ক্যাসিনোকাণ্ডে যারা গ্রেফতার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাদক-ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত ইসমাইল হোসেন সম্রাটসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা জি কে শামীম, কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম, মোহামেডান ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, গেণ্ডারিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু, রুপম ভূঁইয়া এবং অনলাইন ক্যাসিনোর মূলহোতা সেলিম প্রধান।

গ্রেফতার অভিযানে প্রায় সবার কাছে থেকে মোটা অংকের নগদ টাকা, অবৈধ অস্ত্র, স্বর্ণ, মাদক জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে সম্রাটের কাছ থেকে কী পাওয়া গেছে, তা এখনো জানা যায়নি।

এ পর্যন্ত আট ক্যাসিনো হোতা আটক হলেও অধরা রয়ে গেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার ও কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ। তারা দুজন সম্র্রাটের ক্যাসিনো ব্যবসার দেখভাল করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সাঈদ অভিযান শুরুর পর থেকে সিঙ্গাপুরে পলাতক। আর আবু কাওসার কিছুদিন দেশের বাইরে থেকে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।

মাদক-সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ছোট-বড় মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪০টির মতো অভিযান পরিচালিত হয়েছে। দেখা গেছে, মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় মোহামেডান, আরামবাগ, দিলকুশা, ওয়ান্ডারার্স, ভিক্টোরিয়া ও ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনোর ছড়াছড়ি। এর মধ্যে ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্রাটের শিষ্য খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

বাকি পাঁচটি ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন সম্রাটের লোকজন। সম্রাটের ক্যাসিনোর দেখাশোনা করতেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক ওরফে সাঈদ। তারা এক বছর আগে পল্টনের প্রীতম-জামান টাওয়ারে ক্যাসিনো চালু করেছিলেন। অভিযান শুরু হওয়ার পর মমিনুল সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর