ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:৫৩:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৩৩ বার

হাওর বার্তাঃ উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনকে অপসারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সোমবার এ দাবি করেন। উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন করছেন তারা।

চলমান আন্দোলনের সংগঠকদের একজন পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (ইএসডি) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব ইয়াসার বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি- উপাচার্যের পদত্যাগ। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এক দফা এক দাবি। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ ও অনশন চলবে।

আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী হল ছাড়েননি। আজ ভোররাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হলেও শিক্ষার্থীরা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও অনশনের তৃতীয় দিন শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করে প্রশাসন। একই সঙ্গে সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে গেলে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের বাইরে সোবহান সড়কে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় উপাচার্যপন্থী শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা। এতে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

পরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবির। হামলা ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এর আগে বুধবার রাত ১২টার দিকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বহিষ্কার করা হলে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।রউপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনকে অপসারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সোমবার এ দাবি করেন। উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন করছেন তারা।

চলমান আন্দোলনের সংগঠকদের একজন পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (ইএসডি) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব ইয়াসার বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি- উপাচার্যের পদত্যাগ। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এক দফা এক দাবি। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ ও অনশন চলবে।

আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী হল ছাড়েননি। আজ ভোররাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হলেও শিক্ষার্থীরা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও অনশনের তৃতীয় দিন শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করে প্রশাসন। একই সঙ্গে সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে গেলে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের বাইরে সোবহান সড়কে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় উপাচার্যপন্থী শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা। এতে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

পরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবির। হামলা ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এর আগে বুধবার রাত ১২টার দিকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বহিষ্কার করা হলে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

আপডেট টাইম : ০১:৫৩:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তাঃ উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনকে অপসারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সোমবার এ দাবি করেন। উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন করছেন তারা।

চলমান আন্দোলনের সংগঠকদের একজন পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (ইএসডি) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব ইয়াসার বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি- উপাচার্যের পদত্যাগ। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এক দফা এক দাবি। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ ও অনশন চলবে।

আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী হল ছাড়েননি। আজ ভোররাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হলেও শিক্ষার্থীরা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও অনশনের তৃতীয় দিন শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করে প্রশাসন। একই সঙ্গে সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে গেলে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের বাইরে সোবহান সড়কে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় উপাচার্যপন্থী শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা। এতে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

পরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবির। হামলা ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এর আগে বুধবার রাত ১২টার দিকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বহিষ্কার করা হলে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।রউপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনকে অপসারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সোমবার এ দাবি করেন। উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন করছেন তারা।

চলমান আন্দোলনের সংগঠকদের একজন পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (ইএসডি) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব ইয়াসার বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি- উপাচার্যের পদত্যাগ। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এক দফা এক দাবি। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ ও অনশন চলবে।

আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী হল ছাড়েননি। আজ ভোররাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হলেও শিক্ষার্থীরা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও অনশনের তৃতীয় দিন শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করে প্রশাসন। একই সঙ্গে সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে গেলে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের বাইরে সোবহান সড়কে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় উপাচার্যপন্থী শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা। এতে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

পরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবির। হামলা ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এর আগে বুধবার রাত ১২টার দিকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বহিষ্কার করা হলে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।