হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর)। ভোটগ্রহণের মাত্র একদিন আগে হঠাৎ সম্মেলন স্থগিত করে দেয় আদালত। এর প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই ছাত্রদলের কাউন্সিলের প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকরা নয়াপল্টনে এসে জড়ো হয়ে ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিত হওয়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
সভাপতি প্রার্থী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার মনে করেছিল ছাত্রদলের কাউন্সিল বাধাগ্রস্ত হলে নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। কিন্তু এতে দলের নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙেনি বরং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আরও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কাউন্সিল সাময়িক স্থগিত হলেও থেমে থাকবে না।
আরেক সভাপতি প্রার্থী হাফিজুর রহমানন বলেন, ‘কাউন্সিল স্থগিত সরকারের ষড়যন্ত্র। এতে করে আমাদের ছাত্রদলের কোনও ক্ষতি হয়নি। বরং আমাদের ঐক্য আরও সুদৃঢ় হয়েছে।’
সভাপতি প্রার্থী মামুন খান বলেন, ‘কাউন্সিল বন্ধের পিছনে একটি অশুভ চক্র রয়েছে। যারা কখনোই গণতান্ত্রিক কোনো কার্যক্রম কোন প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানায় না, বরং তারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়।’
এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা আদালতে যাচ্ছি। আদালতে ফয়সালা হলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, মশিউর রহমান রনি প্রমুখ।