একটি সম্ভাবনাময় দেশ থেকে বলছি…

৫২ থেকে ৭১। মাতৃভাষা থেকে মাতৃভূমি। বাঙালি হিসেবে অহংকার করতে শিখেছি সেই বায়ান্ন থেকেই। পৃথিবীতে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে এমন জাতি দ্বিতীয়টি আছে কিনা আমার জানা নেই। ইচ্ছে করলেই কি প্রাণ দেয়া যায়? শুধু নিজেরা কথা বলবে বলেই কি সালাম, বরকত, শফিউরেরা ৫২’তে প্রাণ দিয়েছিলেন? মূলত আমরা যাতে মায়ের কোলে বসে চাঁদ মামার গল্প শুনতে পারি সেই জন্য তারা প্রাণ দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো আজ আমরা তাঁদের এ আত্বত্যাগ ভুলতে বসেছি। তাঁদের আমরা এখন শুধু ২১শে ফেব্রুয়ারির দিনটিতে একটু মনেকরার চেষ্টা করি। আমরা কেন জানি আজকাল বাংলার মধ্যে ইংরেজি মিশিয়ে জগাখিচুরি ভাবে কথা বলতে গর্ববোধ করি। এ জন্যই কি আমাদের পূর্ব পূরুষরা প্রাণ দিয়েছিলেন, বিষয়টি আমাকে ভাবায়? এতো গেল ভাষার কথা। এবার মুক্তিযুদ্ধের দিকে ফিরে তাকানো যাক। ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পর থেকেই তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান কেন জানি আমাদের উপর শাসন করার চেয়েই শোষনই বেশি করেছে। আমাদের ফসল আমাদের কাছ থেকে স্বস্তায় নিয়ে গিয়ে আবার আমাদের কাছেই চড়া দামে বিক্রির নজির কে’না দেখেছে। জালেমরা শেষ পর্যন্ত ৭০এর নির্বাচনে আমাদের জনপ্রতিনিধি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জয় লাভ করার পরেও ক্ষমতায় বসতে দিতে রাজি হয়নি। নানান তালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত তারা ২৫শে মার্চ কালো রাতে আমাদের উপর নির্বিচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণ গণহত্যা চালিয়েছিল তারা। তারপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে পেলাম একটি স্বাধীন ভূখন্ড। সেই সাথে পেলাম আমাদের অহংকারের বিজয় নিশান জাতীয় পতাকা। এগুলো সবই আমাদের জানা কথা। তবুও লেখার প্রাসঙ্গিকতায় তা টেনে আনতে হলো বলেই আনা। বাঙালী জাতি বীরের জাতি। কিন্তু আজ আমার বাঙালী বলে পরিচয় দিতে কিছুটা দুঃখ হয়। কেননা যে মানুষটি আমাদের স্বাধীনতা এনেদিয়েছে সেই মানুষটিকে আমরা হত্যা করেছি। যে মানুষটি আমাদের পশ্চিমাদের শোষন-শাসন থেকে মুক্তির নায়ক হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই মানুষটিকে হত্যা করেছি। যে মানুষটি বাঙালীদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, যে মানুষটিকে পশ্চিম পাকিস্তানিরাও মারার সাহস পায়নি, ইতিহাসের সেই মহানায়ককে বাঙালীরা হত্যা করেছে। এর চেয়ে বড় অকৃতজ্ঞ জাতি পৃথিবীতে কি আর দ্বিতীয়টি কি আছে? অন্যদিকে, স্বাধীনতা যুদ্ধের এই মহানায়কের হত্যার বিচার পেতে আমাদের দারে দারে ঘুরতে হয়েছে বহু বছর। কেউ বিচার করেনি, কেউ’বা করার সাহস করেনি। শেষ পর্যন্ত সর্বকালের সেরা বাঙালী হত্যার বিচার করতে তার মেয়েকেই ক্ষমতায় আসতে হয়েছে। এর চেয়ে দুঃখের কথা কি কিছু থাকতে পারে? ছি… আরো একটি কারণে আমার বাঙালি বলে পরিচয় দিতে কষ্ট হয় । আজ আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলতে বসেছি। তাইতো আমরা এখনও এই স্বাধীন সার্বভৌম দেশটাকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারিনি(কাগজে কলমে অসাম্প্রদায়িক দেশ তবে বাস্তবতা ভিন্ন)। মুক্তিযুদ্ধের আরেকটি চেতনা ছিল দেশের প্রতিটি নাগরিকের অর্থনৈতিক মুক্তি। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু সেই স্বাধীনতার চুয়াল্লিশটি বছর পার হয়ে গেলেও অর্থনৈতিকভাবে প্রতিটি মানুষ স্বাধীন হতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না আশার জন্য অন্যতম কারণ আমাদের নীতি নির্ধারকদের নোংরা মনোভাব, ছোট স্বপ্ন, দূনীতি এবং যারা দেশ মাতৃকার জন্য কাজ করে যাচ্ছে তাদের বাধা প্রদান। আমাদের দেশে যারা ব্যবসায়ী তারা অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে খুব একটা ভাল চোখে দেখে না। তারা অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিযোগী না ভেবে শত্রু মনেকরে। অপরদিকে দেশের নিম্নশ্রেণীর মানুষ থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে যারা থাকেন তাদের স্বপ্ন গুলো খুবই ছোট। শুধু নিজের ফসলটাই যেন খুব দ্রুত ঘরে নিতে