ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

৪ উইকেটে জয় বাংলাদেশের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৯:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৫
  • ২৯১ বার

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে চার উইকেটের জয় কুড়ালো বাংলাদেশ। এর আগে অহেতুক শট হাঁকিয়ে একের পর এক উইকেট খোয়ায় টাইগাররা। একে একে সাজঘরে ফিরে গেলেন সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহীম, নাসির হোসেন ও তামিম ইকবাল। ১১তম ওভারে জোড়া অঘাত হানেন জিম্বাবুয়ে লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রিমার। নাসির হোসেন ও ক্রিজে মানিয়ে নেয়া ওপেনার তামিম ইকবাল উইকেট খোয়ান এলবিডব্লিউর ফাঁদে। ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮০/৫। তামিম করেন ৩১ রান।
বাংলাদেশ দলে প্রত্যাবর্তনে রানআউটে উইকেট খোয়ান এনামুল হক বিজয়। ব্যক্তিগত ১ রানে সিকান্দার রাজার দারুণ থ্রো ধরে বিজয়ের স্টাম্প ভেঙে দেন জিম্বাবুয়ে কিপার রেগিস চাকাভা। ১৩২ রানের টার্গেটে ৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৮/১।
জিম্বাবুয়ে ইনিংসের শেষ উইকেট তুলে নেন মিস্তাফিজুর রহমান। এর আগে টাইগারদের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যান ম্যালকম ওয়ালারকে সাজঘরে ফেরান এ তরুণ টাইগার পেসার । উইকেট দেয়ার আগে ৩০ বলে ৬৮ রান করেন জিম্বাবুয়ের এ ছয় নম্বর ব্যাটসম্যান। এতে ওয়ালার হাঁকান ৪টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা। পরে বল হাতে গ্রায়েম ক্রিমারের উইকেট তুলে নেন আল আমিন হোসেন। ১৯.৩ ওভারে ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এর আগে ৬৭ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ১৫তম ওভারে দলীয় ১০৫ রানে ক্রেইগ আরভিনকে সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশের এ অফস্পিনার। এটি ছিল মাহমুদুল্লাহর উইকেট মেডেন। পরের ওভারে জোড়া আঘাত হানেন জুবায়ের হোসেন। প্রথমে জুবায়ের এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন লুক জংওয়েকে। পরে লং অনে ক্যাচ দেন জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যান মাজিভা। ১৬ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ তখন ১০৮/৭। জিম্বাবুয়ের চতুর্থ উইকেট তুলে নিলেন টাইগার স্পিনার নাসির হোসেন। দলীয় ৩৮ রানে নাসিরের স্পিনে উইকেট খোয়ান শন উইলিয়ামস। তবে লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেনের এক ওভারে পরপর দুই বলে ছক্কা হাঁকান ম্যালকম ওয়ালার। এতে ১০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্রংগহ দাঁড়ায় ৬২/৪। মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে চরম বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ে দল। প্রথম ওভারে চার মেরে শুরু করলেও তিন উইকেট হারিয়ে তিন ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল মাত্র ১০ রান। অধিনায়ক মাশরাফি দুটি আর আল আমিন হোসেন নেন এক উইকেট।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জাতীয় দলে ফিরেছেন এনামুল হক বিজয়। টসে জিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে বিজয়ের দলে ফেরা দিনে অভিষেক হয়েছে জাতীয় দলের একমাত্র লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনের। জিম্বাবুয়ের ব্যাট করতে নেমেই হারিয়েছে প্রথম উইকেট। চারের মার হাঁকিয়ে শুরু করলেও মাশরাফির বলে লিটনের হাত ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। এটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি।
প্রথম ম্যাচে টি-টোয়েন্টি দল:
মাশরাফি বিন মুর্তজা, (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, আল আমিন হোসেন, জুবায়ের হোসেন (অভিষেক)।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মদনে লুৎফুজ্জামান বাবর’র মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

