হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেতন বৈষম্য নিরসনে দাবিতে ফের আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পৃথক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার একাধিক শিক্ষক সংগঠন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে আছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা, স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন।
এ সময় তারা দশম ও এগারোতম গ্রেডের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় নাকচ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।
সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, বেতন বৈষম্য নিরসনের এক দফা দাবিতে ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে। এর আগে ওইদিন সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবেন তারা। এতে সারা দেশ থেকে শিক্ষকরা অংশ নেবেন।একই শিক্ষক সমিতির ব্যানারে শিক্ষকদের আরেকটি অংশ তোপখানায় শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে। এতে লিখিত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক গাজীউল হক চৌধুরী। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম তোতা। এই সংগঠনটিও ২৮ সেপ্টেম্বর পদযাত্রা কর্মসূচি করবে। পাশাপাশি বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে।
শিক্ষক সংগঠনগুলো আরও বেশকিছু কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর মধ্যে আছে- ১৯ ও ২৬ সেপ্টেম্বর বিকালে প্রতি উপজেলায় মানববন্ধন। ২৩ অক্টোবর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সারা দেশের শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষক মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা।
৩০ ডিসেম্বরে মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের উন্নীত গ্রেডের বেতনের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নাকচ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
সকাল ১১টার দিকে পল্টনের মুক্তি ভবনের প্রগতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের উদ্যোগে ‘সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহিনুর আল-আমীন। আলোচনায় অংশ নেন সাধারণ সম্পাদক হালিমুজ্জামান, সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম খসরুজ্জামান, ইলিয়াছ হোসাইন প্রমুখ।সভায় বক্তারা বলেন, দেশের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা বেতন বৈষম্য দূরীকরণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ১১তম গ্রেডের জন্য আন্দোলন করে আসছেন। দাবিটি বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে সংযুক্ত করা হয়। সরকার গঠনের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও সচিব গ্রেড পরিবর্তনের প্রস্তাব পাঠান। গত ৮ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় একটি চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছে যে, শিক্ষকদের বেতন গ্রেড যথাযথ ও সঠিক থাকায় গ্রেড উন্নীতকরণের সুযোগ নেই। কিন্তু আমরা বলতে চাই, গ্রেড যথাযথ নেই। বরং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দিতে হবে। তারা অনতিবিলম্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ে নতুন প্রস্তাব পাঠাতে আহ্বান জানান।