পারে সেই জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে ফরিয়াদ করাই যেন আমাদের দেশের কৃষকের স্বপ্ন। একজন ছাত্রের স্বপ্ন ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। কিন্তু ঐ ছাত্রকে এমন স্বপ্ন আমরা দেখাতে পারছিনা যে- সে বড় হয়ে এমন কিছু করবে যেখানে সে নিজেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরি দেবে। ঠিক নীতিনির্ধারনি পর্যায়ে যারা আছেন তারা পাঁচবছর পর ক্ষমতায় কে বসবে সেটা নিয়েই বেশি ব্যস্ত। আর দূনীর্তির কথা কি বলব। এটা সবাই জানে দেশের এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে দূনীর্তি হয়না। বড় বড় রাঘব বোয়ালরা যখন দূনীতি করে তখন তাদের বাঁচানোর জন্য নির্দোষ মানুষকে দোষি হিসেবে চালিয়ে দিতেও আমরা পিছপা হই না। আর দেশ মাতৃকার জন্য যারা নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যেতে চায় তাদের কাজ বন্ধ করার দৃষ্টান্ত এই দেশেরই আছে। অথচ সম্ভাবনাময় আমাদের দেশটিতে কি নেই? আমাদের আছে দুটি সমুদ্র বন্দর (সিঙ্গাপুরের একটি), আমরা খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ, আছে অফুরন্ত গ্যাস সম্পদ, তেল, সোনলি আঁশ পাঠ, নদী, চিংড়ি, মিঠাপানির মাছ, ইলিশ আর আছে আমার সোনার বাংলার সোনার মানুষ এবং সোনার জমিন। যে জমিনে বীজ ফেলে রাখলেই ফসল হয়। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই যেই দেশে পাখির বৃষ্ঠা থেকে গাছ জন্মে। অথচ আমাদের দেশের মাটি এতো উর্বর এখানে সেটাও সম্ভব। সম্ভাবনাময় এই দেশটিকে এগিয়ে যেতে তাই বার বারই বিভিন্ন মহল থেকে বাধা প্রদান করা হয়েছে। উপরে যে সমস্যা গুলোর কথা উল্লেখ করেছি তা থেকে আমরা যদি রক্ষা পেতে পারি তাহলে এই দেশ এগিয়ে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। ঠিক আজ থেকে ১৪ বছর আগে বাংলাদেশের মানুষের এই সকল সমস্যা সমাধানের বাণী নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন দক্ষিন এশিয়ার নেটওয়ার্ক মার্কেটিং গুরু ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল আমিন। শুধু বাংলাদেশ নয়। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) পৃথিবীর যেকোন দেশেকে পরিবর্তন করে সুখি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে পারে। অথচ এই মানুষটিকে বিনা অভিযোগে (ডিস্ট্রিবিউটার ও বিনিয়োগকারীদের কোন অভিযোগ নেই) বছরের পর বছর জেলখানায় আটকে রাখা হয়েছে। এই মানুষটির তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান ‘ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড’-এর মাধ্যেমে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ৪৫ লক্ষাধিক মানুষের। শুধু তাই নয় ডেসটিনি মাল্টিপারপাসে বিনিযোগ করে প্রতিবছর লভ্যাংশ পেয়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছে ৮ লক্ষাধিক পরিবার। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ৪৫ লক্ষ্য পরিবারের প্রায় ২ কোটি মানুষ সৃজনশীল এই প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে অর্থ আয়ের মাধ্যমে নিজে সাবলম্বীর হওয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যেয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ ২০১২ সালের মার্চে ডেসটিনির দেশ গড়ার এই আন্দোলন সম্পর্কে না জেনে না বুঝে বাংলাদেশের দু’তিনটা জাতীয় পত্রিকা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। এ্ররপর পত্রিকার ওই ভিত্তিহীন প্রতিবেদন আসমানী গ্রন্থ ভেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মাল্টিলেভেল মাকেটিং কোম্পানী ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড এবং এর প্রেসিডেন্ট, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চেয়ারম্যানসহ প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার নামে মামলা ঠুকে দেয়। এরপর তদন্ত ও বিচারের নামে সেই ২০১২ সাল থেকে আজ অবধি ডেসটিনি গ্রুপের ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করে কার্যত প্রতিষ্ঠানটিকে অচল করে দেয়া হয়েছে। অথচ প্রতিষ্ঠানটি ২০০০ সালের ১৪ই ডিসেম্বর জয়েন্ট স্টোক থেকে লাইসেন্স নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর