ঢাকা ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদারীপুরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২২০ বার

মাদারীপুর সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বেলা ১২টার দিকে। এদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরে দীর্ঘদিন থেকেই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এক গ্রুপ সাবেক নৌমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খান সমর্থিত অপর গ্রুপ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম গ্রুপ সমর্থিত। শনিবার সকালে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দ র‌্যালি করে বাহাউদ্দিন নাছিম সমর্থিত ছাত্রলীগ। এ সময় শাজাহান খান সমর্থিত অপর গ্রুপও আনন্দ র‌্যালি করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এতে দুই গ্রুপ প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলিবর্ষণ করে। আহত অধিকাংশ ছাত্রনেতাদের গায়ে রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়েছে।
এসময় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন, রিফাত, সাবেক এজিএস নাহিদ, রাসেদ, শাহপরান, রোমান, নুহিন, আকাশ দে, আরিফ, নাদিম, আমির হাওলাদার, অমিত, তুষার, সজীব হাওলাদারসহ কমপক্ষে ৪০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। মাদারীপুর জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর তুহিন বলেন, আমার ভাই সাবেক এজিএস ও জেলা যুবলীগ নেতা নাহিদকে খুব কাছ থেকে পুলিশ গুলি করে। এতে আমার ভাই গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান বলেন, ‘শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আমরা কেক কাটা কর্মসূচির অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। এসময় আমাদের অনুষ্ঠানে হামলা করে ৬/৭ জনকে গুরুতর আহত করে।’
মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বাহাউদ্দিন নাছিম সমর্থিত ছাত্র নেতা জাহিদ হোসেন অনিক বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে শান্তিপূর্ণ আনন্দ র‌্যালি করেছিলাম। আমাদের পূর্ব নির্ধারিত আনন্দ র‌্যালিতে শাজাহান সমর্থিতরা হামলা চালায়।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি থমথমে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারীপুরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ

আপডেট টাইম : ০৮:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মাদারীপুর সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বেলা ১২টার দিকে। এদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরে দীর্ঘদিন থেকেই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এক গ্রুপ সাবেক নৌমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খান সমর্থিত অপর গ্রুপ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম গ্রুপ সমর্থিত। শনিবার সকালে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দ র‌্যালি করে বাহাউদ্দিন নাছিম সমর্থিত ছাত্রলীগ। এ সময় শাজাহান খান সমর্থিত অপর গ্রুপও আনন্দ র‌্যালি করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এতে দুই গ্রুপ প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলিবর্ষণ করে। আহত অধিকাংশ ছাত্রনেতাদের গায়ে রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়েছে।
এসময় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন, রিফাত, সাবেক এজিএস নাহিদ, রাসেদ, শাহপরান, রোমান, নুহিন, আকাশ দে, আরিফ, নাদিম, আমির হাওলাদার, অমিত, তুষার, সজীব হাওলাদারসহ কমপক্ষে ৪০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। মাদারীপুর জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর তুহিন বলেন, আমার ভাই সাবেক এজিএস ও জেলা যুবলীগ নেতা নাহিদকে খুব কাছ থেকে পুলিশ গুলি করে। এতে আমার ভাই গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান বলেন, ‘শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আমরা কেক কাটা কর্মসূচির অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। এসময় আমাদের অনুষ্ঠানে হামলা করে ৬/৭ জনকে গুরুতর আহত করে।’
মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বাহাউদ্দিন নাছিম সমর্থিত ছাত্র নেতা জাহিদ হোসেন অনিক বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে শান্তিপূর্ণ আনন্দ র‌্যালি করেছিলাম। আমাদের পূর্ব নির্ধারিত আনন্দ র‌্যালিতে শাজাহান সমর্থিতরা হামলা চালায়।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি থমথমে।