৪ উইকেটে জয় বাংলাদেশের

আপডেট টাইম : ০৯:৩৯:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৫

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে চার উইকেটের জয় কুড়ালো বাংলাদেশ। এর আগে অহেতুক শট হাঁকিয়ে একের পর এক উইকেট খোয়ায় টাইগাররা। একে একে সাজঘরে ফিরে গেলেন সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহীম, নাসির হোসেন ও তামিম ইকবাল। ১১তম ওভারে জোড়া অঘাত হানেন জিম্বাবুয়ে লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রিমার। নাসির হোসেন ও ক্রিজে মানিয়ে নেয়া ওপেনার তামিম ইকবাল উইকেট খোয়ান এলবিডব্লিউর ফাঁদে। ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮০/৫। তামিম করেন ৩১ রান।
বাংলাদেশ দলে প্রত্যাবর্তনে রানআউটে উইকেট খোয়ান এনামুল হক বিজয়। ব্যক্তিগত ১ রানে সিকান্দার রাজার দারুণ থ্রো ধরে বিজয়ের স্টাম্প ভেঙে দেন জিম্বাবুয়ে কিপার রেগিস চাকাভা। ১৩২ রানের টার্গেটে ৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৮/১।
জিম্বাবুয়ে ইনিংসের শেষ উইকেট তুলে নেন মিস্তাফিজুর রহমান। এর আগে টাইগারদের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যান ম্যালকম ওয়ালারকে সাজঘরে ফেরান এ তরুণ টাইগার পেসার । উইকেট দেয়ার আগে ৩০ বলে ৬৮ রান করেন জিম্বাবুয়ের এ ছয় নম্বর ব্যাটসম্যান। এতে ওয়ালার হাঁকান ৪টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা। পরে বল হাতে গ্রায়েম ক্রিমারের উইকেট তুলে নেন আল আমিন হোসেন। ১৯.৩ ওভারে ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এর আগে ৬৭ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ১৫তম ওভারে দলীয় ১০৫ রানে ক্রেইগ আরভিনকে সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশের এ অফস্পিনার। এটি ছিল মাহমুদুল্লাহর উইকেট মেডেন। পরের ওভারে জোড়া আঘাত হানেন জুবায়ের হোসেন। প্রথমে জুবায়ের এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন লুক জংওয়েকে। পরে লং অনে ক্যাচ দেন জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যান মাজিভা। ১৬ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ তখন ১০৮/৭। জিম্বাবুয়ের চতুর্থ উইকেট তুলে নিলেন টাইগার স্পিনার নাসির হোসেন। দলীয় ৩৮ রানে নাসিরের স্পিনে উইকেট খোয়ান শন উইলিয়ামস। তবে লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেনের এক ওভারে পরপর দুই বলে ছক্কা হাঁকান ম্যালকম ওয়ালার। এতে ১০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্রংগহ দাঁড়ায় ৬২/৪। মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে চরম বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ে দল। প্রথম ওভারে চার মেরে শুরু করলেও তিন উইকেট হারিয়ে তিন ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল মাত্র ১০ রান। অধিনায়ক মাশরাফি দুটি আর আল আমিন হোসেন নেন এক উইকেট।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জাতীয় দলে ফিরেছেন এনামুল হক বিজয়। টসে জিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে বিজয়ের দলে ফেরা দিনে অভিষেক হয়েছে জাতীয় দলের একমাত্র লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনের। জিম্বাবুয়ের ব্যাট করতে নেমেই হারিয়েছে প্রথম উইকেট। চারের মার হাঁকিয়ে শুরু করলেও মাশরাফির বলে লিটনের হাত ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। এটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি।
প্রথম ম্যাচে টি-টোয়েন্টি দল:
মাশরাফি বিন মুর্তজা, (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, আল আমিন হোসেন, জুবায়ের হোসেন (অভিষেক)।