দুই প্রযোজক আকাশ, রনি ও পরিচালক এম কে জামানের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সিনেমা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে আইটেম গার্ল খ্যাত অভিনেত্রী সাদিয়া আফরিনকে। ‘বিষাক্ত ইয়াবা’ নামের সিনেমার দুই প্রযোজক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী সাদিয়া নিজেই।
সাদিয়া সাংবাদিকদের জানান, ‘সিনেমার মহরত হওয়ার কিছুদিন পর সিনেমার প্রযোজক মঞ্জুরুল ইসলাম রনি ফোন করে আমাকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেন। আমি বলেছি, আপনাদের এ ধরনের কন্ডিশন থাকলে আমাকে আগে জানাতেন। আমি কাজ করতাম না। এ সব কাজ আমি করতে পারব না। এরপর তিনি আমাকে বলেন, ঠিক আছে এটা না পারলে তুমি ১০ লাখ টাকা সিনেমায় ইনভেস্ট করো।এ দুইটার মধ্যে একটা তোমাকে করতে হবে। এ বিষয় নিয়ে সিনেমার পরিচালক এম কে জামান ও প্রযোজক সিরাজুল ইসলাম আকাশ আমাকে একই কথা বলেন। তারা আমার সিদ্ধান্ত জানার জন্য বার বার ফোন করেন। আমার কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে আমাকে জানিয়েছেন তারা নতুন নায়িকা নিবেন। শিল্পীসমিতিতে এ বিষয় নিয়ে বসার জন্য আমি তাদের বলেছি।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন পরিচালক এম কে জামান। তিনি জানান, ‘আমার জানা মতে সাদিয়া আফরিন খুব ভালো শিল্পী। সে ভালো অভিনয় করে। গল্পের পরিবর্তনের কারণে সাদিয়াকে বাদ দিয়ে অন্য নায়িকা নিয়েছি। যেহেতু সাদিয়াকে সাইন করিয়েছি তাই এ হাউজের অন্য সিনেমায় সাদিয়াকে দিয়ে কাজ করাবো।’
কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এর আগেও ‘রাজনীতি’ সিনেমা থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রী প্রিয়া বিপাশাকে। এ নিয়ে দেশিয় মিডিয়া বেশ ফলাও করে খবরও প্রকাশ করে। এমনকি এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার ঝড় উঠে। সেই সমালোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও পরিচালক প্রযোজকদের দেয়া কুপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে একই ঘটনার শিকার হলেন সাদিয়া।
প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্র জগতে আইটেম গার্ল হিসাবেই পরিচিত সাদিয়া আফরিন। ডেয়ারিং লাভার ছবির আইটেম গানে পারফর্ম করে সাদিয়া চলচ্চিত্রের খাতায় নাম লেখান। এর পর রিজভী খোকন পরিচালিত ‘ভালবাসলে দোষ কি তাতে’, আনোয়ার সিরাজি পরিচালিত উতালা মনসহ বেশ কয়েকটি ছবির আইটেম গানে নাচেন তিনি।