হাওর বার্তা ডেস্কঃ দলের পরিচয় দিয়ে কেউ অপরাধ করলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না এমনকি ভবিষ্যতেও না। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দলের ধানমন্ডি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক , সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীতম দল। তাছাড়া ক্ষমতাসীন দলে সবসময়ই কিছু আগাছা, পরগাছা ঢুকে পড়ে। তবে আওয়ামী লীগ কি করবে এমন প্রশ্ন ওঠলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
কেউ অপকর্ম করলে সাংগঠনিক ও আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনপি আমলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি আজ বড় বড় কথা বলে। তাদের আমলে এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, তৎকালীন সরকার তাদের বিষয়ে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, এমন উদাহরণ নেই।
বুয়েটের সনি হত্যাকাণ্ডে কী হয়েছে? বর্তমান প্রশাসন অত্যন্ত তৎপর। তাই, আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িতদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলীয় অপকর্মের শাস্তি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দলের মেয়র পর্যন্ত কারাগারে রয়েছে। আমাদের সংসদ সদস্য কারাগারে রয়েছে। আরও অনেকের মামলা বিচারাধীন। অনেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যকে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আমরা যে ব্যবস্থা নিচ্ছি, তার প্রমাণ হচ্ছে এসব ঘটনা।
বর্তমানে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ শুধু খারাপ কাজ করছে না, অনেক ভালো কাজও করছে। গুটিকয়েক সদস্যের অপকর্মের দায়ে সমস্ত ছাত্রলীগকে দোষ দেওয়া যাবে না। এ দেশের ইতিহাসে ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুলেরা কখন যে কী বলে, তা বলা মুশকিল। তারা রাজনীতির বেপরোয়া চালক। বেপরোয়া চালকেরা কখন দুর্ঘটনা ঘটায়, তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।
এরা বিরোধিতার জন্যই শুধু বিরোধিতা করে। সরকারের বিরুদ্ধে শুধু বিরোধিতা করা তাদের রাজনীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপির ইতিবাচক কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। কারণ, তারা জানে, তাদের আন্দোলনের কোনো ইস্যু নেই ও তারা ডাক দিলে জনগণ সাড়াও দেবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রমুখ।