চুইংগাম আসলে চুইং বা চিবানোর জন্য। খাওয়ার জন্য না। তারপরও মাঝে মধ্যে অনেকেই চুইংগাম অসাবধানতাবশত গিলে ফেলে। জানেন কি, চুইংগাম কীভাবে তৈরি করা হয়?
সাধারণত এটি তৈরি হয় গাম বেস, চিনি, ফ্লেভার আর রং দিয়ে। তবে চুইংগাম গিলে ফেললে এটা নিয়ে এতোটা চিন্তা করার তেমন কিছুই নেই। কারণ অন্যসব খাবারের অবশিষ্টাংশের সঙ্গে এই চুইংগামও বেরিয়ে আসে বেশকিছু সময় পর।
অনেকেই বলে থাকেন, চুইংগাম পেটে সাত সাতটা বছর বসে থাকে! এসব পুরোপুরি ভুয়া তথ্য। চুইংগামে যেহেতু চিনি আর ফুডগ্রেড কালার আর ফ্লেভার থাকে সেগুলো আস্তে আস্তে আমাদের পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন প্রক্রিয়া আর এনজাইমের প্রভাবে পরিপাক হয়ে যায়।
বাকি থেকে যায় শুধু গামটা। এই গামটা তখন আর তেমন আঠালো থাকে না যে এটা পরিপাক হওয়ার সময় কোনো স্থানে আটকে যাবে। এর কারণ হলো পরিপাকতন্ত্র সবসময়ই চেষ্টা করে গলা দিয়ে নামা সব জিনিসই পরিপাক করতে। যার কারণে গামের আটকে যাওয়ার ক্ষমতাটা ততটা কার্যকরী থাকে না আর।
এরপরও গামটা আস্ত থাকার কারণে এটি ধীর গতিতে আস্তে আস্তে খাদ্যনালী অতিক্রম করে পাকস্থলী, সেখান থেকে ক্ষুদ্রান্তের বিভিন্ন অংশে অর্থাৎ ডিওডেনাম, জেজুনাম আর তারপর ইলিয়াম অতিক্রম করে। তারপর প্রবেশ করে বৃহদন্ত্রে।
পুরো বৃহদন্ত্র ঘুরে বেড়ানো শেষ হলে কোলনের শেষে মলাশয়ে এসে উপস্থিত হয়। সবশেষে মল ত্যাগের সময় বের হয়ে যায়। সাধারণত চুইংগাম গিলে ফেলার ২ থেকে ৩ দিন পর এটা বের হয়ে যায়। তবে হ্যাঁ, এটা পেটে থাকা অবস্থায় গোলযোগ সৃষ্টি আর বদহজম হওয়া স্বাভাবিক। কারণ এতে স্বাভাবিকভাবে পরিপাক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।