ঢাকা ০৫:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ দিনে ১৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৭৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে চলতি আগস্টের প্রথম ১০ দিনে প্রায় ১৭৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের এ রেমিট্যান্সের বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসেছে। বন্ধের দিনগুলো বাদ দিলেও আগস্ট মাস শেষ হতে আরো ১০ দিন বাকি। সবমিলিয়ে এমাসে ১৮০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স ছাড়ানোর প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিবারের মতো এবারও রেমিট্যান্স গ্রহণের শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটি ৯ আগস্ট পর্যন্ত রেমিট্যান্স পেয়েছে ১৪ কোটি ৩৭ লাখ ডলার।

এছাড়া ১০ আগস্ট পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১০ কোটি ডলার। ডাচ-বাংলা ব্যাংক পেয়েছে ৬ কোটি ২৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। এ সময় ৫ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পেয়েছে সোনালী ব্যাংক। জনতা ব্যাংক পেয়েছে ৩ কোটি ১৪ লাখ ডলার। সাউথইস্ট ব্যাংকের রেমিট্যান্সও প্রায় ৩ কোটি ডলার। এছাড়া সরকারি ব্যাংকের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক ১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পেরেছে।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদুল আজহায় কোরবানি ছাড়াও, নানা কেনাকাটায় নগদ অর্থের চাহিদা বেড়ে যায়। এছাড়া ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণায় প্রবাসীরা বেশি করে অর্থ প্রেরণ করছেন। তাছাড়া ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স সংগ্রহে আরো তৎপর হয়েছে।

সবমিলিয়ে ২০১৯-২০২০ অর্থবছর শুরু হয় রেমিট্যান্স প্রবাহের সুখবর দিয়ে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে ২১ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি।

এর আগে রোজা ও ঈদ সামনে রেখে মে মাসে ১৭৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার রেমিটেন্সে আসে, যা ছিল মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তার আগে ১ মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে, ১৫৯ কোটি ৭২ লাখ ডলার।

বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হলো রেমিট্যান্স। বর্তমানে ১ কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। স্থানীয় বাজারে ডলারের তেজিভাব এবং হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে বেশ কয়েক মাস যাবৎ রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

১০ দিনে ১৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা

আপডেট টাইম : ০৪:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে চলতি আগস্টের প্রথম ১০ দিনে প্রায় ১৭৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের এ রেমিট্যান্সের বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসেছে। বন্ধের দিনগুলো বাদ দিলেও আগস্ট মাস শেষ হতে আরো ১০ দিন বাকি। সবমিলিয়ে এমাসে ১৮০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স ছাড়ানোর প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিবারের মতো এবারও রেমিট্যান্স গ্রহণের শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটি ৯ আগস্ট পর্যন্ত রেমিট্যান্স পেয়েছে ১৪ কোটি ৩৭ লাখ ডলার।

এছাড়া ১০ আগস্ট পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১০ কোটি ডলার। ডাচ-বাংলা ব্যাংক পেয়েছে ৬ কোটি ২৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। এ সময় ৫ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পেয়েছে সোনালী ব্যাংক। জনতা ব্যাংক পেয়েছে ৩ কোটি ১৪ লাখ ডলার। সাউথইস্ট ব্যাংকের রেমিট্যান্সও প্রায় ৩ কোটি ডলার। এছাড়া সরকারি ব্যাংকের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক ১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পেরেছে।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদুল আজহায় কোরবানি ছাড়াও, নানা কেনাকাটায় নগদ অর্থের চাহিদা বেড়ে যায়। এছাড়া ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণায় প্রবাসীরা বেশি করে অর্থ প্রেরণ করছেন। তাছাড়া ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স সংগ্রহে আরো তৎপর হয়েছে।

সবমিলিয়ে ২০১৯-২০২০ অর্থবছর শুরু হয় রেমিট্যান্স প্রবাহের সুখবর দিয়ে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে ২১ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি।

এর আগে রোজা ও ঈদ সামনে রেখে মে মাসে ১৭৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার রেমিটেন্সে আসে, যা ছিল মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তার আগে ১ মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে, ১৫৯ কোটি ৭২ লাখ ডলার।

বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হলো রেমিট্যান্স। বর্তমানে ১ কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। স্থানীয় বাজারে ডলারের তেজিভাব এবং হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে বেশ কয়েক মাস যাবৎ রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।