আনুষ্ঠানিক ভাবে মিলাদের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ২০০১ সালের ০৫ জানুয়ারী। পাঠকদের জ্ঞ্যাতর্থে প্রতিষ্ঠানটির কিছু তথ্য তুলে ধরলাম। প্রতিষ্ঠানের নাম : ডেসটিনি-২০০০ লি:। বহুমাত্রিক পণ্য বিপণনকারী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। আত্ম-কর্মসংস্থান বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিশীল প্রতিষ্ঠান। এটি একটি সর্ম্পূণ বাংলাদেশী মালিকানাধীন কোম্পানী। • রেজিস্ট্রেশন নং -সি ৪২০৭৫(১৪৩৪)/২০০০ • ট্রেড লাইসেন্স নং – ১২২৭, ঢাকা সিটি ক.,এলাকা-৩৬ এবং ১১২৫৯১, ঢাকা সিটি ক। আঞ্চলিক কার্যালয় (অঞ্চল-৫) • ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নং – ৯০২১০৫৭৪৭৪। • টিআইএন নং – ১৪১-২০০-৯১৯৬/ কোং–১৪, কর অঞ্চল-৫,ঢাকা। • ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সদন্য নং – ১০৭৫৬। প্রতিষ্ঠানটি যেমন প্রতিবছর সরকারকে কোটি কোটি টাকা ভ্যাট এবং ট্যাক্স দিত, ঠিক তেমনি এর সাথে জড়িত লক্ষ্য লক্ষ্য ডিস্ট্রিবিউটারও দিত তাদের ইনকাম ট্যাক্স। আমার কথা হলো পৃথিবীর যে কোন প্রতিষ্ঠানের উপর অভিযোগ আসতে পারে। তাই বলে বছরের পর বছর তদন্ত কিংবা বিচারের নামে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করে কৃত্রিমভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বপ্নকে বন্ধ করে দেয়ার কোন অধিকার কি যথাযথ কর্তৃপক্ষের আছে? তারা যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কৃত্রিম এই সংকট সমাধান করতে না পারে তাহলে ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে কেন পদত্যাগ করছে না? দুদুক পত্রিকার যে প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে মামলা করেছে, সেই পত্রিকার উক্ত রিপোর্টারের এমএলএম সম্পর্কে ধারণা আছে কিনা তা কি জিজ্ঞাসা করেছে কখনো? কিংবা যারা তদন্ত করেছে তারা ৮ লক্ষ বিনিয়োগকারী এবং ৪৫ লক্ষ ডিস্ট্রিবিউটারের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে কি জানে? অথবা অভিযুক্তদের কারো বিরুদ্ধে ডেসটিনির ডিস্ট্রিবিউটার ও বিনিয়োগকারীদের কোন অভিযোগ আছে কি না তা কি জিজ্ঞাসা করা হয়েছে? জানি আমার এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মতো কেউ নেই। তবুও বলছি ডেসটিনির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ টাকার অংকে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার মতো। এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক এদেশের ৮ লক্ষ বিনিয়োগকারী। একটা কথা পাগলও বুঝবে তা হলো রফিকুল আমিনের টাকা আত্বশাতের কোন পরিকল্পনা যদি থাকতো তাহলে নিশ্চিয় ১৪ হাজার কোটি টাকার সম্পদ ক্রয়ের কোন প্রয়োজন ছিল না। যারা রফিকুল আমিনের নিজের আয় সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে তারা কি জানে না তিনি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পাশপাশি একজন ডিস্ট্রিবিউটার, একজন ডায়মণ্ড এক্সিকিউটিভ! একজন ডায়মণ্ডের মাসিক আয় কত হতে পারে ওই সব হলুদ সাংবাদিক কিংবা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কি কোন ধারণা আছে? কাজেই লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে সরকারকে একটি কথাই বলবো, দয়া করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক একাউন্ট, এমডি, চেয়ারম্যানসহ মামলার প্রতিটি আসামিকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আনিত ভিত্তিহীন ওই সকল অভিযোগ ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে ২ কোটি পরিবারকে একটু বাঁচতে দিন। অনেক দেরি হয়ে গেছে আর নয়। এবার দয়াকরে ৪৫ লক্ষ ক্রেতা পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীদের স্বপ্নকে সার্থক করে একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। তা না হলে এই অবিচারের জন্য আমাদের নতুন প্রযন্ম রক্ত দিয়ে কেনা আমাদের গর্বের সোনার বাংলাকে হয়তো একদিন নষ্ট পল্লী বলে অবজ্ঞা করবে। লেখক: সাংবাদিক ও অধ্যয়ণরত বাংলাদেশ প্রেস ইনিস্টিটিউট। ই-মেইল: jubaernews24@gmail.com বি.দ্র. লেখকের মত একান্তই নিজস্ব, এর জন্য প্রতিষ্ঠান দায়ী নয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর