপর্বে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কোন প্রধানমন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর দাওয়াতে নয় একজন বাঙালির দাওয়াতে কলকাতায় যাচ্ছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা কিন্তু ইন্ডিয়ান প্রাইম মিনিস্টার এর দাওয়াত না আবার মুখ্যমন্ত্রীর দাওয়াত না। এটা সৌরভ গাঙ্গুলি দাওয়াত দিয়েছে, আমি বলছি আসবো। একজন বাঙালি দাওয়াত দিয়েছে, আমি বলেছি আসবো। তাছাড়া একটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে এতো প্রটোকল এটা-সেটা সবসময় থাকবে কেন?
তিনি আরও বলেন, আমি শুধু যাবো তাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা দেখতে আর বিকেলেই চলে আসব।
এই সফরে তিস্তা নিয়ে তিক্ততা সৃষ্টি করতে চান না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সেখানে তিস্তা এগুলো নিয়ে তিক্ততা কেন সৃষ্টি করবো, এগুলি তো বলার সময় আছে, এগুলি আমরা বলি, সামনে আরও বলতে পারবো।
২২ নভেম্বর কেলকাতার ইডেন গার্ডেনে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার টেস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে তিনি আগের দিন রাতে কলকাতার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং পরদিন বিকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আবার ঢাকা ফিরে আসবেন।
এর আগে, ২৫ থেকে ২৬ অক্টোবর উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট- ন্যামের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। ‘বান্দুং সম্মেলনে গৃহীত নীতিমালার আলোকে সমকালীন বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ নিয়ে’ ন্যাম সম্মেলনে এক আলোচনায় বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। ন্যাম সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকটের ব্যাপকতা তুলে ধরে এর সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন প্রধানমন্ত্রী।