ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধানের জমি ও বাম্পার ফলন মানে কৃষকের গলায় ফাঁস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯
  • ২১৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘এখন ধানের জমি মানে আমাদের গলায় ফাঁস। কারণ ধানের দাম না পেলেও আমাদের ধান চাষ করতে হচ্ছে। কারণ এই জমিগুলোতে ধান চাষ করা ছাড়া আর কোন আবাদ করা সম্ভব নয়। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই ধান চাষ করছি। কিন্তু ধানের সঠিক দাম পাওয়ার জন্য কৃষকদের দিকে সরকারের যত্নসহকারে জোরালো নজর দেয়া উচিত। প্রতি মৌসুমের শেষের দিকে এসে ধানের দাম পড়ে যাচ্ছে-আমন মৌসুমে এসে ধানের দাম কি অবস্থায় দাঁড়াবে? এখন ধানের যে অবস্থা তাতে চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।’

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার শিয়ালাগ্রামের কৃষক ছলিম উদ্দিন এসব কথা বলেন। তার কথার সঙ্গে এক মত পোষণ করে কাটরাশইন গ্রামের কৃষক রনজিত সাহা বলেন, এভাবে ধানের দরপতন চলতে থাকলে কৃষকরা হতাশে মারা যাবে। অনেক কষ্ট করে কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান উৎপাদন করে কিন্তু তাদের কষ্টের মূল্য কৃষকরা পাচ্ছেন না।

রাণীনগরে চলতি আমন মৌসুমে কৃষি বিভাগের নির্ধারণকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। কিন্তু লাগাতার ধানের দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষককূল।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, এ বছর আমন মৌসুমে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ৪৫ হেক্টর। বিপরীতে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এ বছর আমন চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে। খরিপ২/২০১৯ রোপা আমন আবাদের আওতায় উল্লেখিত পরিমান জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন মাঠের আমনধানে শিষ ফুটতে শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া আমনধানের অনুকূলে রয়েছে বলে জানায় কৃষি অফিস।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, চাষকৃত ধানের মধ্যে উন্নত ফলনশীল উফশী ও স্থানীয় জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিনি আতপ এবং বিন্না ফুল উল্লেখযোগ্য। তবে যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত না হানে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে চলতি মৌসুমেও কৃষকরা আমনধানের বাম্পার ফলন পাবেন। এছাড়াও ধানের সকল রোগ সম্পর্কে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা, আলোচনা সভা ও আলোক ফাঁদ প্রদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমনধান কৃষকদের ঘরে না ওঠা পর্যন্ত এই সব কার্যক্রম চলবে। প্রতি বছরের চেয়ে এবারও আমনধানের ফলন অনেক বেশি হবে বলে আমি আশাবাদী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ধানের জমি ও বাম্পার ফলন মানে কৃষকের গলায় ফাঁস

আপডেট টাইম : ১১:৩২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘এখন ধানের জমি মানে আমাদের গলায় ফাঁস। কারণ ধানের দাম না পেলেও আমাদের ধান চাষ করতে হচ্ছে। কারণ এই জমিগুলোতে ধান চাষ করা ছাড়া আর কোন আবাদ করা সম্ভব নয়। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই ধান চাষ করছি। কিন্তু ধানের সঠিক দাম পাওয়ার জন্য কৃষকদের দিকে সরকারের যত্নসহকারে জোরালো নজর দেয়া উচিত। প্রতি মৌসুমের শেষের দিকে এসে ধানের দাম পড়ে যাচ্ছে-আমন মৌসুমে এসে ধানের দাম কি অবস্থায় দাঁড়াবে? এখন ধানের যে অবস্থা তাতে চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।’

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার শিয়ালাগ্রামের কৃষক ছলিম উদ্দিন এসব কথা বলেন। তার কথার সঙ্গে এক মত পোষণ করে কাটরাশইন গ্রামের কৃষক রনজিত সাহা বলেন, এভাবে ধানের দরপতন চলতে থাকলে কৃষকরা হতাশে মারা যাবে। অনেক কষ্ট করে কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান উৎপাদন করে কিন্তু তাদের কষ্টের মূল্য কৃষকরা পাচ্ছেন না।

রাণীনগরে চলতি আমন মৌসুমে কৃষি বিভাগের নির্ধারণকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। কিন্তু লাগাতার ধানের দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষককূল।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, এ বছর আমন মৌসুমে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ৪৫ হেক্টর। বিপরীতে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এ বছর আমন চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে। খরিপ২/২০১৯ রোপা আমন আবাদের আওতায় উল্লেখিত পরিমান জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন মাঠের আমনধানে শিষ ফুটতে শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া আমনধানের অনুকূলে রয়েছে বলে জানায় কৃষি অফিস।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, চাষকৃত ধানের মধ্যে উন্নত ফলনশীল উফশী ও স্থানীয় জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিনি আতপ এবং বিন্না ফুল উল্লেখযোগ্য। তবে যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত না হানে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে চলতি মৌসুমেও কৃষকরা আমনধানের বাম্পার ফলন পাবেন। এছাড়াও ধানের সকল রোগ সম্পর্কে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা, আলোচনা সভা ও আলোক ফাঁদ প্রদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমনধান কৃষকদের ঘরে না ওঠা পর্যন্ত এই সব কার্যক্রম চলবে। প্রতি বছরের চেয়ে এবারও আমনধানের ফলন অনেক বেশি হবে বলে আমি আশাবাদী।